কলকাতা, 12 অগস্ট: যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে 10 দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত ৷ শুক্রবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল যাদবপুর থানার পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, সৌরভের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে ৷ এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও উঠেছে ৷ গতকাল দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ 22 অগস্ট তাঁকে ফের আদালতে তোলা হবে ৷
এ দিন আদালত চত্বরের বাইরে সৌরভ দাবি করেন, তিনি নিরাপরাধ ৷ তাঁর বাবা পীযূষ চৌধুরী এবং মা প্রণতি চৌধুরীও এ দিন দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ ৷ তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে ৷ কিন্তু, প্রশ্ন কেন ?
সৌরভের মায়ের দাবি, ‘‘স্বপ্নদীপ যখন প্রথমদিন হস্টেলে থাকতে এসেছিল, সেদিন তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলেছিল সৌরভ ৷ ও বলেছিল, কাকু ওকে (স্বপ্নদীপ) রেখে যাও, আমরা দেখব ওকে ৷ তখন সামনে থেকে সাহায্য় করেছিল, তাই ওর নামটাই নিয়েছে স্বপ্নদীপের বাবা ৷’’
প্রণতি চৌধুরীর দাবি, হস্টেলে সৌরভকে চিনতেন বলে তাঁর নামটাই এফআইআরে উল্লেখ করেছেন স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর বাবা ৷ কিন্তু, পুলিশ বলছে অন্যকথা ৷ এ দিন তদন্তকারী এক আধিকারিক সৌরিন ঘোষাল সংবাদমাধ্য়মে বলেন, ‘‘স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি ৷ দু’টি মোবাইল ফোন আমরা বাজেয়াপ্ত করেছি ৷ সঙ্গে ব্লাড-স্টেইনের স্যাম্পেল সংগ্রহ করা হয়েছে ৷ অভিযোগে বলা হয়েছে স্বপ্নদীপকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে ৷ আমরা তার ভিত্তিতে তদন্ত করছি ৷’’
আরও পড়ুন: চলত ব়্যাগিং সেল, সৌরভের নির্দেশই ছিল হস্টেলের শেষ কথা; দাবি পুলিশের
তবে, পুলিশ জানিয়েছে সৌরভ চৌধুরীর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ তারা পেয়েছে ৷ সৌরভের মা বা বাবা যাই বলে থাকুন না কেন ৷ এমনকী সৌরভ তাঁর পরিবারকে কী বলেছেন ? তাতে আমল দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা ৷
আদালতে সৌরভ চৌধুরীকে নিয়ে আসা পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘সৌরভের বাবা-মা’র কী বক্তব্য তাঁরা আদালতে বলবেন ৷ তবে, আমরা তদন্ত সৌরভের একটা যোগ পেয়েছি ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে ৷’’
ওই তদন্তকারী আধিকারিক জানান, ঘটনার সময় এবং তার আগে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ৷ তা জানার চেষ্টা চলছে ৷ এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিক ৷