কলকাতা, 13 জুন : বেহালায় বন্ধুর ঘুষিতে কিশোরের মৃত্যুতে উঠে আসছে নতুন তথ্য ৷ বান্ধবীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরেই রাগ গিয়ে পড়েছিল বন্ধুর উপর ৷ ঘুষির পর ঘুষিতে রক্তাক্ত বন্ধুর মৃত্যু হয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই ৷
মুর্শিদাবাদ থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে বাড়ির বড় দাদাদের সঙ্গে কলকাতায় আসে দুই বন্ধু ৷ বেহালার চণ্ডীতলা মেন রোডে একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে কাজে লাগে তারা ৷ সেই বহুতলেই তাদের থাকার ব্যবস্থাও হয় ৷ অভাবের তাড়নায় এই বয়সেই স্কুল ছেড়ে মূলত জোগাড়ের কাজে লাগে বছর সতেরোর দুই বন্ধু ৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় বান্ধবীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতে রাগারাগি হয় বছর সতেরোর নাবালকের ৷ রাগের বেগ আর সামলোনো যায়নি ৷ তাপরপই বন্ধুর সঙ্গে সামান্য বচসা আকার নেয় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ৷ রাতে শুতে যাওয়ার সময় মশারি টাঙানো নিয়ে ওই নাবালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার বন্ধু আর এক নাবালকের ৷ তখনই মেজাজ হারিয়ে বন্ধুর উপর ঘুষি চালাতে থাকে নাবালক ৷ বুকে পর পর ঘুষি গিয়ে পড়লে সংজ্ঞা হারায় তার বন্ধু ৷ ঘটনার আকস্মিকতায় ভয় পেয়ে সেখান থেকে পালায় ওই নাবালক ৷ পাশেই গলিতে অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ ৷ পরে পুলিশ খোঁজাখুঁজি করে নিয়ে যায় তাকে ৷
দুই বন্ধুর মধ্যে চেঁচামেচির পরই একজনকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে নিয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছয় নাবালকের দাদা এস বাউল-সহ অন্যরা ৷ পাশেই বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷ ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয় । এলাকার বাসিন্দারা এসে দুই পরিবারের সদস্যদের বেহালা থানার হাতে তুলে দেন । সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ গ্রেপ্তার করে রাখা হয় শুধু নাবালককে ৷ রবিবার ধৃত নাবালককে জুভেনাইল কোর্টে পেশ করে পুলিশ ৷ তাকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক ৷
আরও পড়ুন : আসানসোলে পথ দুর্ঘটনায় ম্যাটাডোরের ভিতর পুড়ে ছাই চালক, মৃত আরও 2