ETV Bharat / state

অনলাইনে পঠন-পাঠন অব্যাহত রাজ্যের ITI ও পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে

author img

By

Published : Apr 21, 2020, 5:10 PM IST

লকডাউনের প্রথম ধাপ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই দপ্তর অধীনস্থ ITI ও পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানগুলির পড়ুয়াদের জন্য ই-লার্নিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে । এই ব্যবস্থায় 90 শতাংশেরও বেশি পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি করেন রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু ।

কারিগরী ভবন
কারিগরী ভবন

কলকাতা 21 এপ্রিল : কোরোনা মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 10 জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে । এই পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়-সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনের মাধ্যমে পঠন-পাঠন চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে । একইভাবে অনলাইনের মাধ্যমে পঠন-পাঠন অব্যাহত রেখেছে রাজ্যের কারিগরী শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন দপ্তর । লকডাউনের প্রথম ধাপ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই দপ্তর অধীনস্থ ITI ও পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানগুলির পড়ুয়াদের জন্য ই-লার্নিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে । এই ব্যবস্থায় 90 শতাংশেরও বেশি পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি করেন রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু ।

ই-লার্নিংয়ের বিষয়ে কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, "প্রথম দফা লকডাউনের দু-তিনদিনের মধ্যেই আমরা ই-লার্নিং ব্যবস্থা শুরু করে দিয়েছি । ITI-এর ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন পোর্টাল আছে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডের, তার সঙ্গে যে সব পড়ুয়ার জেনারেশন-4 স্মার্টফোন আছে তার মাধ্যমে আমরা এই ই-লার্নিংটা চালু করেছি । বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী এই পরিষেবা পাচ্ছেন । যে সব ছাত্র-ছাত্রীর জেনারেশন-4 স্মার্টফোন নেই বা পাহাড় ও একটু প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা ভালো নেই, তাঁদের একটু অসুবিধা হচ্ছে । কিন্তু, যদি তাঁরা নেটওয়ার্ক আছে এই রকম কাছাকাছি জায়গায় চলে আসেন তাহলে তাঁরা এই সুবিধা পাবেন ।"

ই-লার্নিং ব্যবস্থায় স্টাডি মেটেরিয়াল পড়ুয়াদের জন্য টেকনিকাল এডুকেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টাল ও দপ্তরের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে । পড়ুয়ারা নিজেদের স্মার্টফোন, কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে তা দেখতে পাচ্ছেন । এছাড়া, বিভিন্ন ITI-তে ভার্চুয়াল ক্লাসও নেওয়া হচ্ছে । পূর্ণেন্দু বসু আরও বলেন, "ITI-এর মতো পলিটেকনিকেও একই ব্যবস্থা চলছে । আমাদের আগে থেকেই এই ব্যবস্থা আছে যাতে, ছেলেমেয়েরা ঘরে বসেই ই-লার্নিংয়ের সুবিধা পায় । সেগুলোকেই আমরা রিস্টোর করেছি । এ ছাড়া, আমাদের উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্প আছে, যা পরিচালনা করে বিভিন্ন বেসরকারি প্রশিক্ষণ সংস্থা । তাঁদেরও আমরা অনুরোধ করেছি ই-লার্নিং ব্যবস্থা চালু করার জন্য । তাঁরা চালু করেছে । ফলে, উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের অধীনে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা ট্রেনিংয়ের অধীনে আসতে পেরেছেন ।"

বর্তমানে রাজ্যজুড়ে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে 252টি ITI এবং 148টি পলিটেকনিক কলেজ রয়েছে । দু'টি ভাগেই 90 শতাংশের বেশি পড়ুয়া অনলাইন পঠন-পাঠনের আওতায় রয়েছেন বলে দাবি কারিগরি শিক্ষামন্ত্রীর । তিনি বলেন, "আমরা 90 শতাংশের বেশি পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছতে পারছি । সরকারি ITI-এর ক্ষেত্রে আমরা বেশিরভাগটাই করতে পারছি । সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় 25-30 হাজার ছেলে-মেয়ে ই-লার্নিংয়ের আওতায় আসছে । পলিটেকনিকের ক্ষেত্রে প্রায় 15 হাজারের মতো পড়ুয়া ।" বর্তমানে উচ্চশিক্ষায় পরীক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে চলবে তা স্থির করার প্রক্রিয়া চলছে ৷ খোঁজা হচ্ছে সমাধানের পথ । কারিগরি শিক্ষায় পরীক্ষা কীভাবে হবে? পূর্ণেন্দু বসু বলেন, "পরীক্ষার ক্ষেত্রে সবাই মিলে যেটা করছে, সেরকম আমরা একটা করে সিমেস্টার ছেড়ে দেব । পরের সিমেস্টারের সঙ্গে সেটা যুক্ত হয়ে যেতে পারে বা আমরা ইন্টারভিউ নিয়েও ছেড়ে দিতে পারি । প্রতিষ্ঠানগুলো চালু হলে দেখা যাবে ।"

কলকাতা 21 এপ্রিল : কোরোনা মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 10 জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে । এই পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়-সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনের মাধ্যমে পঠন-পাঠন চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে । একইভাবে অনলাইনের মাধ্যমে পঠন-পাঠন অব্যাহত রেখেছে রাজ্যের কারিগরী শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন দপ্তর । লকডাউনের প্রথম ধাপ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই দপ্তর অধীনস্থ ITI ও পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানগুলির পড়ুয়াদের জন্য ই-লার্নিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে । এই ব্যবস্থায় 90 শতাংশেরও বেশি পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি করেন রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু ।

ই-লার্নিংয়ের বিষয়ে কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, "প্রথম দফা লকডাউনের দু-তিনদিনের মধ্যেই আমরা ই-লার্নিং ব্যবস্থা শুরু করে দিয়েছি । ITI-এর ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন পোর্টাল আছে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডের, তার সঙ্গে যে সব পড়ুয়ার জেনারেশন-4 স্মার্টফোন আছে তার মাধ্যমে আমরা এই ই-লার্নিংটা চালু করেছি । বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী এই পরিষেবা পাচ্ছেন । যে সব ছাত্র-ছাত্রীর জেনারেশন-4 স্মার্টফোন নেই বা পাহাড় ও একটু প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা ভালো নেই, তাঁদের একটু অসুবিধা হচ্ছে । কিন্তু, যদি তাঁরা নেটওয়ার্ক আছে এই রকম কাছাকাছি জায়গায় চলে আসেন তাহলে তাঁরা এই সুবিধা পাবেন ।"

ই-লার্নিং ব্যবস্থায় স্টাডি মেটেরিয়াল পড়ুয়াদের জন্য টেকনিকাল এডুকেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টাল ও দপ্তরের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে । পড়ুয়ারা নিজেদের স্মার্টফোন, কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে তা দেখতে পাচ্ছেন । এছাড়া, বিভিন্ন ITI-তে ভার্চুয়াল ক্লাসও নেওয়া হচ্ছে । পূর্ণেন্দু বসু আরও বলেন, "ITI-এর মতো পলিটেকনিকেও একই ব্যবস্থা চলছে । আমাদের আগে থেকেই এই ব্যবস্থা আছে যাতে, ছেলেমেয়েরা ঘরে বসেই ই-লার্নিংয়ের সুবিধা পায় । সেগুলোকেই আমরা রিস্টোর করেছি । এ ছাড়া, আমাদের উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্প আছে, যা পরিচালনা করে বিভিন্ন বেসরকারি প্রশিক্ষণ সংস্থা । তাঁদেরও আমরা অনুরোধ করেছি ই-লার্নিং ব্যবস্থা চালু করার জন্য । তাঁরা চালু করেছে । ফলে, উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের অধীনে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা ট্রেনিংয়ের অধীনে আসতে পেরেছেন ।"

বর্তমানে রাজ্যজুড়ে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে 252টি ITI এবং 148টি পলিটেকনিক কলেজ রয়েছে । দু'টি ভাগেই 90 শতাংশের বেশি পড়ুয়া অনলাইন পঠন-পাঠনের আওতায় রয়েছেন বলে দাবি কারিগরি শিক্ষামন্ত্রীর । তিনি বলেন, "আমরা 90 শতাংশের বেশি পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছতে পারছি । সরকারি ITI-এর ক্ষেত্রে আমরা বেশিরভাগটাই করতে পারছি । সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় 25-30 হাজার ছেলে-মেয়ে ই-লার্নিংয়ের আওতায় আসছে । পলিটেকনিকের ক্ষেত্রে প্রায় 15 হাজারের মতো পড়ুয়া ।" বর্তমানে উচ্চশিক্ষায় পরীক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে চলবে তা স্থির করার প্রক্রিয়া চলছে ৷ খোঁজা হচ্ছে সমাধানের পথ । কারিগরি শিক্ষায় পরীক্ষা কীভাবে হবে? পূর্ণেন্দু বসু বলেন, "পরীক্ষার ক্ষেত্রে সবাই মিলে যেটা করছে, সেরকম আমরা একটা করে সিমেস্টার ছেড়ে দেব । পরের সিমেস্টারের সঙ্গে সেটা যুক্ত হয়ে যেতে পারে বা আমরা ইন্টারভিউ নিয়েও ছেড়ে দিতে পারি । প্রতিষ্ঠানগুলো চালু হলে দেখা যাবে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.