কলকাতা, 28 অক্টোবর: দীর্ঘদিনের ছুটির পর অবশেষে খুলল স্কুল (Long School Holidays)। কিন্তু কিছুদিন পর আবারও ছট পুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো । ফের ছুটি পাবে স্কুল পড়ুয়ারা । বারবার এই ছুটির জেরে বিঘ্ন ঘটছে পড়াশোনায়, মত শিক্ষক মহলের । কিন্তু এর মধ্যেই যে সব পড়ুয়া পড়াশোনার বেশ ভালো, তাদের জন্য এই ছুটি খুবই কার্যকর বলে মত আংশিকের (Teachers worried over long holidays)।
করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ ছিল স্কুল । তারপর স্কুল শুরু হলেও প্রায় এক মাসের গরমের ছুটি উপভোগ করে স্কুল পড়ুয়ারা । তারপর থেকে শুরু হয়েছে একাধিক উৎসব । সেই উৎসব ঘিরে দুর্গাপুজোতেও প্রায় এক মাসের কাছাকাছি ছুটি পায় পড়ুয়ারা । আবারও দীপাবলি ও ভাইফোঁটার ছুটি । সেই পর্ব মিটিয়ে বেশ কিছু স্কুল খুললেও আবারও ছুটি পড়বে ছট পুজো ও জগদ্বাত্রী পুজো উপলক্ষে । তাই বেশ কিছু স্কুল এখন না খুলে একেবারে সব উৎসব মিটিয়ে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । মোট 65টি ছুটি সব স্কুলে দেওয়া হবে । কিন্তু এত ঘন ঘন ছুটির জেরে ফের ড্রপ আউটের আশঙ্কা করছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা । এই ছুটির কারণে পড়ুয়াদের মনে একটা ঘাটতিও দেখা যাবে বলে তাঁদের মত ।
পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঞ্জা জানান, "এই যে এত ছুটি পড়ছে, তাতে পড়ুয়াদের মনের মধ্যে একটা বড় প্রভাব পড়ছে । আমরা পরীক্ষা নিয়ে দেখতে পাচ্ছি বহু পড়ুয়া লিখতে ভুলে যাচ্ছে । দীর্ঘ দু বছর অনলাইনে পড়াশোনা করেছে । কিন্তু অনেকের কাছেই ইন্টারনেট কানেকশন অথবা স্মার্ট ফোন ছিল না । ফলে সেই পড়াশোনা থেকে অনেকেই পিছিয়ে গিয়েছিল । তারপর গরমের ছুটি একমাস । এখন আবার উৎসবের মরসুম । যার জন্য আবারও ছুটি । আমি বলব যদি ছুটিটা কমানো যায়, তাহলে পড়ুয়াদের জন্য মঙ্গল হবে ।"
আরও পড়ুন: যাদবপুরের ভাঁড়ার শূন্য ! অনুদান চেয়ে সোশাল মিডিয়ায় খোলা চিঠি উপাচার্যের
অন্যদিকে, টাকি বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা বসাক জানান, "অনেক আগে ছুটি দেওয়া হত 80 দিন । সেখান থেকে কমিয়ে এখন 65 দিন ছুটি দেওয়া হয় । আর এই ছুটির পরে বেশিরভাগ স্কুলেই বার্ষিক পরীক্ষা থাকে । ফলে যে সব পড়ুয়া পড়াশোনায় ভালো, তারা এই সময়টা কাজে লাগিয়ে বাড়িতে নিজেদের পড়া তৈরি করে ফেলে । কিন্তু মানসিকতার তো বদল থাকে । যারা একটু পিছিয়ে যাওয়া, তাদের জন্য এই ছুটি খুব সাংঘাতিক । তারা আরও পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এই পরপর ছুটির জন্য ।"