কলকাতা, 8 নভেম্বর: স্কুল চালু হলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা করোনা আক্রান্ত হলে, তাদের দিতে হবে 'কোয়ারেন্টাইন লিভ'। এমনটাই দাবি তুলেছে শিক্ষকমহল। হাতে গোনা আর মাত্র ক'টা দিন তারপরেই প্রায় 19 মাস পর আবার খুলে যাচ্ছে রাজ্যের স্কুলগুলি। তবে বসবে শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস। জোর কদমে চলছে স্কুলগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও স্যানিটাইজেশনের কাজ।
শিক্ষকমহলের জানিয়েছে, 15 নভেম্বর থেকে স্কুলগুলি খুলে যাওয়ার পর যদি কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী বা তাঁদের পরিবারের কেউ যদি করোনা আক্রান্ত হয়, সেই ক্ষেত্রে তাঁকে দিতে হবে 'কোয়ারেন্টাইন লিভ'। তাঁদের দাবি, স্কুল ও মাদ্রাসার তরফে এই মর্মে শিক্ষা দফতর থেকে একটি সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হোক। স্কুল ও মাদ্রাসা খোলার আগেই জারি করতে হবে এই বিজ্ঞপ্তি। যদিও ছুটির তালিকার মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের কোনও রকম 'ইনফেকশাস' বা ছোঁয়াচে ব্যাধি হলে, সেই ক্ষেত্রে 14 দিনের ছুটি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে করোনার ক্ষেত্রে কি এই নিয়ম কার্যকর হবে ? তা নিয়ে দ্বন্ধ রয়েছে শিক্ষকদের মধ্যে।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, "যদি কোন শিক্ষক শিক্ষিকা বা শিক্ষা কর্মীর কোনরকম ছোঁয়াচে রোগ হয় তবে সেই ক্ষেত্রে তাঁদের ছুটি দেওয়া হয়। এই নিয়মটি বহু দিন ধরেই চলে আসছে। এটা নতুন নয়। তবে করোনা সংক্রমণ একটা নতুন পরিস্থিতি। তাই এই ক্ষেত্রে করোনাকে ছোঁয়াচে রোগের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না, তা এখনও আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। তাই বিষয়টিকে স্পষ্ট করার দাবিতে বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ করা হোক।"
পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারীর বক্তব্য, “সরকারি কর্মচারি অথবা তাঁদের পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে সেই সরকারি কর্মচারি 'কোয়ারেন্টাইন লিভ' পাবেন বলে রাজ্য সরকার নির্দেশিকা রয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের জন্য এ ধরণের কোনও নির্দেশিকা এখনও নেই। আগামী ১৬ নভেম্বর নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পঠন-পাঠন চালু হচ্ছে। ফলে কোনও শিক্ষক, শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী নিজে অথবা পরিবারের কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলে 'কোয়ারেন্টাইন লিভ' না পাওয়ার কারণে বিপদের সম্মুখীন হবেন।
তাই আমাদের অনুরোধ, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশিকা জারি করুক শিক্ষা দফতর ৷ তা না-হলে অসুস্থ অবস্থায় কেউ যদি বিদ্যালয়ে আসতে বাধ্য হন, তাহলে বিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।"
স্কুল খোলার আগে কোয়ারেন্টাইন লিভের দাবি তুলল শিক্ষকমহল
শিক্ষকমহলের জানিয়েছে যে 15 নভেম্বর থেকে স্কুলগুলি খুলে যাওয়ার পর যদি কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী বা তাঁদের পরিবারের কেউ যদি কোরোনায় আক্রান্ত হয় সেই ক্ষেত্রে তাঁকে দিতে হবে 'কোয়ারেন্টাইন লিভ'।
কলকাতা, 8 নভেম্বর: স্কুল চালু হলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা করোনা আক্রান্ত হলে, তাদের দিতে হবে 'কোয়ারেন্টাইন লিভ'। এমনটাই দাবি তুলেছে শিক্ষকমহল। হাতে গোনা আর মাত্র ক'টা দিন তারপরেই প্রায় 19 মাস পর আবার খুলে যাচ্ছে রাজ্যের স্কুলগুলি। তবে বসবে শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস। জোর কদমে চলছে স্কুলগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও স্যানিটাইজেশনের কাজ।
শিক্ষকমহলের জানিয়েছে, 15 নভেম্বর থেকে স্কুলগুলি খুলে যাওয়ার পর যদি কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী বা তাঁদের পরিবারের কেউ যদি করোনা আক্রান্ত হয়, সেই ক্ষেত্রে তাঁকে দিতে হবে 'কোয়ারেন্টাইন লিভ'। তাঁদের দাবি, স্কুল ও মাদ্রাসার তরফে এই মর্মে শিক্ষা দফতর থেকে একটি সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হোক। স্কুল ও মাদ্রাসা খোলার আগেই জারি করতে হবে এই বিজ্ঞপ্তি। যদিও ছুটির তালিকার মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের কোনও রকম 'ইনফেকশাস' বা ছোঁয়াচে ব্যাধি হলে, সেই ক্ষেত্রে 14 দিনের ছুটি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে করোনার ক্ষেত্রে কি এই নিয়ম কার্যকর হবে ? তা নিয়ে দ্বন্ধ রয়েছে শিক্ষকদের মধ্যে।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, "যদি কোন শিক্ষক শিক্ষিকা বা শিক্ষা কর্মীর কোনরকম ছোঁয়াচে রোগ হয় তবে সেই ক্ষেত্রে তাঁদের ছুটি দেওয়া হয়। এই নিয়মটি বহু দিন ধরেই চলে আসছে। এটা নতুন নয়। তবে করোনা সংক্রমণ একটা নতুন পরিস্থিতি। তাই এই ক্ষেত্রে করোনাকে ছোঁয়াচে রোগের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না, তা এখনও আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। তাই বিষয়টিকে স্পষ্ট করার দাবিতে বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ করা হোক।"
পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারীর বক্তব্য, “সরকারি কর্মচারি অথবা তাঁদের পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে সেই সরকারি কর্মচারি 'কোয়ারেন্টাইন লিভ' পাবেন বলে রাজ্য সরকার নির্দেশিকা রয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের জন্য এ ধরণের কোনও নির্দেশিকা এখনও নেই। আগামী ১৬ নভেম্বর নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পঠন-পাঠন চালু হচ্ছে। ফলে কোনও শিক্ষক, শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী নিজে অথবা পরিবারের কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলে 'কোয়ারেন্টাইন লিভ' না পাওয়ার কারণে বিপদের সম্মুখীন হবেন।
তাই আমাদের অনুরোধ, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশিকা জারি করুক শিক্ষা দফতর ৷ তা না-হলে অসুস্থ অবস্থায় কেউ যদি বিদ্যালয়ে আসতে বাধ্য হন, তাহলে বিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।"