কলকাতা, 15 ফেব্রুয়ারি: প্রথমে বাবা মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ (Son of Manik Bhattacharya) জারি করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । এ বার তাঁর ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও লুকআউট নোটিস জারি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন যে, ইতিমধ্যেই হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে লাগাতার জেরা করে জানা গিয়েছে, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার যে লক্ষ লক্ষ টাকা তা শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় আত্মসাৎ করেছেন তেমনটা নয় । বরং এই লভ্যাংশের টাকা গিয়ে পৌঁছত মানিক ভট্টাচার্য এবং তাঁর ছেলের অ্যাকাউন্টেও ।
ইডির চার্জশিটে মানিক-পুত্রের নাম: ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির (ED issues look out notice) তরফে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে ৷ সেখানে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের নাম রয়েছে । সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Teacher Recruitment Scam) আদালতে শুনানি রয়েছে ৷ আর এই প্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অনুমান, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য গা ঢাকা দিতে পারেন । ইডি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ায় সৌভিক ভট্টাচার্যের নাম-সহ ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ তিনি কোন কোন মামলায় অভিযুক্ত এবং তাঁর বাবার বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত তথ্যও পাঠিয়েছে ইডি ।
মানিকের বিরুদ্ধেও জারি হয়েছিল লুক আউট নোটিশ: এর আগে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছিল । শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা । পরে মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের নাম ও পরিচয় পেয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেন সিবিআই এবং ইডির গোয়েন্দারা ।
আরও পড়ুন: 'লন্ডনে আমার বাড়ি নেই, ঠিকানা বলতে পারলে আমায় ফাঁসি দেওয়া হোক'; আদালতে ফুঁসলেন মানিক
তাপসের থেকেই কুন্তলের নাম পায় ইডি: এই তাপস মণ্ডলের কাছ থেকেই প্রথম হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের নাম ঠিকানা পান তদন্তকারী আধিকারিকরা । এরপরেই কুন্তল ঘোষকে একাধিকবার ইডি এবং সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর রাজারহাটে কুন্তল ঘোষের অভিজাত আবাসনে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ।
ইডি সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রথমে তাঁরা জানতে পারেন যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির লভ্যাংশের কোটি কোটি টাকা একাধিক হাত ঘুরে পৌঁছে যেত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে । ইডি সূত্রের খবর, শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই যে এই লভ্যাংশের টাকা থেকে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন তেমন নয়, বরং এই লভ্যাংশের টাকা পৌঁছে যেত মানিক ভট্টাচার্য এবং তাঁর ছেলের অ্যাকাউন্টে ।