কলকাতা, 12 জানুয়ারি: প্রতি ওয়ার্ডে চলছে পিঠে-পুলি উৎসব থেকে গান বাজনার অনুষ্ঠান। বিরাট আয়োজন। তবে আচমকাই ভাটা পড়ল কলকাতা জুড়ে সব ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ স্মরণে। রাজ্যের অনুদান বন্ধ হতেই বন্ধ হয়েছে বিবেক উৎসব। শুধু তাই নয়, বন্ধ হয়েছে সুভাষ উৎসব পালনের টাকা দেওয়া। তাই হাতে গোনা কাউন্সিলর সাড়ম্বরে পালন করলেন স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন।
মেলা খেলা বেড়েছে। রাজনীতির সুবাদে শাসক বিরোধী দলের নেতৃত্ব পৌঁছেছে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভিটে সিমলা স্ট্রিটের বাড়িতে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর স্বামী বিবেকানন্দের ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন পালন করার জন্য রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের তরফে কলকাতা পৌরনিগমে আর্থিক অনুদান দেওয়া হতো প্রতিবছর। সেই টাকা প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের উদ্যোগে বিবেক মেলা ও সুভাষ মেলা করা হত। বিবেক মেলার জন্য মিলত 30 হাজার টাকা। সুভাষ মেলার জন্য 20 হাজার টাকা। তবে সেই টাকা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ বিভাগের তরফে দেওয়া বন্ধ হয়েছে।
আর যার জেরে সার্বিকভাবে শহরের প্রতি ওয়ার্ডে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালনে পড়েছে ভাটা। এদিকে গত বছর এর আগের তুলনায় শারদৎসবে ক্লাবগুলোকে অনুদান বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে টাকা না পেয়ে বড় করে জন্মদিন পালন বন্ধ। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পরিষদ সদস্য স্বপন সমাদ্দার, দেবাশিস কুমার, মিতালী বন্দ্যোপাধ্য়ায়-সহ বেশ কয়েকটা কাউন্সিলর এদিন বড় করে ঘটা করে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালন করেন।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র পরিষদ সদস্য মিতালী বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, "আমাদের কাছে সরকারের টাকা আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা এখন ব্যক্তি উদ্যোগেই করি।" সিপিএম কাউন্সিলর নন্দিতা রায় অভিযোগ করে বলেন, "2022 সালে দু'টো উৎসব পালন করি 50 হাজার টাকা খরচ করে। এখন পর্যন্ত সেই টাকাও পাইনি। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই টাকা পাওয়া যাবে না। এখন আমরা টাকা পাচ্ছি না তাই উৎসব বন্ধ।" বিজেপি কাউন্সিলর মীনা দেবি পুরোহিত বলেন, "গত বছরে পাইনি এবছর পেলাম না তাই উৎসব করতে পারছি না। এমন শাসক বিরোধী অনেক কাউন্সিলর তারা মূর্তিতে মালা দিয়েই দায় সেরেছেন।"
আরও পড়ুন