কলকাতা, 16 জুলাই: "নওশাদরা দরজা খুললেই আমি ভাঙড়ে যাব", সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ঠিক এই জবাবই দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন ছিল, ভাঙড়ে কেন যাচ্ছেন না তিনি ? পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সমস্ত জায়গায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ কেন বেছে বেছে শুধু সেখানেই যাচ্ছেন শুভেন্দু ? আমতা, বারুইপুরে গেলেও ভাঙড়ের দিকে তাকাচ্ছেন না কেন ?
সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শুভেন্দু ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে নিশানা করলেন তিনি । তিনি বলেন, "ভাঙড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকলে নিশ্চয়ই যাব । যাওয়ার জন্য দরজাটা খুলতে হয়! বিজেপির কর্মী, সমর্থক, ভোটাররা আমার জন্য দরজা খুলে দিচ্ছে।" যদিও চুপ করে থাকেননি সিদ্দিক্কী । ভিডিও বার্তায় শুভেন্দুকে পালটা জবাব আইএসএফ বিধায়কের । তিনি বলেন, "আমি জানতাম শুভেন্দু একজন বিরোধী দলনেতা ।আক্রমণ হয়েছে এমন সমস্ত এলাকাতেই তাঁর যাওয়া উচিত । উনি আসতে চাইলেই আমি রাস্তা খুলে দেব।"
পঞ্চায়েত ভোট ফলাফলের রাতেই ভাঙড়ে চলে গুলি। একাধিক মানুষের প্রাণ যায় । শনিবারই বারুইপুরে ভোটে ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু । বারুইপুরে গেলেন অথচ ভাঙড়ে নয় । প্রশ্ন উঠে আসে। শুভেন্দুর জবাব, " বিজপি নিয়ে ভুল ধারণা তৈরি করেছে আইএসএফ । একইভাবে বিজেপিকে 'সাম্প্রদায়িক' দল তকমা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ সেটা মেনে নিচ্ছেন নওশাদ সাহেবরা ৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে আগে নো ভোট টু মমতা প্রচার করা উচিত ৷ "
এরই পালটা নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, "শুধু বিজেপির হয়ে নয় বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাজ্যের মানুষের জন্য শুভেন্দুর মুখ খোলা উচিত । বিজেপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মানুষ ভোটে আক্রান্ত হয়েছেন। শুভেন্দু তাই দল ভুলে সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফ নির্বিশেষে সব দলের আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ান। "
আরও পড়ুন: চলছে ইডির তদন্ত, ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দিলেন সায়নী
শনিবারই হাওড়ার আমতা ও দক্ষিণ 24 পরগনার বারুইপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু । আর্থিক সাহায্যও করেন । এদিকে, শুক্রবার ভাঙড়ে ঢোকার মুখে সিদ্দিকীকেই ঢুকতে বাধা দেয় রাজ্য-পুলিশ । তৃণমূলের বিরোধিতা করলেও আইএসএফের তরফে 'নো ভোট টু মমতা' প্রচার করা হবে না বলেও এদিন স্পষ্ট করেন নওশাদ। শুভেন্দুকে নিশানা করে সিদ্দিকী জানান, 'নো ভোট টু মমতা'র প্রচার করে কোনও লাভ হবে না ।"