কলকাতা, 12 ডিসেম্বর: নাম না করে বঙ্গ বিজেপির (BJP) প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য পেশেরও সমালোচনা করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক ৷ তাঁর দাবি, মর্নিংওয়াকে গিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে বক্তব্য পেশ করেন না ৷ বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি যা বলেন, সেটাই করে দেখান ৷ সোমবার কলকাতার হাজরায় বিজেপির এক সভার আয়োজন করা হয় ৷ সেই সভাতেই তিনি নাম না করে দিলীপের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, দিলীপ ঘোষ যেখানেই থাকুন, প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া তাঁর দৈনন্দিন রুটিনের অঙ্গ ৷ কলকাতায় থাকলে, তাঁকে নিউটাউনের ইকোপার্কে দেখা যায় ৷ আবার জেলা সফরে তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকায় সকালে হেঁটে ঘুরে বেড়ান ৷ সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন ৷ সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তরও দেন ৷ আর সেই উত্তর ঘিরে বহুবার বিজেপির অন্দরে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই উত্তরের মধ্যে অনেক সময় শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে কটাক্ষের সুরও মিশে থাকে ৷
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এদিন সেই প্রসঙ্গেরই উত্তর দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ তবে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে কারও নাম করেননি ৷ কিন্তু নিশানা যে দিলীপ ঘোষ, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, এদিন হাজরায় বিজেপির সভায় বঙ্গ বিজেপির বর্তমান সভাপতি প্রধান বক্তা হিসেবে বিরোধী দলনেতার সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন ৷ এছাড়া আরেক প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহাও (Rahul Sinha) ছিলেন ৷ কিন্তু ছিলেন না দিলীপ ঘোষ ৷
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, তাহলে কি বিজেপির অন্দরে শুভেন্দু ও দিলীপের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে ? বঙ্গ বিজেপিতে শুভেন্দুর গুরুত্ববৃদ্ধিই কি এর কারণ ? শুভেন্দু এদিন যেমন কিছু স্পষ্ট করেননি, তেমনই দিলীপ ঘোষও পালটা কোনও মন্তব্য এখনও পর্যন্ত করেননি ৷ তাই মন্তব্যের জল শেষ পর্যন্ত কোন দিকে গড়ায়, সেই দিকেই বাংলার রাজনৈতিক মহল ৷
আরও পড়ুন: 12 ডিসেম্বরটা 13 জানুয়ারি হতে পারে, কিন্তু 14 ফেব্রুয়ারি হবে না, চরম হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর