কলকাতা, 5 জুন: বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর ৷ এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত আছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা ৷ সোমবার ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, "এই পুরো ঘটনার পিছনে তৃণমূল আছে । এত ভয় কেন মুখ্যমন্ত্রীর? গতকাল রাত থেকেই তাঁদের ভয় শুরু হয়েছে । ওড়িশায় ঘটনা ঘটেছে তাহলে তৃণমূলের এত ভয় কেন । কই নীতীশ কুমার তো এইসব বলেননি। এত ' জ্বলুনি ' আপনাদের । কলকাতা পুলিশ এটা করতে পারে না বলছেন, তাহলে তিনি তো পরিষ্কার বলে দিচ্ছেন কে করেছে। আগামিদিনে অনেক বড় দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসবে, তৃণমূল বুঝতে পারবে ।"
ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে এদিন একাধিক প্রশ্ন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী তাঁর কথায়,"রেল দুর্ঘটনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড কী করে তৃণমূলের হাতে যায় সেটাও আমি জানতে চাইব ? এর উত্তরে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী নিজে মুখেই স্বীকার করেছেন কলকাতা পুলিশের কাজ নেই ? তাহলে এর থেকে স্পষ্ট যে এটা কলকাতা পুলিশের কাজ । কলকাতা পুলিশেরএসটিএফ এই কাজ করে তৃণমলের হাতে তুলে দিয়েছে । তদন্তের মধ্যে এটা আনা উচিত এটা । আমি ছাড়ার লোক নই । আমি কিছুদিন দেখব, নাহলে আমি ভুবনেশ্বরে সিবিআই এর দফতরে পিটিশন দেব । প্রয়োজনে আদালতে যাব ?" রাজ্য থেকে কেন এত শ্রমিককে কাজের জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে সেই প্রশ্নও তুলেছেন শুভেন্দু ৷
আরও পড়ুন: রেল বিপর্যয়ের তদন্তে সম্ভবত আজই দিল্লি থেকে বালাসোরে সিবিআই তদন্তকারীরা
একইসঙ্গে এদিন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি তলব নিয়েও মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ সব তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কয়লা পাচার মামলায় কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি গ্রেফতার করছে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু ৷ সোমবার কলকাতায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, "সমস্ত তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি বাইরে রয়েছেন । এজেন্সির এই পরিবারকে কেন এত ভয় ?" এই প্রসঙ্গে এদিন তিনি তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধির কন্যা কানিমোজির প্রসঙ্গও তোলেন শুভেন্দু ৷ তিনি বলেন,"করুণানিধির কন্যা যদি জেল খাটতে পারে তাহলে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় নয় কেন ?"
আরও পড়ুন: বিদেশযাত্রায় বাধা দিয়ে রুজিরাকে ইডির নোটিশ দেওয়াকে অমানবিক বললেন মুখ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, এদিনই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ পাঠিয়েছে ইডি ৷ 8 জুন তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, এদিন প্রথমে কলকাতা বিমানবন্দরে রুজিরাকে আটকানো হয় ৷ তাঁর দুবাই যাওয়ার কথা ছিল ৷ উল্লেখ্য, এই মামলায় রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককেও 19 জুন দিল্লিতে তলব করেছে ইডি ৷