কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের সামলে তুলকালাম বাঁধালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ আজ সকালে 22 জন বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে স্বাস্থ্যভবনে যান তিনি ৷ তবে তাঁরা স্বাস্থ্যভবনে পৌঁছনোর আগেই সেখানে মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিশবাহিনী ৷
রাজ্যে স্বাস্থ্যের বেহাল অবস্থা এবং ডেঙ্গির আশংকাজনক পরিস্থিতি নিয়ে বিপি গোপালিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা ৷ তবে তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি ৷ শুভেন্দু ও অন্যান্য বিধায়কদের স্বাস্থ্যভবনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি ৷ এরই প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন বিরোধী দলনেতা ৷ তিনি বলেন, স্বাস্থ্যভবনে প্রবেশে বিধায়কদের আটকাতে পারে না পুলিশ ৷ তাঁরা জনপ্রতিনিধি ৷ যদিও এ কথা বলার পরেও বিজেপি বিধায়কদের স্বাস্থ্যভবনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি ৷ খুলে ফেলা হয় স্বাস্থ্যভবনের গেটে তাঁদের টাঙানো প্ল্যাকার্ড ৷
মঙ্গলবার সকালে রাজ্যে স্বাস্থ্যের বেহাল অবস্থা নিয়ে কথা বলতে হঠাৎই স্বাস্থ্যভবনে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি স্বাস্থ্যভবনে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশের তরফে বাধা দেওয়া হয় । বন্ধ করে দেওয়া হয় গেট । শুধু তিনি নন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির একাধিক বিধায়কও । শুভেন্দু জানান যে, রাজ্যে উদ্বেগজনক ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যভবনে একটি ডেপুটেশন জমা দিতে গিয়েছিলেন । তবে পুলিশ তাঁকে বাধা দেওয়ায় তিনি ডেপুটেশন জমা দিতে পারেননি । পুলিশ বিজেপি বিধায়কদের স্বাস্থ্যভবনে ঢুকতে বাধা দিলে তাদের সঙ্গে বচসা বাঁধে শুভেন্দুর । 22 জন বিধায়কের সই করা একটি ডেপুটেশন স্বাস্থ্যসচিবের কাছে জমা দিতেই তিনি গিয়েছেন বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী ।
আরও পড়ুন: সফরসঙ্গী কারা, খরচ কত ? মুখ্যমন্ত্রীর সফরের খুঁটিনাটি জানতে চেয়ে আরটিআই শুভেন্দুর
তিনি বলেন, "একাধিক লোক মারা গিয়েছে ৷ কয়েক লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত ৷ এই বিষয়টি আজ স্বাস্থ্যভবনকে জানাতেই আমরা এসেছিলাম । পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র রাজ্য যারা ভয়ে কেন্দ্রকে কোনও রিপোর্ট দেয়নি । ড্রোনের মাধ্যমে স্প্রে করলে কিছু হবে না ৷ লার্ভাকে মারতে হবে আর এই কাজ শুরু করা উচিত ছিল মার্চ-এপ্রিল মাস থেকে । কেন্দ্রের 100 কোটি টাকা ঝেড়েছে মমতা । এখানে একটা চোর আছে 'নিগম'। এরা মানুষের টাকা যৌথভাবে চুরি করছে ।"
এরপর বিধাননগর পুলিশ থানার প্রিজন ভ্যানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে থেকেই গেট খুলে উঠে পড়েন ।