কলকাতা, 17 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপি যুব মোর্চার অবস্থান মঞ্চ থেকে আগামী সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট অভিযান কর্মসূচির ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । এই মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্যে বারেবারে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । একই সঙ্গে, বৃহস্পতিবার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও ৷
তাঁর কথায়, "আগামী সপ্তাহে আবারও বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হবে ৷ আর ব্রাত্য বসু যেন পালিয়ে না-গিয়ে বিধানসভায় থাকেন । কারণ বিজেপির প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে তাঁকে।" শুভেন্দু অধিকারী জানান, শুক্রবার তিনি 15 জন বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে ওই পড়ুয়ারা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। আর তাঁরা যদি অনুমতি দেন তাহলে আইনজীবী এবং নিরপেক্ষ এজেন্সি দিয়ে এই মৃত্যুর তদন্ত করাবে বিজেপি ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি । গত 16 থেকে আগামী 19 অগস্ট পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের 8-বি বাস স্ট্যান্ডে চলছে বিজেপি যুব মোর্চার ধরনা কর্মসূচি। এদিন এই ধরনা মঞ্চে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ এবং বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাও ।
এদিন ধরনা মঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, "রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন ওই পড়ুয়ার নাম নিতে কিংবা তার ছবি যাতে ছাপা না হয় সেই কথা জানিয়েছে। কিন্তু বুধবার যখন তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল ওই পড়ুয়ার বাড়ি গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে মৃত পড়ুয়ার নাম নিচ্ছে, তখন কোনও দোষ হল না ? কিন্তু আর কেউ মৃত পড়ুয়ার নাম নিতে পারবে না, কিংবা সংবাদমাধ্যমে তার ছবি দেখানো যাবে না।" এই পরিপ্রেক্ষিতে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু শিশু সুরক্ষা কমিশনের উদ্দেশে বলেন, "শুক্রবারের মধ্যে যদি ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা না হয় পড়ুয়ার নাম উচ্চারণ করার জন্য তবে বিজেপি বুঝে নেবে ।"
আরও পড়ুন: যাদবপুরের ঘটনার জন্য 4 সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়ল উচ্চশিক্ষা দফতর
এদিন মঞ্চ থেকে তিনি বাংলা পক্ষকেও তীব্র আক্রমণ করেন। বিরোধী দলনেতা সভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে তার গাড়ি লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখায় পড়ুয়াদের একাংশ। এরপরই বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে পড়ুয়াদের সঙ্গে বিস্তর হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। পড়ুয়াদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরাও ৷ কিছুক্ষণের জন্য ধুন্ধুমার পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হয়।