কলকাতা, 18 মে: রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুল গুলির শিক্ষক বদলি নিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশে রাজ্য সরকার গাইডলাইন তৈরি করেছিল। সেই গাইডলাইনে স্কুল সার্ভিস কমিশনের রুল 10সি বিধি ভঙ্গ হয়েছে অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার তাতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ আপাতত বদলির সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। 13 জুন পর্যন্ত শিক্ষকরা যদি নতুন জায়গায় কাজে যোগ না-দিলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না কমিশন। 13 জুন মামলার চূড়ান্ত শুনানি।
গত 20 জানুয়ারি রাজ্যে শিক্ষক বদলিতে কড়া নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷ এবার থেকে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে গাইডলাইন।ইচ্ছেমত জায়গায় চাইলেই বদলি পাবেন না শিক্ষকরা । বরং শিক্ষা দফতরের ইচ্ছাতেই চলতে হবে শিক্ষকদের। এই আইনে যে কোনও শিক্ষককে নিজেদের ইচ্ছেমত জায়গায় বদলি করতে পারে শিক্ষা দফতর। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশে জানান, "যত শিক্ষক বদলির মামলা আছে এবার থেকে গাইডলাইন মেনে বদলি করতে হবে। কলকাতার যে স্কুল ছাত্র শূন্য সেই স্কুলের শিক্ষককে হাওড়ায় যে স্কুলে ছাত্র সংখ্যা যেতেই হবে।" শিক্ষা দফতরকে সাতদিনের মধ্যে এইনিয়ম মেনেই গাইডলাইন বানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কোনও শিক্ষক যদি না এই নির্দেশ পালন করেন তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে শিক্ষা দফতর, এমনটাও জানানো হয় ৷
আরও পড়ুন: মমতা-অভিষেকের পাড়ায় চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলে 'না' হাইকোর্টের
পুরুলিয়ার এক স্কুলের শিক্ষক বদলি মামলায় হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে । পুরুলিয়ার একটি স্কুলের শিক্ষক কলকাতার একটি স্কুলে বদলি পাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। তাতে বিচারপতি বলেন, "ভালো করে ছাত্রদের পড়াতে বলুন। আমি কোনও বদলির নির্দেশ দেব না।" বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই বদলি মামলায় রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাতও জানতে চেয়েছিলেন। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে এবার ডিভিশন বেঞ্চে আপিল দায়ের হল।
প্রসঙ্গত, উৎসশ্রী পোর্টাল মারফত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি নিয়ে বিভিন্ন মামলা হাইকোর্টে দাখিল হয়েছিল। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর নতুন এই নিয়ম তৈরি করেছিল ৷