কলকাতা, 8 মার্চ: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং এসএফআই-এর মধ্যে পরপর দু’টি অশান্তির ঘটনা ঘটে ৷ সেই ঘটনায় সম্প্রতি 2 ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ৷ এবার তাঁদের মধ্যে এক ছাত্র সাসপেনশনের কারণ জানতে চেয়ে চিঠি দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে (Suspend Student Letter to Presidency Authority) ৷ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ছাত্র অঙ্কন দাস ডিন অফ স্টুডেন্টস এবং রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়েছেন ৷
গতবছর অগস্ট মাসে এই দু’পক্ষের অশান্তি এবং সেই ঘটনার রেশ টেনে সম্প্রতি হিন্দু ইডেন হস্টেলে দুই পক্ষের মধ্যে আবার সমস্যার হয় ৷ এরপর পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷ এর ফলে কর্তৃপক্ষের তরফে পুরো বিষয়টির তদন্তের জন্য একটি হাই-পাওয়ার কমিটি গঠন করা হয় ৷ সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে দু’জন ছাত্র অঙ্কন দাস এবং কল্লোল কর্মকারকে সাসপেন্ড করে কর্তৃপক্ষ ৷ পাশাপাশি, আরও দু’জন ছাত্র মৃত্যুঞ্জয় কুমার মণ্ডল ও প্রণব সাহা চৌধুরীকে সতর্ক করে দেওয়া হয় ৷
এরপরেই হাই-পাওয়ার কমিটির সিদ্ধান্ত পক্ষপাতদুষ্ট এমনটা অভিযোগ জানিয়ে কর্তৃপক্ষকে দু‘টি চিঠি দেন অঙ্কন দাস ৷ টিএমসিপি প্রেসিডেন্সি ইউনিটের সেক্রেটারি অঙ্কন দাসের অভিযোগ, ডিন ওফ স্টুডেন্টস অরুণ কুমার মাইতিকে দেওয়া চিঠিতে তিনি জানতে চেয়েছেন যে, হাই-পাওয়ার কমিটির তদন্তে এমন কী তথ্য উঠে এসেছে, যার ভিত্তিতে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ কমিটির দেওয়া রিপোর্টকে তিনি পক্ষপাতদুষ্ট বলে দাবি করেন ৷ আগামী 24 ঘণ্টার মধ্যে তাঁর সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অঙ্কন ৷ তাঁর যুক্তি তিনি ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়া ৷ তাই সাসপেনশন হলে পুরো সেমেস্টার খারাপ হয়ে যাবে ৷ সেই কারণেই সাসপেনশন তুলে নেওয়ার আবেদন করেছেন অঙ্কন ৷
তবে, সেই চিঠির কোনও উত্তর তিনি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনও পাননি ৷ টিএমসিপি ছাত্ররা অভিযোগ করেছেন, যে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা মারামারি করেছেন ৷ তাই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ আর এসএফআই এর সদস্যরা কিছুই করেননি ৷ তাঁদের অভিযোগ, প্রেসিডেন্সিতে এসএফআই এর প্রভাব অনেক বেশি ৷ তাই তদন্তের রিপোর্টেও তার প্রভাব পড়েছে ৷
আরও পড়ুন: মাথা ফাটল ছাত্রনেতার, রাস্তা অবরোধ করে এসএফআইয়ের প্রতিবাদ
আর এক ছাত্র যাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ সেই প্রণব সাহা চৌধুরী বলেন, ’’গতবছর অঙ্কনকে কমন-রুম থেকে ধাক্কা মেরে বের করে দেওয়া হয় ৷ টিএমসিপি-র পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া এবং অতি সম্প্রতি টিএমসিপি হস্টেল আবাসিকদের গায়ে গরম জল ছুড়ে মারার ঘটনাও ঘটেছে ৷ এ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানাই তখন প্রমাণ নেই বলে আমাদের অভিযোগগুলি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ আমাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল ৷ কিন্তু, এসএফআই এর সদস্যদের বিরুদ্ধে কিছুই করা হয়নি ৷’’