কলকাতা, 2 এপ্রিল : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট। মূল মামলাটি হাইকোর্টের বিচারাধীন ছিল তাই মামলাটি পুনরায় হাইকোর্টে নিষ্পত্তির জন্য ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয় বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ।
2014 সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই পদের জন্য প্রায় 23 লাখ প্রার্থী আবেদন করে। 2015 সালের 11 অক্টোবর পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু, 11টি প্রশ্নপত্রের উত্তরের যে চারটি অপশন দেওয়া হয়েছিল, তার সবকটিই ভুল এই দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন 100 জনেরও বেশি চাকরিপ্রার্থী। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বিশ্বভারতী কতৃর্পক্ষকে প্রশ্ন ও উত্তরগুলি পরীক্ষা করে মতামত জানানোর নির্দেশ দেন। সেই রিপোর্ট জমা পড়লে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর ভুল রয়েছে। এরপর হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, সেই নম্বর যুক্ত করার পর যদি প্রার্থীরা চাকরি পাওয়ার মাপকাঠি অতিক্রম করে, তাহলে তাঁদেরও চাকরি দিতে হবে। শুধুমাত্র মামলাকারীরাই এই সুযোগ পাবেন।
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বসির আহমেদ নামে এক পরীক্ষার্থী হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বসির। এরপর 1 এপ্রিল পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। গতকাল সেই স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে মামলাটি হাইকোর্টে ফেরত পাঠানো হয়।