কলকাতা/বালুরঘাট, 01 এপ্রিল: রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ার শিবপুরে উত্তেজনার পরেই শুক্রবার সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল ডক্টর সিভি আনন্দ বসু। রামনবমীর দিন কি ঘটেছিল, তা নিয়ে বিশেষ সেল তৈরি করা হয়েছে রাজ্যপালের নির্দেশে। শুক্রবারই রাজ্যপাল জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি পুরো বিষয়ের উপর নজর রাখছেন ৷ প্রকৃত দোষীরা যাতে শাস্তি পায় সেই দিকে থাকবে বিশেষ নজর।
শনিবার বালুরঘাটে দলীয় কাজের জন্য উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি ৷ তাঁকে রামনবমীর দিন হাওড়ার হিংসাাত্মক ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,"সাধারণ মানুষের সুরাহা করতে হলে রাজ্যপালকে বর্তমান রাজ্য সরকারের সাহায্য নিতে হবে। সেই ক্ষেত্রে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর প্রশাসনকে দিয়ে কাজ করাতে হবে ৷ আশা করছি সুফল পাওয়া যাবে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা শাস্তি পাবে।"
পাশাপাশি তিনি সিআইডি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্টতই বলেন, "আমরা সিআইডি তদন্ত নিয়ে সন্তুষ্ট নই ৷ সাধারণ মানুষও সন্তুষ্ট নয় ৷ যে আবাসনে হামলা হয়েছে সেখানকার অধিবাসীরা চাইছেন, কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা এসে তদন্ত করুক। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হোক। কারণ তাঁদের পুলিশের উপর কোনও আস্থা নেই। তাঁরা দেখেছে পুলিশ ঘটনার সময় নিষ্ক্রিয় ছিল। সেদিন পুলিশের সামনেই ভাঙচুর চলেছে। পুলিশ নির্বাক থেকেছে ।"
আরও পড়ুন: রামনবমীর মিছিলে হামলার অভিযোগ, রণক্ষেত্র হাওড়ার শিবপুর
পাশাপাশি তিলজলা ও গাজোলে কেন্দ্রীয়-রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন সংঘাত নিয়েও মুখ খোলেন বিজেপি সভাপতি ৷ তিনি জানিয়েছেন, শিশুদের উপর হামলা হচ্ছে। তিলজলায় একজন নাবালিকাকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে। রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশন সেই সময় যাননি কেন বলে প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত মজুমদার ৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলি হেলনেই সব হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি ৷
এছাড়াও প্রসঙ্গ ওঠে জিতেন্দ্র তিওয়ারির শারিরীক অবস্থা নিয়েও ৷ সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, "আমরা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। তার শারীরিক অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ তাঁকে কলকাতায় পাঠিয়েছে। এখানে তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়েছে। আমার কাছে খবর আছে যে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের উপরে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে যেন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে কোনও রকম সুযোগ-সুবিধে বা ভালো ঘর দেওয়া না হয়। তাঁকে যেন অ-ব্যবস্থার মধ্যেই রাখা হয়।"