ETV Bharat / state

Sukanta Majumdar on TMC: রাজ্যে তৃণমূল আর পাঁচ মাস, সুকান্তর ঘোষণায় ঘোড়া কেনাবেচার আশংকা তৃণমূলে - বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার

রাজ্যের তৃণমূল সরকারের মেয়াদ বেঁধে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ৷ সরকার পতন নিয়ে বিজেপির মন্তব্যে পালটা ঘোড়া কেনা-বেচার আশংকা করছে তৃণমূল ৷

Etv Bharat
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার
author img

By

Published : Jul 16, 2023, 3:51 PM IST

কলকাতা, 16 জুলাই: রাজ্যে তৃণমূল সরকারের মেয়াদ আর মাত্র কয়েক মাস ৷ জল্পনা বাড়িয়ে এবার সরাসরি রাজ্য সরকারের মেয়াদের সময়সীমাও চূড়ান্ত করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ রবিবার তিনি দাবি করেন, রাজ্য সরকার পাঁচ মাসের মধ্যে পড়ে যেতে পারে। তবে এবার সুকান্তর এই মন্তব্যকে একেবারেই হালকা চালে নিতে নারাজ তৃণমূল ৷

এর আগে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও তৃণমূল সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা বলে জানিয়েছিলেন ৷ এদিন প্রথমে শান্তনু ঠাকুর জানান, আগামী পাঁচ মাসের মধ্যেই রাজ্য সরকার পড়ে যাবে। এরপরই তা নিয়ে মুখ খোলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শান্তনু ঠাকুরের থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "সরকার তো পাঁচ মাস-ছ’মাসে, যখন খুশি পড়ে যেতে পারে। এতে অসুবিধার তো কিছু নেই ! সরকার চলে, বিধায়কদের সমর্থনে। বিধায়করাই মনে করল আমরা সরকারকে সমর্থন করব না। আমরা অন্য কাউকে সমর্থন করব। তাহলেই সরকার পড়ে যাবে।"

এখানেই শেষ নয়, রাজ্য সরকার পড়ে যাওয়ার পিছনে আরও একটা সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, "হঠাৎ এমন গণ আন্দোলন শুরু হল যে বিধায়করা বলল, 'আমরা আজ থেকে আর বিধায়ক পদে থাকব না। হাতজোড় করে সকলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দিচ্ছি।' সবই সম্ভাবনা আছে। রাজনীতিতে কোনও সম্ভাবনাকেই অস্বীকার করা যায় না।" কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাশাপাশি বিজেপি রাজ্য সভাপতির মুখে এহেন মন্তব্যেকে কোনওভাবেই হালকা করে দেখছে না তৃণমূল কংগ্রেস।

বিজেপির পাঁচ মাসে সরকার পতনের হুমকির মধ্যে ঘোড়া কেনা-বেচার ইঙ্গিত দেখছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "বিজেপির এই বক্তব্যকে কোনওভাবেই হালকা করে দেখলে চলবে না। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা দরকার। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত হয়। যে দল সরকারে আসে তারা মানুষের দ্বারা নির্বাচিত হয়। সেখান থেকে বিধায়করা ঠিক করে দেবেন এমন অবকাশ বোধহয় থাকে না। জনগণের মতামতকে যাতে হঠাৎ করে কেউ পরিবর্তন না-করতে পারে সেজন্যই দলত্যাগ বিরোধী আইন আছে।"

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছে প্রতিনিধি দল, জানালেন মমতা

তিনি আরও বলেন, "বিজেপি গত কয়েক বছরে দেখিয়েছে বিধায়ক কেনাবেচার চরমতম খেলা। বিভিন্ন রাজ্যের টাকার থলি নিয়ে গিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল।" একইসঙ্গে জয়প্রকাশ প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, "কয়েকজন বিধায়ক সংখ্যা নিয়ে এত তর্জন গর্জন কীভাবে করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?" জয়প্রকাশের ব্যাখ্য়া, "একটা কারণ এই হতে পারে যে এসব এলোমেলো কথা বলে বিজেপি আসলে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছে। আরও একটাও হতে পারে এক্ষেত্রে বিজেপি হয়তো ষড়যন্ত্রের রাস্তায় হাঁটছে যার মাধ্যমে বিধায়ক কেনাবেচা করে এই সরকারকে ফেলে দিতে চাইছে তারা। তবে আমার বিশ্বাস এই পথেও সফল হবে না বিজেপি।" অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বিজেপি নেতাদের এই বক্তব্য সম্পর্কে বলেন, "বিজেপির দাবি বাস্তব থেকে অনেক দূরে। তারা নিজেরাই বুঝতে পারছেন সরকারটা আর থাকবে না। তবে সেটা রাজ্যের সরকার নয়, কেন্দ্রের সরকার।"

কলকাতা, 16 জুলাই: রাজ্যে তৃণমূল সরকারের মেয়াদ আর মাত্র কয়েক মাস ৷ জল্পনা বাড়িয়ে এবার সরাসরি রাজ্য সরকারের মেয়াদের সময়সীমাও চূড়ান্ত করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ রবিবার তিনি দাবি করেন, রাজ্য সরকার পাঁচ মাসের মধ্যে পড়ে যেতে পারে। তবে এবার সুকান্তর এই মন্তব্যকে একেবারেই হালকা চালে নিতে নারাজ তৃণমূল ৷

এর আগে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও তৃণমূল সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা বলে জানিয়েছিলেন ৷ এদিন প্রথমে শান্তনু ঠাকুর জানান, আগামী পাঁচ মাসের মধ্যেই রাজ্য সরকার পড়ে যাবে। এরপরই তা নিয়ে মুখ খোলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শান্তনু ঠাকুরের থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "সরকার তো পাঁচ মাস-ছ’মাসে, যখন খুশি পড়ে যেতে পারে। এতে অসুবিধার তো কিছু নেই ! সরকার চলে, বিধায়কদের সমর্থনে। বিধায়করাই মনে করল আমরা সরকারকে সমর্থন করব না। আমরা অন্য কাউকে সমর্থন করব। তাহলেই সরকার পড়ে যাবে।"

এখানেই শেষ নয়, রাজ্য সরকার পড়ে যাওয়ার পিছনে আরও একটা সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, "হঠাৎ এমন গণ আন্দোলন শুরু হল যে বিধায়করা বলল, 'আমরা আজ থেকে আর বিধায়ক পদে থাকব না। হাতজোড় করে সকলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দিচ্ছি।' সবই সম্ভাবনা আছে। রাজনীতিতে কোনও সম্ভাবনাকেই অস্বীকার করা যায় না।" কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাশাপাশি বিজেপি রাজ্য সভাপতির মুখে এহেন মন্তব্যেকে কোনওভাবেই হালকা করে দেখছে না তৃণমূল কংগ্রেস।

বিজেপির পাঁচ মাসে সরকার পতনের হুমকির মধ্যে ঘোড়া কেনা-বেচার ইঙ্গিত দেখছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "বিজেপির এই বক্তব্যকে কোনওভাবেই হালকা করে দেখলে চলবে না। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা দরকার। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত হয়। যে দল সরকারে আসে তারা মানুষের দ্বারা নির্বাচিত হয়। সেখান থেকে বিধায়করা ঠিক করে দেবেন এমন অবকাশ বোধহয় থাকে না। জনগণের মতামতকে যাতে হঠাৎ করে কেউ পরিবর্তন না-করতে পারে সেজন্যই দলত্যাগ বিরোধী আইন আছে।"

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছে প্রতিনিধি দল, জানালেন মমতা

তিনি আরও বলেন, "বিজেপি গত কয়েক বছরে দেখিয়েছে বিধায়ক কেনাবেচার চরমতম খেলা। বিভিন্ন রাজ্যের টাকার থলি নিয়ে গিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল।" একইসঙ্গে জয়প্রকাশ প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, "কয়েকজন বিধায়ক সংখ্যা নিয়ে এত তর্জন গর্জন কীভাবে করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?" জয়প্রকাশের ব্যাখ্য়া, "একটা কারণ এই হতে পারে যে এসব এলোমেলো কথা বলে বিজেপি আসলে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছে। আরও একটাও হতে পারে এক্ষেত্রে বিজেপি হয়তো ষড়যন্ত্রের রাস্তায় হাঁটছে যার মাধ্যমে বিধায়ক কেনাবেচা করে এই সরকারকে ফেলে দিতে চাইছে তারা। তবে আমার বিশ্বাস এই পথেও সফল হবে না বিজেপি।" অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বিজেপি নেতাদের এই বক্তব্য সম্পর্কে বলেন, "বিজেপির দাবি বাস্তব থেকে অনেক দূরে। তারা নিজেরাই বুঝতে পারছেন সরকারটা আর থাকবে না। তবে সেটা রাজ্যের সরকার নয়, কেন্দ্রের সরকার।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.