কলকাতা, 17 অক্টোবর: নিউ মার্কেট বিজনেস অ্যান্ড ইয়ং সোসাইটির সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে মঙ্গলবার একাধিক বিষয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দুর্গাপুজোর অনুমতি না-দেওয়া নিয়েও এদিন তিনি বিঁধেছেন রাজ্য পুলিশ প্রশাসনকে ৷
উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন, বিজেপি পুজোর দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু এভাবে বাংলার দুর্গাপুজোকে দখল করা যাবে না ৷ তিনি আরও বলেছেন যে, দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সঙ্গে রাজ্যে বিজেপিরও বিসর্জন হবে । এর পালটা এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "বিজেপি কোনও পুজো দখল করার চেষ্টা করছে না । আর বিজেপির বিসর্জন অত সহজে হবে না । তবে সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের এই বছর বিসর্জন হবে কি না, সেটা মোটামুটি ঠিক হয়ে আছে । উনি কি এবার উত্তর কলকাতার টিকিট পাবেন ? সেটা আগে উনি সামলান।"
এদিন এন্টালির এই দুর্গাপুজো উদ্বোধনে এসে রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানান, এই পুজো করার জন্য বিজেপি অনেকবার আবেদন করেও অনুমতি পায়নি। রাজ্য সরকার এবং রাজ্য পুলিশ বারবার বাধা দিয়েছে । তাই এখানকার বিজেপি কর্মকর্তরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল । আদালত এই পুজো করার নির্দেশ দিয়েছে । তাই এই স্বল্প সময়ের মধ্যে কর্মকর্তারা ছোট করে প্রতীকী রূপে পুজো করছে । তবে আগামীদিনে এই পুজো বড় করে আয়োজন করা হবে । এই প্রেক্ষিতে তিনি আরও বলেন, "এর থেকেই আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এখানে দুর্গাপুজো করতে বাধা দেয় । আর সেই বাধা অতিক্রম করে বিজেপি এই পুজো করছে । আদালত পথ দেখিয়ে দিয়েছে এই পুজোর । আদালতই এই সরকারকে ঠিক করবে । একটু অপেক্ষা করতে হবে ।"
আরও পড়ুন: ওরা জানে না, ওদের শিক্ষা নেই; রামমন্দির প্রসঙ্গে নাম না করে শাহকে কটাক্ষ মমতার
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার যে অভিযোগ উঠেছে সেই প্রসঙ্গে এদিন সুকান্তর কটাক্ষ, প্রশ্ন উঠছে যে আদানি গোষ্ঠীর বিরোধী যে গোষ্ঠী আছে তাদের থেকে কোনো রকম উপঢৌকন নিয়ে তিনি এই প্রশ্নগুলি তুলেছেন, এই বিষয়ের তদন্ত করবে এথিক্স কমিটি । তখন আসল তথ্য সামনে আসবে । বিশ্বভারতীর উপাচার্যের পদ থেকে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে অবিলম্বে অপসারণ করা উচিত বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ এই বিষয়ে অবশ্য বিশেষ কিছু বলতে চাননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি ৷ বিষয় তিনি বলেন, "এটা আদালতের একটা পর্যবেক্ষণ। নির্দেশ নয় । এবার কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেবে ।"