ETV Bharat / state

Kalighater Kaku: লেনদেন নিয়ে এখনও সদুত্তর দিচ্ছেন না কালীঘাটের কাকু, কুন্তলের মুখোমুখি বসাতে চায় ইডি - মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় ইডি

জেরায় ধীরে ধীরে ভাঙছেন কালীঘাটের কাকু ৷ একাধিক প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য সন্তুষ্ট নয় ইডি আধিকারিকরা ৷ এবার কুন্তলের সঙ্গে তাঁকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় ইডি ৷

Etv Bharat
কুন্তলের মুখোমুখি বসাতে চায় ইডি
author img

By

Published : Jun 2, 2023, 7:27 PM IST

কলকাতা, 2 জুন: এক মাসে কুন্তল ঘোষের অ্যাকাউন্ট থেকে 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অ্যাকাউন্টে এসেছিল পাঁচ লক্ষ টাকা । আবার সেই টাকা ফের ফিরে গিয়েছিল কুন্তল ঘোষের অ্যাকাউন্টে । আর এই লেনদেনের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তাই এখন তদন্তকারীদের কাছে লাখ টাকার প্রশ্ন ৷ কী কারণে কুন্তল ঘোষ সুজয়কৃষ্ণের অ্যাকাউন্টে আচমকা পাঁচ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন এবং কেন সেই টাকা ফের সুজয় কুন্তলকে ফেরৎ পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, সেই বিষয়টি কালীঘাটের কাকুর কাছ থেকে খোলসা করে জানতে চাইছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী আধিকারিকরা । এই রহস্য উদঘাটনের জন্য, প্রয়োজনে কুন্তল ঘোষের সঙ্গে কালীঘাটের কাকুকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করতে পারে ইডি ৷

ইডি সূত্রে খবর, এদিন জেরায় কালীঘাটের কাকু তদন্তকারীদের জানিয়েছেন অত্যন্ত ব্যক্তিগত কারণেই এই টাকার লেনদেন হয়েছিল । এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই । কিন্তু এদিন আদালত চত্বরে কুন্তল ঘোষ বলেন, "ইডি ভুল তথ্য পরিবেশন করে তদন্তকে ভুল পথে পরিচালনা করছে । ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকলেও কোনওদিন কালীঘাটের কাকুকে টাকা দিইনি ।" তাঁর বক্তব্য আদালতে পেশ করারও দাবি জানিয়েছেন কুন্তল । সূত্রের খবর, কালীঘাটের কাকুর বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় ইডি ৷ আর তাই লেনদেনের বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জানতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী আধিকারিকরা চাইছেন কুন্তল ঘোষ এবং কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে ।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, 2017 সাল থেকে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের । এরই সঙ্গে, মধ্য কলকাতার একাধিক রেস্তোরাঁয় তাঁদের দু'জনের মধ্যে গোপন বৈঠকও হয়েছে একাধিকবার ৷ সে তথ্যও হাতে এসেছে ইডির । তদন্তকারীদের অনুমান যে, সেই সব বৈঠকে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মধ্যে কোন চাকরিপ্রার্থীকে কখন চাকরি দেওয়া হবে সেগুলি ঠিক করা হত । ফলে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা রয়েছে ইডির । পাশাপাশি কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে কোন কোন সরকারি দফতরের যোগাযোগ ছিল তাও খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা ।

ইডি'র দাবি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের আমলা ও সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে ভালো সাক্ষাৎ ছিল কালীঘাটের কাকুর । কিন্তু তদন্তকারীরা মনে করছেন, শুধুমাত্র তাঁর কথায় চাকরি হত না । তিনি শুধুমাত্র ছিলেন একজন সেতু বন্ধনকারী বা অনুঘটক । তিনি প্রভাবশালীদের কাছে টাকা পৌঁছে দিয়ে সেই টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে চাকরি দিতেন । তদন্তকারী আধিকারিকরা সেই বড় মাথাকেই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বলে ইডি সূত্রের খবর । অন্যদিকে তদন্তকারীদের দাবি, 'কালীঘাটের কাকু'র কার্যত দুই হাত কুন্তল আর শান্তনু ৷ এক সময় দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলকেও বলতে শোনা গিয়েছিল, কুন্তলের কাছ থেকেই তিনি কালীঘাটের কাকুর কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছেন ৷


আরও পড়ুন: 'ভাইপোর কর্মসূচি ব্যর্থ, এবার কাটমানির নবজোয়ার আনছেন পিসি'; তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

ইডি সূত্রে খবর, সুজয় কৃষ্ণের অঙ্গুলিহেলনে কখনও সরাসরি তাঁর কাছে, কখনও বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের কাছে টাকা পৌঁছে দিতেন কুন্তলরা । বিশেষজ্ঞদের দিয়ে মোবাইলের সমস্ত নথি লোপাট করার চেষ্টাও করেছিলেন সুজয় । গত জানুয়ারি থেকেই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের সমস্ত নথি নষ্ট করার কাজ শুরু করেছিলেন তিনি । নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত তাঁর ঘনিষ্ঠদেরও সমস্ত নথি নষ্ট করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি । সাতগাছিয়ার বাসিন্দা, বিষ্ণুপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরা ছিলেন সুজয় ঘনিষ্ঠদের অন্যতম । অভিযোগ, 'কাকু' ফেব্রুয়ারিতে তাঁর মোবাইলের সমস্ত নথি নষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে লিখিত বয়ানে ইডিকে জানিয়েছেন রাহুল । সুজয় ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের নষ্ট করা সব তথ্যই উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি ইডি সূত্রের ।

কলকাতা, 2 জুন: এক মাসে কুন্তল ঘোষের অ্যাকাউন্ট থেকে 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অ্যাকাউন্টে এসেছিল পাঁচ লক্ষ টাকা । আবার সেই টাকা ফের ফিরে গিয়েছিল কুন্তল ঘোষের অ্যাকাউন্টে । আর এই লেনদেনের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তাই এখন তদন্তকারীদের কাছে লাখ টাকার প্রশ্ন ৷ কী কারণে কুন্তল ঘোষ সুজয়কৃষ্ণের অ্যাকাউন্টে আচমকা পাঁচ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন এবং কেন সেই টাকা ফের সুজয় কুন্তলকে ফেরৎ পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, সেই বিষয়টি কালীঘাটের কাকুর কাছ থেকে খোলসা করে জানতে চাইছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী আধিকারিকরা । এই রহস্য উদঘাটনের জন্য, প্রয়োজনে কুন্তল ঘোষের সঙ্গে কালীঘাটের কাকুকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করতে পারে ইডি ৷

ইডি সূত্রে খবর, এদিন জেরায় কালীঘাটের কাকু তদন্তকারীদের জানিয়েছেন অত্যন্ত ব্যক্তিগত কারণেই এই টাকার লেনদেন হয়েছিল । এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই । কিন্তু এদিন আদালত চত্বরে কুন্তল ঘোষ বলেন, "ইডি ভুল তথ্য পরিবেশন করে তদন্তকে ভুল পথে পরিচালনা করছে । ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকলেও কোনওদিন কালীঘাটের কাকুকে টাকা দিইনি ।" তাঁর বক্তব্য আদালতে পেশ করারও দাবি জানিয়েছেন কুন্তল । সূত্রের খবর, কালীঘাটের কাকুর বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় ইডি ৷ আর তাই লেনদেনের বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জানতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী আধিকারিকরা চাইছেন কুন্তল ঘোষ এবং কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে ।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, 2017 সাল থেকে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের । এরই সঙ্গে, মধ্য কলকাতার একাধিক রেস্তোরাঁয় তাঁদের দু'জনের মধ্যে গোপন বৈঠকও হয়েছে একাধিকবার ৷ সে তথ্যও হাতে এসেছে ইডির । তদন্তকারীদের অনুমান যে, সেই সব বৈঠকে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মধ্যে কোন চাকরিপ্রার্থীকে কখন চাকরি দেওয়া হবে সেগুলি ঠিক করা হত । ফলে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা রয়েছে ইডির । পাশাপাশি কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে কোন কোন সরকারি দফতরের যোগাযোগ ছিল তাও খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা ।

ইডি'র দাবি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের আমলা ও সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে ভালো সাক্ষাৎ ছিল কালীঘাটের কাকুর । কিন্তু তদন্তকারীরা মনে করছেন, শুধুমাত্র তাঁর কথায় চাকরি হত না । তিনি শুধুমাত্র ছিলেন একজন সেতু বন্ধনকারী বা অনুঘটক । তিনি প্রভাবশালীদের কাছে টাকা পৌঁছে দিয়ে সেই টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে চাকরি দিতেন । তদন্তকারী আধিকারিকরা সেই বড় মাথাকেই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বলে ইডি সূত্রের খবর । অন্যদিকে তদন্তকারীদের দাবি, 'কালীঘাটের কাকু'র কার্যত দুই হাত কুন্তল আর শান্তনু ৷ এক সময় দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলকেও বলতে শোনা গিয়েছিল, কুন্তলের কাছ থেকেই তিনি কালীঘাটের কাকুর কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছেন ৷


আরও পড়ুন: 'ভাইপোর কর্মসূচি ব্যর্থ, এবার কাটমানির নবজোয়ার আনছেন পিসি'; তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

ইডি সূত্রে খবর, সুজয় কৃষ্ণের অঙ্গুলিহেলনে কখনও সরাসরি তাঁর কাছে, কখনও বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের কাছে টাকা পৌঁছে দিতেন কুন্তলরা । বিশেষজ্ঞদের দিয়ে মোবাইলের সমস্ত নথি লোপাট করার চেষ্টাও করেছিলেন সুজয় । গত জানুয়ারি থেকেই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের সমস্ত নথি নষ্ট করার কাজ শুরু করেছিলেন তিনি । নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত তাঁর ঘনিষ্ঠদেরও সমস্ত নথি নষ্ট করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি । সাতগাছিয়ার বাসিন্দা, বিষ্ণুপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরা ছিলেন সুজয় ঘনিষ্ঠদের অন্যতম । অভিযোগ, 'কাকু' ফেব্রুয়ারিতে তাঁর মোবাইলের সমস্ত নথি নষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে লিখিত বয়ানে ইডিকে জানিয়েছেন রাহুল । সুজয় ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের নষ্ট করা সব তথ্যই উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি ইডি সূত্রের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.