কলকাতা, 31 মে: 2018 সাল থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। এমনটাই দাবি ইডি তদন্তকারীদের ৷ রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার রাতেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি'র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ৷
ইডি সূত্রে খবর, মানিক ভট্টাচার্যের এবং কালীঘাটের কাকুর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট রিকভারি করার পর বিভিন্ন তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা । সেই তথ্যের মধ্যে অন্যতম হল, 2018 সাল থেকেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নির্দেশ যেত মানিক ভট্টাচার্যের কাছে ৷ কাদের কাদের চাকরি দিতে হবে থাকত সেই সংক্রান্ত নির্দেশ ৷ এছাড়াও কোন কোন চাকরিপ্রার্থী কত টাকা দিয়েছেন এবং কার কত টাকা বাকি রয়েছে, কার চাকরি আগে করিয়ে দিতে হবে সেই সমস্ত বিষয় দেখতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ৷
এছাড়াও ইডির তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারও এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ৷ সেই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে দিয়ে কালীঘাটের কাকু 2018 সাল থেকে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যে সকল হোয়াটস্যাপ চ্যাট হয়েছিল সেগুলি নষ্ট করিয়ে দেন ৷ ইডি এর দাবি, মূলত মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারের পরপরই সজাগ হয়ে গিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র । তবে ধৃত কুন্তল ঘোষ প্রথম কালীঘাটের কাকু নামটি সামনে আনেন । এরপরই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, কালীঘাটের কাকুর বাড়ি আদতে বেহালার লোক এবং তাঁর নাম সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র । কিন্তু এলাকায় তিনি কালীঘাটের কাকু বলে পরিচিত । তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের কথাও সামনে এসেছে ৷
আরও পড়ুন: ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী'কে 40 লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু, দাবি ইডির
গত 4 মে প্রথমবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বেহালের বাড়িতে হাজির হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা । সেবার তার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পাশাপাশি তার একাধিক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয় ৷ এরপর গত 20 মে সুজয়কৃষ্ণের বেহালার বাড়িতে ফের হাজির হন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা ।