ETV Bharat / state

CBI দপ্তরে শিক্ষামন্ত্রীর হাজিরা লজ্জাজনক : সুজন

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরিই হয়েছে BJP-র বদান্যতায় । BJP-র বড়ো বড়ো নেতারাই আজ তৃণমূলের নেতা হয়েছেন । যেমন পরশ দত্ত, কর্নেল সব্যসাচী বাগচী । এরা এক সময় BJP-র গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন । আজ তারা তৃণমূলে এসেছেন দলকে অক্সিজেন দিতে ।" অকপট সুজনবাবুর বক্তব্য, "BJP-র থেকে ধার নিয়ে তৃণমূল গড়ে উঠেছে । এখন বাংলায় BJP তৈরি হচ্ছে তৃণমূল থেকে নেতা ধার নিয়ে । তৃণমূল-কংগ্রেস ও BJP একই দলের A টিম ও B টিম ।

sujan
author img

By

Published : Aug 16, 2019, 6:58 PM IST

Updated : Aug 16, 2019, 7:45 PM IST

কলকাতা, 16 অগাস্ট : শিক্ষামন্ত্রী তথা বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে CBI তলব ও তাঁর CGO কমপ্লেক্সে হাজিরা দুর্ভাগ্যজনক ও লজ্জার । মনে করেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী । তাঁর মতে, এসব কারণে পশ্চিমবঙ্গের মান ভ্রূলুণ্ঠিত হচ্ছে । রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী CBI দপ্তরে নিজের কৃতকর্মের জবাব দিতে গেছেন । বামফ্রন্ট সরকারের 34 বছরের জমানায় এমন ঘটনা ঘটেনি । তাই শাসকদলের এই হেভিওয়েট নেতার CBI দপ্তরে হাজিরার ঘটনা মোটেই ভালো চোখে দেখছে না বিরোধীরা ।

বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "এই সরকার যেভাবে চলছে তাতে নেতা-মন্ত্রীদের কোনও মান সম্মান নেই । মুখ্যমন্ত্রী বলছেন কাটমানি, তাতেই অভ্যস্ত সবাই । সারদা, রোজ়ভ্যালি বা নারদ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত মন্ত্রীরা ।" অতীতে পশ্চিমবঙ্গে এই ঘটনা কখনও ঘটেনি বলেই দাবি করেছেন বর্ষীয়ান এই বামনেতা । তাঁর দাবি, "শত চেষ্টা করেও CBI বা ED বামফ্রন্ট সরকারকে কিছু করতে পারেনি । এই সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা যে যতটা প্রভাবশালী, সে ততটাই দুর্নীতিযুক্ত ।"

আজ CBI দপ্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাজিরার ঘটনাকে ন্যক্কারজনক বলে দাবি করেন সুজনবাবু । পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, "আজ হাজার হাজার শিক্ষক তাঁদের নিয়োগ ও বেতনবৃদ্ধির দাবি না জানাতে পেরে ফিরে গেলেন । কেন? কারণ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী CBI দপ্তরে বসে আছেন ।" তৃণমূলকে কটাক্ষ করে সুজনবাবু বলেন, "এর আগে কোন কোন নেতা-মন্ত্রী জেলে ছিলেন তা আমাদের সকলেরই জানা । অপদার্থ সরকার । এরাই রাজ্যের মান সম্মান শেষ করে দিল । খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা । CBI আধিকারিকরাও ভাবছেন যে তাঁরা কোন রাজ্যে এসে পড়লেন ।" তিনি আরও বলেন, "গত আট বছরে এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে । কিন্তু রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী CBI দপ্তরে জেরার জন্য হাজির, এই ঘটনা নজিরবিহীন ।"

মুখ্যমন্ত্রীর অতীতের বক্তব্যের সমালোচনা করে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "ইতিহাসে কোথাও নেই যেখানে মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলছেন যে তিনি চোর । তাঁর দলের অন্যতম সৈনিক, যিনি আবার এখন BJP-র নেতা, সেই মুকুল রায় চোর । দলের অনেক নেতা-মন্ত্রীর নাম ধরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে তাঁরা চোর । এই ঘটনা কোনওদিন এই রাজ্যে ঘটেনি ।"

শুনুন বক্তব্য

পাশাপাশি তৃণমূল ছেড়ে একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের BJP-তে যোগদান প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "যাহা BJP, তাহাই তৃণমূল । কে কোথায় যোগদান করল তা গুরুত্বপূর্ণ নয় ।" সুজনবাবুর দাবি, "পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরিই হয়েছে BJP-র বদান্যতায় । BJP-র বড় বড় নেতারাই আজ তৃণমূলের নেতা হয়েছেন । যেমন পরশ দত্ত, কর্নেল সব্যসাচী বাগচী । এরা এক সময় BJP-র গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন । আজ তাঁরা তৃণমূলে এসেছেন দলকে অক্সিজেন দিতে ।" অকপট সুজনবাবুর বক্তব্য, "BJP-র থেকে ধার নিয়ে তৃণমূল গড়ে উঠেছে । এখন বাংলায় BJP তৈরি হচ্ছে তৃণমূল থেকে নেতা ধার নিয়ে । তৃণমূল-কংগ্রেস ও BJP একই দলের A টিম ও B টিম ।"

বর্তমান রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "মানুষের নিত্য সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে নিতেই অপরাধীরা কেবল দলবদল করছে । সকালে তৃণমূল । বিকেলে BJP । এরা দুটি দলই রাজ্যে একে অপরের পরিপূরক । এখন তৃণমূল আছে বলেই BJP রয়েছে । আর সেদিন BJP ছিল বলেই আজ সরকারে তৃণমূল রয়েছে ।"

কলকাতা, 16 অগাস্ট : শিক্ষামন্ত্রী তথা বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে CBI তলব ও তাঁর CGO কমপ্লেক্সে হাজিরা দুর্ভাগ্যজনক ও লজ্জার । মনে করেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী । তাঁর মতে, এসব কারণে পশ্চিমবঙ্গের মান ভ্রূলুণ্ঠিত হচ্ছে । রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী CBI দপ্তরে নিজের কৃতকর্মের জবাব দিতে গেছেন । বামফ্রন্ট সরকারের 34 বছরের জমানায় এমন ঘটনা ঘটেনি । তাই শাসকদলের এই হেভিওয়েট নেতার CBI দপ্তরে হাজিরার ঘটনা মোটেই ভালো চোখে দেখছে না বিরোধীরা ।

বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "এই সরকার যেভাবে চলছে তাতে নেতা-মন্ত্রীদের কোনও মান সম্মান নেই । মুখ্যমন্ত্রী বলছেন কাটমানি, তাতেই অভ্যস্ত সবাই । সারদা, রোজ়ভ্যালি বা নারদ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত মন্ত্রীরা ।" অতীতে পশ্চিমবঙ্গে এই ঘটনা কখনও ঘটেনি বলেই দাবি করেছেন বর্ষীয়ান এই বামনেতা । তাঁর দাবি, "শত চেষ্টা করেও CBI বা ED বামফ্রন্ট সরকারকে কিছু করতে পারেনি । এই সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা যে যতটা প্রভাবশালী, সে ততটাই দুর্নীতিযুক্ত ।"

আজ CBI দপ্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাজিরার ঘটনাকে ন্যক্কারজনক বলে দাবি করেন সুজনবাবু । পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, "আজ হাজার হাজার শিক্ষক তাঁদের নিয়োগ ও বেতনবৃদ্ধির দাবি না জানাতে পেরে ফিরে গেলেন । কেন? কারণ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী CBI দপ্তরে বসে আছেন ।" তৃণমূলকে কটাক্ষ করে সুজনবাবু বলেন, "এর আগে কোন কোন নেতা-মন্ত্রী জেলে ছিলেন তা আমাদের সকলেরই জানা । অপদার্থ সরকার । এরাই রাজ্যের মান সম্মান শেষ করে দিল । খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা । CBI আধিকারিকরাও ভাবছেন যে তাঁরা কোন রাজ্যে এসে পড়লেন ।" তিনি আরও বলেন, "গত আট বছরে এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে । কিন্তু রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী CBI দপ্তরে জেরার জন্য হাজির, এই ঘটনা নজিরবিহীন ।"

মুখ্যমন্ত্রীর অতীতের বক্তব্যের সমালোচনা করে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "ইতিহাসে কোথাও নেই যেখানে মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলছেন যে তিনি চোর । তাঁর দলের অন্যতম সৈনিক, যিনি আবার এখন BJP-র নেতা, সেই মুকুল রায় চোর । দলের অনেক নেতা-মন্ত্রীর নাম ধরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে তাঁরা চোর । এই ঘটনা কোনওদিন এই রাজ্যে ঘটেনি ।"

শুনুন বক্তব্য

পাশাপাশি তৃণমূল ছেড়ে একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের BJP-তে যোগদান প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "যাহা BJP, তাহাই তৃণমূল । কে কোথায় যোগদান করল তা গুরুত্বপূর্ণ নয় ।" সুজনবাবুর দাবি, "পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরিই হয়েছে BJP-র বদান্যতায় । BJP-র বড় বড় নেতারাই আজ তৃণমূলের নেতা হয়েছেন । যেমন পরশ দত্ত, কর্নেল সব্যসাচী বাগচী । এরা এক সময় BJP-র গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন । আজ তাঁরা তৃণমূলে এসেছেন দলকে অক্সিজেন দিতে ।" অকপট সুজনবাবুর বক্তব্য, "BJP-র থেকে ধার নিয়ে তৃণমূল গড়ে উঠেছে । এখন বাংলায় BJP তৈরি হচ্ছে তৃণমূল থেকে নেতা ধার নিয়ে । তৃণমূল-কংগ্রেস ও BJP একই দলের A টিম ও B টিম ।"

বর্তমান রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "মানুষের নিত্য সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে নিতেই অপরাধীরা কেবল দলবদল করছে । সকালে তৃণমূল । বিকেলে BJP । এরা দুটি দলই রাজ্যে একে অপরের পরিপূরক । এখন তৃণমূল আছে বলেই BJP রয়েছে । আর সেদিন BJP ছিল বলেই আজ সরকারে তৃণমূল রয়েছে ।"

Intro:শিক্ষামন্ত্রী এবং বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিজিও কমপ্লেক্স সিবিআইয়ের গোয়েন্দা দপ্তর হাজির হাওয়ার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক এবং লজ্জার বলে মনে করেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গের মান সম্মান ভুলুন্ঠিত হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।


Body:রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী সিবিআই দফতরে নিজের কৃতকর্মের জন্য জবাব দিতে গেছেন। সাম্প্রতিক অতীতে বামফ্রন্ট সরকারের ৩৪ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। শাসকদলের গুরুত্বপূর্ণ পরিষদীয় এবং শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রীর সিবিআই দপ্তরে হাজিরা ঘটনাকে ভালো চোখে দেখছে না বিরোধীরাও।
বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী আজ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এই সরকার যা তৈরি হয়েছে, এবং যেভাবে চলছে তাতে নেতা-মন্ত্রীদের তো কোন মান সম্মান নেই। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন কাটমানি। তাতেই অভ্যস্ত সবাই। চিট ফান্ড এবং নারদা কেলেঙ্কারিতে মন্ত্রীরা যুক্ত। অতীতে পশ্চিমবঙ্গে এই জিনিস কখনো হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। শত চেষ্টা করেও সিবিআই বা ই ডি আগের সরকারকে কিছু করতে পারেনি। এই সরকারের নেতা মন্ত্রী মানে যে যতটা প্রভাবশালী সে ততটাই দুর্নীতিতে যুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। কাঠ মানি এবং দুর্নীতিতে ব্যাপক ভাবে জড়িত না থাকলে সে প্রভাবশালী মন্ত্রী নয় তৃণমূল মন্ত্রিসভার। মন্তব্য সুজন চক্রবর্তীর।
সমগ্র বিষয়টি কি লজ্জার ঘটনা বলে মনে করেন তিনি। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সিবিআই দফতরে বসে। বাইরে হাজার হাজার শিক্ষকমশাই নিয়োগ এবং বেতন নিয়ে দাবি জানাতে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে গিয়ে ফিরে এলেন। কিনা রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী সিবিআই দপ্তরে বসে আছেন। এর আগে কোন কোন নেতা মন্ত্রী জেলেও ছিলেন। তা আমাদের সকলেরই জানা । অপদার্থ সরকার। রাজ্যের মান সম্মান শেষ করল। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সিবিআই অফিসার ভাবছে কোন রাজ্যে এসে তারা পড়েছেন। গত আট বছরে এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে। কিন্তু আগে কখনো এই ঘটনা ঘটেনি। নজিরবিহীন ঘটনা বলে দাবি করেছেন সুজন চক্রবর্তী।
মুখ্যমন্ত্রীর অতীতের বক্তব্যকে উদ্ধৃতি করে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ইতিহাসে কোথাও নেই। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলছেন তিনি চোর। তার দলের অন্যতম সৈনিক যিনি এখন বিজেপির নেতা হয়েছেন, মুকুল রায় চোর। এরকম দলের অনেক নেতা মন্ত্রীর নাম ধরে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তারা কি চোর। এই ঘটনা কোনদিন এরাজ্যে ঘটেনি।
অন্যদিকে তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি যাহা, তাহাই তৃণমূল। কে কোথায় যোগদান করলে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয় বিজেপির বদান্যতায়। বিজেপির বড় বড় নেতা আজ তৃণমূলের নেতা হয়েছেন। যেমন পরশ দত্ত, কর্নেল সব্যসাচী বাগচী। এরা এক সময় ভারতীয় জনতা পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। আজ তারাই বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসেছেন দলকে অক্সিজেন দিতে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা হয়েছে বিজেপির থেকে নেতাদের ধার নিয়ে। অন্যদিকে বিজেপিও তৈরি তৃণমূলের থেকে মন্ত্রী ধার নিয়ে। একই দলের এ টিম। আর বি টিম। মানুষের নিত্য সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়েদিতে অপরাধীরা কেবল দলবদল করছে। সকালে তৃণমূল। বিকেলে বিজেপি। এই রাজ্যে একে অপরের পরিপূরক। তৃণমূল আছে বলেই বিজেপি রয়েছে। সেদিনও বিজেপি ছিল বলে আজ তৃণমূল রয়েছে বলে মন্তব্য করেন সুজন চক্রবর্তী।


Conclusion:
Last Updated : Aug 16, 2019, 7:45 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.