কলকাতা, 24 জানুয়ারি: আইএসএফ (ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি পুলিশ ৷ এই অভিযোগ তুলে লালবাজার থেকে বেরিয়ে ক্ষোভ ফেটে পড়লেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ শনিবার ধর্মতলায় অশান্তির ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছিল ভাঙরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে ৷ এদিন লালবাজার থেকে বেরিয়ে এসে সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই পুলিশ এমন আচরণ করেছে ৷ লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে রাখা হয়েছে নওশাদকে (Sujan Chakraborty could not meet Naushad Siddiqui) ৷
এদিন এই সিপিএম নেতা জানান, পুলিশ বলেছে শুধুমাত্র উকিল ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে নওশাদ সিদ্দিকীকে (ISF MLA Naushad Siddiqui)। তবে উকিল গেলেও এদিন দেখা করতে দেওয়া হয়নি । তাঁর কথায়, "দুই যুগ্ম কমিশনার সঙ্গে কথা বলেছি । তিনি সিপির সঙ্গে কথা বলেছেন । নবান্নের নির্দেশেই এমন করেছে । এটা যদি অন্য কেউ হতো অনুব্রত মার্কা কেউ তাহলে বিশেষ ব্যাবস্থা থাকত । দেখা করতে দিলেন না ।" সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, "বিরোধী হলে শুধু পেটাবেন? পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গল রাজ চলছে । মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই সব হয় । পুলিশ পেটায় তাঁর নির্দেশে । মুখ্যমন্ত্রী যখন আধিকারিকদের তুই করে বলেন তখন বোঝা যায় সেটা শুনতেই তাঁরা অভ্যস্ত । পরিবারের লোকজনকে একান্তে কথা বলতে দেওয়া উচিত ছিল । পরিবারের লোকজনকে একান্তে বলতে দেওয়া হয়নি, আমদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি ৷" ভাঙরে জরুরি অবস্থা চলছে বলেও তাঁর অভিযোগ ৷
আরও পড়ুন: ধর্মতলার ঘটনায় 1 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত বিধায়ক নওশাদের
এদিন সুজন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যেরও করা সমালোচনা করেন । তিনি বলেন,"অসভ্যের মতো মন্তব্য করেছেন তিনি ইতিহাস জানেন না । ইতিহাস না জেনে হঠাৎ মোহামেডান শব্দটি উল্লেখ করলেন কেন?" উল্লেখ্য, শনিবার ছিল আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠা দিবস ৷ সেই উপলক্ষ্যে ধর্মতলায় ওইদিন এক কর্মসূচি ছিল ওই দলের ৷ সেখান থেকেই অশান্তি ছড়ায় ৷ ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ৷ তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ আইএসএফ-এর আরও 17 কর্মী-সমর্থক গ্রেফতার হন ৷ ধৃতদের মধ্যে 1 জন নাবালক ৷ পুলিশের দাবি আইএসএফের আক্রমণে 19 জন পুলিশ কর্মীও আধিকারিক আক্রান্ত হন ওইদিন ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ৷ 1 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷