কলকাতা, 3 জানুয়ারি: মঙ্গলবার মেদিনীপুর জেলাকে নিয়ে বৈঠকের পর বুধবার তৃণমূল ভবনে বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলাকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। সূত্রের খবর, নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে সেই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও দিয়েছেন তিনি। যদিও সংবাদমাধ্যমে এদিন এবিষয়ে তিনি সরাসরি মুখ খোলেননি।
তবে দলের বিভিন্ন সূত্র থেকে যতটুকু জানা যাচ্ছে, তাতে এদিন স্পষ্টভাষায় তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, নিজের ইচ্ছে-খুশি মতো বিবৃতি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। রাজ্য-রাজনীতি ইতিমধ্যেই সরগরম শাসকদলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে। সেই আবহে রাজ্য সভাপতির এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলা ধরে ধরে বৈঠক শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি। এদিন প্রথম বৈঠক ছিল বাঁকুড়া জেলা নিয়ে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, যারা অভিমান করে ঘরে বসে আছেন তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এদিনের বৈঠকেই সুব্রত বক্সী বার্তা দিয়েছেন, নিজেদের ইচ্ছামত বিবৃতি দেওয়া যাবে না। এমন কিছু বলা যাবে না, যাতে দল অস্বস্তিতে পড়ে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এই মুহূর্তে বাঁকুড়া জেলার দু'টি আসনই বিজেপির দখলে। এক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধভাবে দু'টি আসন জয়ের জন্যই ঝাঁপাতে হবে তৃণমূলকে। এক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে দলাদলি বন্ধ করার বার্তা দিয়েছেন সুব্রত বক্সী এমনটাই তৃণমূল সূত্রে খবর ।
একই সঙ্গে দলীয় সূত্রে খবর, নতুন-পুরনো সবাই মিলেই লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি। এদিন সুব্রত বক্সী বলেন, "দলের মধ্যে অনেকেই পদ পাননি বলে বসে গিয়েছেন। অনেকে আবার অভিমান করে নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেন। এই পুরনো নতুন দ্বন্দ্ব সরিয়ে রেখে সকলে একসঙ্গে হোন। এটা যুদ্ধের সময় । মান অভিমান ভুলে সকলে এক হয়ে নামুন।"
প্রসঙ্গত, মনে করা হচ্ছে সুব্রত বক্সীর এই বার্তা বাঁকুড়া জেলার জন্য হলেও আদতে তার প্রভাব রাজ্যের সর্বত্র বিস্তৃত। আর সেই জায়গা থেকেই নতুন পুরনো দ্বন্দ্বের সময় একটা নতুন আঙ্গিক এখানে দেখা যাচ্ছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন