কলকাতা, 17 জুন: রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করলেন সুব্রত বক্সি ৷ যদিও সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজ্য সভাপতি পদে আছেন সুব্রত বক্সি। বলা যেতে পারে, জন্মলগ্ন থেকেই তিনি দলের রাজ্য সভাপতি। রাজ্যে যখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। সাজ সাজ রব গোটা দলে। ঠিক সেই সময়ই দলের রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়তে চাইলেন সুব্রত বক্সি ৷
সূত্রের খবর, শনিবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির বৈঠকেই রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়তে চেয়েছেন সুব্রত বক্সি। শরীর অসুস্থ, এই অবস্থায় তাঁকে যেন এই গুরুদায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নবজোয়ারের সাফল্যকে দেখিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আরও বড় দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশও করেন তিনি। অভিষেকের কর্মসূচির তারিফ করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ পর্যন্ত দল তাঁর দাবি মানেনি ৷ পত্রপাট এদিন সুব্রত বক্সির দাবি খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, আগে এই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সাংসদ পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন সুব্রত বক্সি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে লোকসভা থেকে অব্যাহতি দিলেও রাজ্যসভার সাংসদদের দায়িত্ব দিয়েছেন। আর এই অবস্থায় সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে এবার অব্যাহতি চাওয়া যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এমন একটা সময় দাঁড়িয়ে সুব্রত বক্সি রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়তে চাইলেন, যে সময় রাজ্যে সব থেকে কঠিন পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখোমুখি হচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। বছর ঘুরতেই আবার রয়েছে লোকসভা ভোট। তাহলে তিনি কি এর গুরুত্ব না বুঝেই দলীয় পদ ছাড়তে চেয়েছেন, নাকি, এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে ? উত্তরসুরিকে পদ ছেড়ে দেওয়ার তাগিদ থেকে এমনটি করলেন তিনি। সূত্রের খবর, যতদূর জানা যাচ্ছে তাতে এদিন নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে বক্তব্য রাখতে উঠে গত 60 দিন ধরে নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে যেভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত ঘুরেছেন তার প্রশংসা করেছেন সুব্রত বক্সি।
আরও পড়ুন: বোস উপাধি নিলেই সুভাষচন্দ্র হওয়া যায় না, আনন্দের নিরপেক্ষতার প্রশ্নে আক্রমণ কল্যাণের
যেভাবে তিনি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন এবং তার সঙ্গে গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন সে কথা মাথায় রেখেই তিনি সুপারিশ করেছেন। আরও বড় দায়িত্ব যেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া হয় এমন দাবিও তিনি করেছেন। প্রকৃতির নিয়ম পুরনোকে নতুনের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হয়। তাই তিনি অভিষেককে তাঁর রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর আস্থাভাজন দীর্ঘদিনের সহকর্মীর উপরই ভরসা রেখেছেন। চেয়েছেন তিনি এই দায়িত্ব চালিয়ে যান।