ETV Bharat / state

বজ্রপাতে মৃত্যু স্বামীর, সংগীতার জন্মদিনের আনন্দ বদলে গেল মুহূর্তে - জন্মদিনেই মাথায় 'বাজ' সংগীতার, মৃত্যু স্বামীর

স্ত্রী সংগীতা পালের জন্মদিনে ভিক্টোরিয়া বেড়াতে গেছিলেন ৷ বজ্রপাত কেড়ে নিল সুবীর পালের জীবন ৷ সংগীতা পাল এখন আড়াই বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে SSKM-এ চিকিৎসাধীন ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Aug 16, 2019, 11:27 PM IST

Updated : Aug 17, 2019, 12:27 AM IST

দমদম, ১৬ আগস্ট : জন্মদিন ছিল স্ত্রীর । সেই উপলক্ষ্যেই সপরিবারে ভিক্টোরিয়া বেড়াতে গেছিলেন । আনন্দের দিন এক লহমায় যেন বদলে গেল ৷ মুহূর্তের বজ্রপাত কেড়ে নিল জীবন ৷ স্বামীকে হারিয়ে দমদম ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দা সংগীতা পাল এখন আড়াই বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে SSKM-এ চিকিৎসাধীন ।

স্ত্রী সংগীতা পাল ও কন্যা সানভিকে নিয়ে দুপুরে ভিক্টোরিয়া বেড়াতে গেছিলেন সুবীর পাল ৷ সংগীতা বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন । বিকেলের দিকে হঠাৎ কালো মেঘ ঘনিয়ে আসে ৷ শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি, বজ্রপাত । মুহূর্তের বজ্রপাত ছারখার করে দিল একটু আগে জন্মদিন সেলিব্রেট করা সুখী পরিবারকে ৷

স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে ছোট্ট পরিবার সংগীতার । ভাড়া থাকতেন ক্যান্টনমেন্টের সুকান্তপল্লি এলাকায় । বিয়ের আগে খ্রিশ্চিয়ান ধর্মালম্বী ছিলেন । সেই কারণে সুবীরের পরিবার প্রথম দিকে মেনে নেয়নি । তবে সুবীর তাঁকে ছেড়ে যাননি । ভালোবেসে বছর চারেক আগে বিয়ে হয় তাঁদের । সুবীর নিজের বাড়ি ছেড়ে ওঠেন ভাড়াবাড়িতে । তবে সানভি ভূমিষ্ঠ হওয়ায় পর সম্পর্ক স্বাভাবিক হয় দুই পরিবারের । বেশ ভালো দিন কাটছিল তাঁদের । জমে উঠেছিল সুবীরের চশমার ব্যবসাও ৷ কিন্তু শুক্রবারের সন্ধ্যা যেন সব হিসেব গুলিয়ে দিল ৷

image
সংগীতা পাল ও তাঁর মেয়ে সানভি

সংগীতার ভাড়া বাড়ির মালিক অভিনন্দন বিশ্বাস বলেন, "ধর্ম ও পরিবার কিছুই বাধা হতে পারেনি ওদের কাছে । খুব ভালো মানুষ ছিল । হাসিখুশি থাকত । আজ সকালে খোশমেজাজে বের হয়েছিল । বিকেলে খবরটা শুনলাম । মর্মান্তিক ব্যাপার ।"

ভিডিয়োয় শুনুন মৃতের শ্যালকের বক্তব্য

দমদম, ১৬ আগস্ট : জন্মদিন ছিল স্ত্রীর । সেই উপলক্ষ্যেই সপরিবারে ভিক্টোরিয়া বেড়াতে গেছিলেন । আনন্দের দিন এক লহমায় যেন বদলে গেল ৷ মুহূর্তের বজ্রপাত কেড়ে নিল জীবন ৷ স্বামীকে হারিয়ে দমদম ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দা সংগীতা পাল এখন আড়াই বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে SSKM-এ চিকিৎসাধীন ।

স্ত্রী সংগীতা পাল ও কন্যা সানভিকে নিয়ে দুপুরে ভিক্টোরিয়া বেড়াতে গেছিলেন সুবীর পাল ৷ সংগীতা বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন । বিকেলের দিকে হঠাৎ কালো মেঘ ঘনিয়ে আসে ৷ শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি, বজ্রপাত । মুহূর্তের বজ্রপাত ছারখার করে দিল একটু আগে জন্মদিন সেলিব্রেট করা সুখী পরিবারকে ৷

স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে ছোট্ট পরিবার সংগীতার । ভাড়া থাকতেন ক্যান্টনমেন্টের সুকান্তপল্লি এলাকায় । বিয়ের আগে খ্রিশ্চিয়ান ধর্মালম্বী ছিলেন । সেই কারণে সুবীরের পরিবার প্রথম দিকে মেনে নেয়নি । তবে সুবীর তাঁকে ছেড়ে যাননি । ভালোবেসে বছর চারেক আগে বিয়ে হয় তাঁদের । সুবীর নিজের বাড়ি ছেড়ে ওঠেন ভাড়াবাড়িতে । তবে সানভি ভূমিষ্ঠ হওয়ায় পর সম্পর্ক স্বাভাবিক হয় দুই পরিবারের । বেশ ভালো দিন কাটছিল তাঁদের । জমে উঠেছিল সুবীরের চশমার ব্যবসাও ৷ কিন্তু শুক্রবারের সন্ধ্যা যেন সব হিসেব গুলিয়ে দিল ৷

image
সংগীতা পাল ও তাঁর মেয়ে সানভি

সংগীতার ভাড়া বাড়ির মালিক অভিনন্দন বিশ্বাস বলেন, "ধর্ম ও পরিবার কিছুই বাধা হতে পারেনি ওদের কাছে । খুব ভালো মানুষ ছিল । হাসিখুশি থাকত । আজ সকালে খোশমেজাজে বের হয়েছিল । বিকেলে খবরটা শুনলাম । মর্মান্তিক ব্যাপার ।"

ভিডিয়োয় শুনুন মৃতের শ্যালকের বক্তব্য
Intro:



দমদম, ১৬ আগস্ট: আজ ছিল তার জন্মদিন। জন্মদিন উপলক্ষে স্বামী সন্তানকে নিয়ে ভিক্টোরিয়া বেড়াতে গিয়েছিলেন। আনন্দের দিন এক লহমায় এক ভয়ংকর দিনে পরিণত হল। ক্ষনিকের বজ্রপাত কেড়ে নিল তার সিঁথির সিঁদুর। দমদম ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দা সংগীতা পাল এখন আড়াই বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে বজ্রাঘাতে জেরে এস এস কে এম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্বামী সুবীর পাল ও কন্যা সানভিকে নিয়ে আজ দুপুরে ভিকটোরিয়া বেড়াতে গিয়েছিলেন বেসরকারী স্কুলের শিক্ষিকা সঙ্গীতা পাল। আজ ছিল তার জন্মদিন। দুপরে ভিকটোরিয়ার সাউথ গেটের কাছে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় সুবীরের। আহত হন তিনি ও তার কন্যা। খুশীর দিন এভাবে তার জীবনে বিপর্যয় নিয়ে আসবে স্বপ্নেও ভাবতে পারেন নি তিনি।

Body:স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে ছোট্ট পরিবার তাদের। ভাড়া থাকতেন ক্যান্টনমেন্টের সুকান্ত পল্লী এলাকায়। বিয়ের আগে খ্রিস্টান মতাবলম্বী ছিলেন তিনি। নাম ছিল লুসি গোমস। সেই কারণে সুবীরের পরিবার প্রথম দিকে মেনে নেয়নি। তবে সুবীর তাকে ছেড়ে যাননি। ভালবেসে বছর চারেক আগে বিয়ে হয় তাদের। সুবীর নিজের বাড়ি ছেড়ে ওঠেন ভাড়াবাড়িতে। তবে সানভি ভূমিষ্ঠ হওয়ায় পর সম্পর্ক স্বাভাবিক হয় দুই পরিবারের। বেশ ভাল দিন কাটছিল তাদের। সুবীরের চশমার ব্যবসা ভাল চলছিল। কিন্তু শুক্রবার হঠাৎ ছন্দপতন হল।

Conclusion:যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সুবীর ও সঙ্গীতা সেই বাড়ির মালিক অভিনন্দন বিশ্বাস জানান, ধর্ম ও পরিবার কিছুই বাধা হতে পারেনি ওদের কাছে। খুব ভাল মানুষ ছিল ওরা। হাসিখুশি থাকত। আজ সকালে খোশমেজাজে বের হয়েছিল। বিকেলে খবরটা শুনলাম। মর্মান্তিক ব্যাপার।
Last Updated : Aug 17, 2019, 12:27 AM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.