ETV Bharat / state

Subhaprasanna: মমতার সঙ্গে 'সব মিটে গেলেও' দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে অবস্থান বদলাচ্ছেন না শুভাপ্রসন্ন

মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে 'সবকিছু মিটে গেলেও' দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে তিনি তাঁর অবস্থান বদলাচ্ছেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন ৷ ইটিভি ভারতকে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি কী বললেন, দেখে নেওয়া যাক ৷

author img

By

Published : May 14, 2023, 6:08 PM IST

Subhaprasanna
শুভাপ্রসন্ন
একান্ত আলাপে শুভাপ্রসন্ন

কলকাতা, 14 মে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য ৷ তবে দিনকয়েক আগে ভাষা দিবসে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল ৷ আর এ বার দ্য কেরালা স্টোরি রাজ্যে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন চিত্রকর ৷ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, একজন শিল্পী হিসেবে আরেক শিল্পীর কাজের উপর নিষেধাজ্ঞাকে মেনে নিতে পারেননি । এই বিষয়টি নিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখও খুলেছেন । তাই কি তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ? তাই কি শুভাপ্রসন্নর বাড়ি গিয়ে চা-বিস্কুট খাওয়া ? এমনই নানা প্রশ্নের সোজাসাপটা উত্তর দিলেন শুভাপ্রসন্ন ৷

যেই ফিল্ম নিয়ে এখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়, সেই 'দ্য কেরালা স্টোরি' ছবিটি আজ পর্যন্ত বক্স অফিস 97 কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে । আর মাত্র একটা দিন । তারপরেই ছবিটি পৌঁছে যাবে 100 কোটিতে । বক্স অফিসে বাজিমাত করার পাশাপাশি দর্শক মহলেও বিশেষ সাড়া ফেলেছে ছবিটি । তবে দেশের অন্যান্য শহরগুলিতে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহগুলিতে রমরমিয়ে চললেও বঙ্গে এই ছবিটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে । ইতিমধ্যেই এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা । তবে এরই মধ্যে শাসক শিবিরে ছবিটি নিয়ে দু রকমের মত সামনে এসেছে ।

এই বিষয়ে শুভাপ্রসন্ন জানান যে, এটা নিয়ে তিনি আগেই প্রতিবাদ করেছেন । কারণ তিনি মনে করেন যে, কোনও শিল্পীর কাজ নিষেধ করাটা উচিত নয় । তাঁর মতে, ছবির পরিচালক অত্যন্ত গুণী । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসক হিসেবে রাজ্যকে শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্যে রাখার চেষ্টা করেন ৷ তাই হয়তো তিনি মনে করেছেন বলে ছবির প্রদর্শন বন্ধ করেছেন । তাঁর হয়তো দেখার সুযোগ হয়নি । কিন্তু তিনি খুব সতর্ক যে, কোনও ভাবেই যাতে তাঁর রাজ্যে কোনও বিশৃংখল অবস্থা না আসে । এমনটাই মনে করেন শুভাপ্রসন্ন ৷ তিনি বলেন, "আমি আমার কথা বলেছি । আমি মনে করি যে এতে বিশৃংখল হওয়ার কোনও কারণ নেই । সত্য ঘটনা অবলম্বন করেই ছবিটি তৈরি হয়েছে ।"

'দ্য কেরালা স্টোরি'র উপর নিষেধজ্ঞার বিরুদ্ধে শুভাপ্রসন্ন নিজের মনের ভাব প্রকাশ করার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ চা খেতে গিয়েছিলেন শিল্পীর বাড়িতে । তৃণমূল কংগ্রেস এবং শুভাপ্রসন্নের মধ্যে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান থেকেই যে দূরত্ব দেখা গিয়েছিল, সেই দূরত্ব ঘোচাতেই কি মমতার দূত হয়ে শিল্পীর বাড়িতে যান কুণাল ? খবরটি সামনে আসার পরেই রাজনৈতিক মহলে এ হেন জল্পনা শুরু হয়েছে ।

Subhaprasanna
নিজের বাড়িতে শুভাপ্রসন্ন

শুভাপ্রসন্ন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে চা খাওয়ার প্রসঙ্গে জানান যে, কুণাল ঘোষ অনেক দিন থেকেই তাঁর বাড়িতে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন । এটা শুধুমাত্র সমাপতন ছাড়া আর কিছুই নয় বলে দাবি শুভাপ্রসন্নর । তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর অনেক কথা হয়েছে । এই নিয়ে আর কোনও 'ব্যাপার' নেই বলেই জানান শিল্পী ।

এর আগেও যখন শিল্পী এমএফ হুসেনের সরস্বতী ঠাকুরের ছবি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল তখন তিনি এবং পরিচালক মৃণাল সেন প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন । শুভাপ্রসন্নের মতে, ওটা বজরং দলের কাজ ছিল । সে দিন যা হয়েছিল, সেটাও উচিত হয়নি । তবে দুটি বিষয়ের মধ্যে তথাকথিত মিল না থাকলেও একটা আঁচ আছে বলে মনে করেন শিল্পী ।

পরিচালক অনীক দত্তর 'ভবিষ্যতের ভূত' মুক্তি পাওয়ার সময়ও বিস্তর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল । এই বিষয়ে শিল্পী বলেন, "ওই পরিচালকটি একটু গন্ডগোলের । ওই পরিচালকটি নানা রকম কথা বার্তা বলেন । ফিল্ম ফেস্টিভালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার দেখে ছিঁড়ে ফেলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন । ওই পরিচালকটি এই রকম ।" শিল্পী দাবি করেন যে, পরিচালক অনীক দত্তের 'ভূতের ভবিষৎ' তাঁর মৌলিক ছবি নয় । অন্য একটি ছবির কপি । অনীক একটু ঘুরিয়ে উপস্থাপনা করেছেন মাত্র ।

শুভাপ্রসন্নর মতে, বিবিসির ডকুমেন্টারি 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন' এবং 'দ্য কেরালা স্টোরি' র মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে । কারণ বিবিসির ডকুমেন্টরি একেবারে সত্যি ঘটনা তুলে ধরেছে । কারণ বিবিসি কখনও মিথ্যাচার করে না বলে দাবি তাঁর ।

আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন রয়েছে । আর ইতিমধ্যেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসে 35 -এর ম্যাজিক ফিগারের টার্গেট দিয়ে গিয়েছেন । আর এটা বাস্তবে পেতে হলে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গেরুয়া শিবিরের । তাহলে কি 'দ্য কেরালা স্টোরি'কে হাতিয়ার করে এক সম্প্রদায়ের মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করছে বিজেপি ? এই বিষয়ে শুভাপ্রসন্ন বলেন, "সেটা বলতে পারব না । তবে মোদির অবস্থা ভালো নয় । কর্ণাটকের ফলাফল দেখলাম । এবং গোটা দক্ষিণটাই চলে যাচ্ছে । বাংলাতে তো সে দাঁত ফোটাতে পারবে না । সুতরাং আগামী লোকসভায় কী হবে সেটা মানুষ বুঝতে পারছেন ।"

গত বছর দেশপ্রিয় পার্কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের অনুষ্ঠানে শুভাপ্রসন্ন বক্তব্য রাখতে উঠে বাংলা ভাষায় পানি, দাওয়াত এই ধরনের শব্দের ব্যবহার নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন । আজ সেই প্রসঙ্গেই আবারও তিনি বলেন, "আমার কথা অনেকের ভালো নাও লাগতে পারে । তবে আমি যেটা বিশ্বাস করি বলি । তবে ভাষা যার যার । যেটা প্রকাশ করতে সুবিধে এবং শুনতে মিষ্টি লাগে সেটাই সবাই ব্যবহার করেন ।"

আরও পড়ুন: জলকে পানি, মাকে আম্মা বলে, এটা মানতে হবে; ভাষা দিবসে শুভাপ্রসন্নকে ভর্ৎসনা মমতার

একান্ত আলাপে শুভাপ্রসন্ন

কলকাতা, 14 মে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য ৷ তবে দিনকয়েক আগে ভাষা দিবসে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল ৷ আর এ বার দ্য কেরালা স্টোরি রাজ্যে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন চিত্রকর ৷ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, একজন শিল্পী হিসেবে আরেক শিল্পীর কাজের উপর নিষেধাজ্ঞাকে মেনে নিতে পারেননি । এই বিষয়টি নিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখও খুলেছেন । তাই কি তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ? তাই কি শুভাপ্রসন্নর বাড়ি গিয়ে চা-বিস্কুট খাওয়া ? এমনই নানা প্রশ্নের সোজাসাপটা উত্তর দিলেন শুভাপ্রসন্ন ৷

যেই ফিল্ম নিয়ে এখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়, সেই 'দ্য কেরালা স্টোরি' ছবিটি আজ পর্যন্ত বক্স অফিস 97 কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে । আর মাত্র একটা দিন । তারপরেই ছবিটি পৌঁছে যাবে 100 কোটিতে । বক্স অফিসে বাজিমাত করার পাশাপাশি দর্শক মহলেও বিশেষ সাড়া ফেলেছে ছবিটি । তবে দেশের অন্যান্য শহরগুলিতে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহগুলিতে রমরমিয়ে চললেও বঙ্গে এই ছবিটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে । ইতিমধ্যেই এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা । তবে এরই মধ্যে শাসক শিবিরে ছবিটি নিয়ে দু রকমের মত সামনে এসেছে ।

এই বিষয়ে শুভাপ্রসন্ন জানান যে, এটা নিয়ে তিনি আগেই প্রতিবাদ করেছেন । কারণ তিনি মনে করেন যে, কোনও শিল্পীর কাজ নিষেধ করাটা উচিত নয় । তাঁর মতে, ছবির পরিচালক অত্যন্ত গুণী । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসক হিসেবে রাজ্যকে শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্যে রাখার চেষ্টা করেন ৷ তাই হয়তো তিনি মনে করেছেন বলে ছবির প্রদর্শন বন্ধ করেছেন । তাঁর হয়তো দেখার সুযোগ হয়নি । কিন্তু তিনি খুব সতর্ক যে, কোনও ভাবেই যাতে তাঁর রাজ্যে কোনও বিশৃংখল অবস্থা না আসে । এমনটাই মনে করেন শুভাপ্রসন্ন ৷ তিনি বলেন, "আমি আমার কথা বলেছি । আমি মনে করি যে এতে বিশৃংখল হওয়ার কোনও কারণ নেই । সত্য ঘটনা অবলম্বন করেই ছবিটি তৈরি হয়েছে ।"

'দ্য কেরালা স্টোরি'র উপর নিষেধজ্ঞার বিরুদ্ধে শুভাপ্রসন্ন নিজের মনের ভাব প্রকাশ করার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ চা খেতে গিয়েছিলেন শিল্পীর বাড়িতে । তৃণমূল কংগ্রেস এবং শুভাপ্রসন্নের মধ্যে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান থেকেই যে দূরত্ব দেখা গিয়েছিল, সেই দূরত্ব ঘোচাতেই কি মমতার দূত হয়ে শিল্পীর বাড়িতে যান কুণাল ? খবরটি সামনে আসার পরেই রাজনৈতিক মহলে এ হেন জল্পনা শুরু হয়েছে ।

Subhaprasanna
নিজের বাড়িতে শুভাপ্রসন্ন

শুভাপ্রসন্ন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে চা খাওয়ার প্রসঙ্গে জানান যে, কুণাল ঘোষ অনেক দিন থেকেই তাঁর বাড়িতে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন । এটা শুধুমাত্র সমাপতন ছাড়া আর কিছুই নয় বলে দাবি শুভাপ্রসন্নর । তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর অনেক কথা হয়েছে । এই নিয়ে আর কোনও 'ব্যাপার' নেই বলেই জানান শিল্পী ।

এর আগেও যখন শিল্পী এমএফ হুসেনের সরস্বতী ঠাকুরের ছবি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল তখন তিনি এবং পরিচালক মৃণাল সেন প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন । শুভাপ্রসন্নের মতে, ওটা বজরং দলের কাজ ছিল । সে দিন যা হয়েছিল, সেটাও উচিত হয়নি । তবে দুটি বিষয়ের মধ্যে তথাকথিত মিল না থাকলেও একটা আঁচ আছে বলে মনে করেন শিল্পী ।

পরিচালক অনীক দত্তর 'ভবিষ্যতের ভূত' মুক্তি পাওয়ার সময়ও বিস্তর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল । এই বিষয়ে শিল্পী বলেন, "ওই পরিচালকটি একটু গন্ডগোলের । ওই পরিচালকটি নানা রকম কথা বার্তা বলেন । ফিল্ম ফেস্টিভালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার দেখে ছিঁড়ে ফেলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন । ওই পরিচালকটি এই রকম ।" শিল্পী দাবি করেন যে, পরিচালক অনীক দত্তের 'ভূতের ভবিষৎ' তাঁর মৌলিক ছবি নয় । অন্য একটি ছবির কপি । অনীক একটু ঘুরিয়ে উপস্থাপনা করেছেন মাত্র ।

শুভাপ্রসন্নর মতে, বিবিসির ডকুমেন্টারি 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন' এবং 'দ্য কেরালা স্টোরি' র মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে । কারণ বিবিসির ডকুমেন্টরি একেবারে সত্যি ঘটনা তুলে ধরেছে । কারণ বিবিসি কখনও মিথ্যাচার করে না বলে দাবি তাঁর ।

আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন রয়েছে । আর ইতিমধ্যেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসে 35 -এর ম্যাজিক ফিগারের টার্গেট দিয়ে গিয়েছেন । আর এটা বাস্তবে পেতে হলে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গেরুয়া শিবিরের । তাহলে কি 'দ্য কেরালা স্টোরি'কে হাতিয়ার করে এক সম্প্রদায়ের মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করছে বিজেপি ? এই বিষয়ে শুভাপ্রসন্ন বলেন, "সেটা বলতে পারব না । তবে মোদির অবস্থা ভালো নয় । কর্ণাটকের ফলাফল দেখলাম । এবং গোটা দক্ষিণটাই চলে যাচ্ছে । বাংলাতে তো সে দাঁত ফোটাতে পারবে না । সুতরাং আগামী লোকসভায় কী হবে সেটা মানুষ বুঝতে পারছেন ।"

গত বছর দেশপ্রিয় পার্কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের অনুষ্ঠানে শুভাপ্রসন্ন বক্তব্য রাখতে উঠে বাংলা ভাষায় পানি, দাওয়াত এই ধরনের শব্দের ব্যবহার নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন । আজ সেই প্রসঙ্গেই আবারও তিনি বলেন, "আমার কথা অনেকের ভালো নাও লাগতে পারে । তবে আমি যেটা বিশ্বাস করি বলি । তবে ভাষা যার যার । যেটা প্রকাশ করতে সুবিধে এবং শুনতে মিষ্টি লাগে সেটাই সবাই ব্যবহার করেন ।"

আরও পড়ুন: জলকে পানি, মাকে আম্মা বলে, এটা মানতে হবে; ভাষা দিবসে শুভাপ্রসন্নকে ভর্ৎসনা মমতার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.