কলকাতা, 9 ডিসেম্বর: ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (Student Council Election) দাবিতে অনড় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Kolkata Medical College) পড়ুয়ারা ৷ তিন দফা দাবিতে অনশন আন্দোলন (Student Hunger Strike) শুরু করেছেন তাঁরা ৷ ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে 30 ঘণ্টা ৷ অশনকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন ৷ একজনের জ্বর আসছে বলেও জানা গিয়েছে ৷ তবু, আন্দোলন প্রত্যাহারে নারাজ অনশনকারীরা ৷
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত থেকে শুরু হয় পড়ুয়াদের আন্দোলন ৷ মঙ্গলবার পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে ওঠে ৷ ওইদিনের একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে আসে ৷ যা নিয়ে পরবর্তীতে বিতর্ক শুরু হয় ৷ প্রশ্ন ওঠে, আন্দোলনকারীদের আচরণ নিয়ে ৷ অভিযোগ, এরপর কালো কাপড় দিয়ে সিসিটিভি ক্য়ামেরা ঢেকে দেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা ৷ তাঁদের বক্তব্য, আন্দোলনের 'ফুটেজ' যদি সামনে আসে, তাহলে অধ্যাপকরা যখন পড়ুয়াদের গায়ে হাত দেন, সেই 'ফুটেজ'ও প্রকাশ্যে আনতে হবে ! তাছাড়া, ঘটনাস্থলে অনেক মহিলা রয়েছেন ৷ তাই তাঁদের গোপনীয়তার কথা মাথায় রেখেও সিসিটিভি ক্য়ামেরা ঢেকে দেওয়া হয়েছে !
আরও পড়ুন: অনশন, আন্দোলনের মধ্যেই শিশুর জটিল অস্ত্রোপচার কলকাতা মেডিক্যালে
অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি করে কলেজ কাউন্সিলের একটি বৈঠক ডাকা হয় ৷ বৈঠক শেষে অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, "যতদিন না অনশন উঠছে, ততদিন সিনিয়র অধ্যাপক চিকিৎসকরা এসে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলবেন ৷ তাঁরা যাতে অনশন তুলে নেন, সেই আবেদন করা হবে ৷ রোজকার 'আপডেট' পাঠানো হবে স্বাস্থ্য ভবনে ৷ 'মেডিক্যাল টিম' সবসময় অনশনকারীদের পরীক্ষা করছে ৷ তবে, পড়ুয়ারা এই পরিষেবা নিতে নারাজ ৷ কলেজ নীতিগতভাবে নির্বাচন চাইলেও সবকিছু মেনেই তা করতে হবে ৷"
অন্যদিকে, পড়ুয়াদের বক্তব্য হল, "আমাদের দাবি মানা হলেই অনশন তুলে নেব ৷ আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতেই কি সেন্ট্রাল ল্যাব বন্ধ হল ? এটার তদন্ত চাই ৷ আমাদের হুমকি কেন দেওয়া হল ? কেন আমাদের গায়ে হাত তোলা হল ? এসবেরও তদন্ত করতে হবে ৷ আর কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে আমাদের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না ৷ তাই এই বৈঠকের কোনও সিদ্ধান্তই আমরা মানছি না ৷"
এরপর অধ্যক্ষ আবারও বলেন, "এখনও পর্যন্ত কোনও দিনই কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে পড়ুয়ারা থাকেন না ৷ আমাদের চিকিৎসকরা চার ঘণ্টা অন্তর আসছেন (অনশনস্থলে) ৷ তবে তাঁদের অনশনকারীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ রাতেও চিকিৎসকরা থাকছেন ৷ যদি দরকার হয়, তাহলে হাসপাতালে ভর্তি হতেও কোনও সমস্যা হবে না ৷ ওঁরা না-চাইলেও আমাদের চিকিৎসকরা রোজই যাবেন অনশনস্থলে ৷ স্বাস্থ্য ভবনের নয়া নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত এটা করা হবে ৷"