কলকাতা, 7 ডিসেম্বর: কর্মবিরতির (Strike) ধাক্কা এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ৷ বেতনবৃদ্ধি (Salary Increment)-সহ একগুচ্ছ দাবিদাওয়াকে সামনে রেখে একদিনের জন্য প্রতীকী কর্মবিরতিতে (Token Cease Work) সামিল হলে আদালতের সমস্ত কর্মচারী ৷ ফলে মাঝ সপ্তাহে শিকেয় উঠল পরিষেবা ৷ কর্মীদের অনুপস্থিতিতে থমকে গেল অধিকাংশ শুনানি ৷
বুধবার যে দিনভর কর্মবিরতি পালন করা হবে, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন ক্লার্ক, কোর্ট অফিসার থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিভাগের দফতরিরা ৷ সেই মতোই এদিন সকাল থেকে কাজে অংশগ্রহণ না করে আদালত চত্বরের বাইরে বেরিয়ে আসেন তাঁরা ৷ বুধবার সকালে দেখা যায়, হাইকোর্টের মূল ফটকের সামনে ব্যানার, প্লাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কর্মীরা ৷
আরও পড়ুন: কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন পরিবহণ মন্ত্রীর, দাবিতে অনড় এসবিএসটিসি-র কর্মীরা
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, স্পেশাল পে কমিশন অনুসারে, তাঁদের জন্য বেতনবৃদ্ধি, ডিএ-সহ যেসব সুবিধার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি আজ পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি ৷ বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন হাইকোর্টের কর্মীরা ৷ তার ভিত্তিতে তিন বিচারপতির একটি কমিটি গড়ে দেন প্রধান বিচারপতি ৷ এক আন্দোলনকারী জানান, "আমরা আমাদের ন্য়ায্য পাওনা চাইছি ৷ সংশ্লিষ্ট কমিটিও আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে ৷ কিন্তু, কত দিনের মধ্যে আমরা আমাদের বকেয়া সমস্ত টাকা পাব, সেই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি ৷ তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই আমাদের আজ প্রতীকী কর্মবিরতি করতে হল ৷ আমরা এটা করতে চাইনি ৷ কারণ, আমরা জানি এতে আমজনতার, আইনজীবীদের সমস্যা হয় ৷ আশা করছি, আমাদের সমস্ত দাবি মেটানো হবে ৷ কিন্তু, তেমনটা না হলে এই আন্দোলন চলবে ৷"
সুপ্রতীক ভট্টাচার্য নামে কলকাতা হাইকোর্টের আর একজন কর্মী বলেন, "হাইকোর্টের কর্মীদের ছ'টি সংগঠনের জয়েন্ট ফোরামের আওতায় আমরা এই টোকেন স্ট্রাইক করছি ৷ 2019 সাল থেকে আমরা আমাদের দাবিদাওয়া জানিয়ে আসছি ৷ এখনও পর্যন্ত তিনটি পে কমিশন হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু, একটি পে কমিশনেরও নির্দেশ মানা হয়নি ৷ আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে ৷ এই অবস্থায় বাধ্য হয়েই একদিনের প্রতীকী কর্মবিরতি করছি আমরা ৷ সপ্তম আরও একটি কর্মী সংগঠন আমাদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করছে ৷"