কলকাতা, 24 মার্চ: ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগ নিয়ে বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে বছরভর প্রচার অভিযানে শামিল হয় কলকাতা পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ । কিন্তু এসবের আড়ালে কলকাতার বুকে বাড়ছে টিবি বা যক্ষ্মা রোগের প্রকোপ । আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাও যথেষ্ট চিন্তার বিষয় । গত ক'বছরে শহরে টিবি রোগের উপর নজরদারি চালানো হলেও সেটা আশানুরূপ নয় । বিপদ বুঝে এ বছর নড়েচড়ে বসেছে পৌর প্রশাসন । শহরের 60টি জায়গায় পথনাটকের মাধ্যমে চলেছে 13 দিনের বিশেষ সচেতনতা প্রচার ।
কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, 2022 সালের 1 জানুয়ারি থেকে 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত শহরে টিবি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 13 হাজার 316 জন । যার মধ্যে অবশ্য অনেকেই চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন । কিন্তু ওই সময়কালে 272 জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে । যা নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্যকর্তারা ।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পৌরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, "কলকাতায় টিবি রোগে মৃত্যুহার চিন্তার । আমরা এই বিষয়ে চলতি বছর প্রচার আরও জোরদার করেছি । শহরজুড়ে চলছে পথনাটিকা । মূলত যে সমস্ত অঞ্চলে টিবি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেখানে প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে । উত্তর এবং মধ্য কলকাতায় এই রোগের প্রকোপ বেশি । এছাড়াও রয়েছে গার্ডেনরিচ এলাকা । যার জেরে শুক্রবার বেলগাছিয়া, কাশীপুর, বেলেঘাটা, ট্যাংরা, তপসিয়া, গড়িয়া, বেহালার বিভিন্ন নিম্ন মধ্যবিত্ত, ঘনবসতিপূর্ণ ও বাজার অঞ্চলে পথনাটক প্রদর্শনী করিয়ে সচেতনতা প্রচারে জোর দেওয়া হয় । এদিন শহরে 1000 জন টিবি আক্রান্তের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুষ্টিগুণসম্পন্ন বিশেষ ফুড প্যাকেট । তাতে রয়েছে ছাতু, ছোলা, ডাল এবং সয়াবিন ।"
ডেপুটি মেয়র ও স্বাস্থ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেন, "অনেকেই চিকিৎসা শুরু করানোর পর শরীর একটু সুস্থ হলেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন । তারপর আবার রোগ দানা বাঁধলে আর সুস্থ করতে সমস্যা হয় । এটি মানুষকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয় । টিবি সংক্রান্ত কাজের জন্য কলকাতাকে দশটি জোনে ভাগ করা হয়েছে । সেখানে 153 জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়মিত বাড়ি বাড়ি ঘুরে মানুষকে বোঝাচ্ছেন ।"
আরও পড়ুন : যক্ষ্মা মোটেই অবহেলার নয়, বিশ্ব টিবি দিবসে জানুন রোগের উপসর্গগুলি