ETV Bharat / state

বাম-কংগ্রেসের জোটজট অব্যাহত, জারি আলোচনা - election

আসন সমঝতা নিয়ে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। তবে জোটজট কাটাতে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Mar 15, 2019, 4:07 AM IST

কলকাতা, ১৫ মার্চ : মনোনয়ন জমার দিন এগিয়ে আসছে। তবে এখনও পর্যন্ত অনিশ্চয়তা কাটেনি কংগ্রেসের সঙ্গে বামফ্রন্টের আসন সমঝোতা নিয়ে। লোকসভা নির্বাচনের আর একমাসও বাকি নেই। অথচ বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস কেউই এখনও তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি।

কংগ্রেসের সঙ্গে বামফ্রন্টের আসন সমঝোতা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। কী হবে জোট ফর্মুলা তা নিয়ে অসন্তোষ CPI(M) বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীও। যদিও তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস এবং BJP-কে আটকাতে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতায় আন্তরিক তাঁরা। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বামফ্রন্টের শরিক দলের প্রতি ক্ষুব্ধ। মঙ্গলবার প্রায় মধ্যরাতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, বিধায়ক শংকর মালাকার, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন CPI(M) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তারপরও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। এখনও পর্যন্ত টালমাটাল অবস্থা আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে। কোন লোকসভা আসনে কে প্রার্থী দেবে তা নিয়ে চূড়ান্ত জটিলতা তৈরি হয়েছে।

জোট আদৌ সম্ভব কী? সে বিষয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানকে জানান, রাহুল গান্ধি প্রদেশ কংগ্রেসকে নির্দেশ দিয়েছে রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য। প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই আসন দু'টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও বামফ্রন্ট শরিক দলগুলি মরিয়া বিভিন্ন আসনে প্রার্থী দিতে। তিনি বলেন,"মুর্শিদাবাদ এবং রায়গঞ্জ আসন দু'টি বাদ দিয়ে বাকি আসনগুলোতে প্রার্থী দিতে সমস্যা হবে না এটা আমরা ভেবেছিলাম। কিন্তু তা হল না। আমাদের তো জোট হওয়ার কথা CPI(M) সঙ্গে। শরিক দলগুলোর সঙ্গে নয়। পঞ্চায়েত বা কাউন্সিল নির্বাচনে জেতার ক্ষমতা নেই যাদের, তারা লোকসভায় প্রার্থী দিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে চাপিয়ে দেওয়া এই জোটে কর্মীরা নিষ্ক্রিয় থাকবে। কংগ্রেস কর্মীরা এই জোট মানবে না। এর ফলে BJP-র হাত শক্ত হবে। কোচবিহার থেকে মালদা কোথাও আমাদের আসন নেই। সবকটি আসনে বামফ্রন্ট প্রার্থী দিচ্ছে। এই যদি ভাগাভাগি হয়, তাহলে কংগ্রেস কেন আসন সমঝোতা করতে যাবে?"

১৯৭৭ সালে জ্যোতি বসু এবং প্রমোদ দাশগুপ্ত যে জোট ফর্মুলার কথা বলেছিলেন সেই প্রসঙ্গ এনে আবদুল মান্নান বলেন,"জ্যোতি বসু এবং প্রমোদ দাশগুপ্ত যে জোট করতে পেরেছিল এরা তা পারেনি। গত বিধানসভায় জোট ফর্মুলা ব্যর্থ হওয়ায় মার খেয়েছিল। জোটের ফর্মুলা এরা বোঝে না। এবারও না মার খায়! মিলেমিশে চলতে হবে। কোথাও পাঁচটা আসন থাকলে সেখানে অন্তত দু'টো আসন কংগ্রেসকে দেওয়া উচিত। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, বালুরঘাট, এবং রায়গঞ্জ কোনও লোকসভা আসনেই কংগ্রেসকে প্রার্থী দিতে দেওয়া হচ্ছে না। হয় CPI(M) প্রার্থী দিচ্ছে, না হলে শরিক দলগুলি প্রার্থী দিচ্ছে। প্রথম দিন বলা হয়েছিল, যেখানে যেমন সেখানে তেমনই মিলেমিশে প্রার্থী দেওয়া হবে। এর ফলে জেলার ছেলেরা লড়াই করার মানসিকতা হারিয়ে ফেলবে। জোট চাইছে বাংলার মানুষ। BJP এবং তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থানকে একমাত্র আটকাতে পারে কংগ্রেস এবং বাম ঐক্য।"

অন্যদিকে CPI(M) পক্ষ থেকে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "আসন সমঝোতা নিয়ে সব রকমের চেষ্টা চলছে। এবিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। দলের পক্ষ থেকে আলোচনা চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং BJP দল ভাঙিয়ে প্রার্থী দিচ্ছে লোকসভা নির্বাচনে। আমাদের একাধিক দলকে মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং BJP-র বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাতে হবে। খুব বড় কাজ। এই কাজের জন্য একটু সময় লাগছে।"

কলকাতা, ১৫ মার্চ : মনোনয়ন জমার দিন এগিয়ে আসছে। তবে এখনও পর্যন্ত অনিশ্চয়তা কাটেনি কংগ্রেসের সঙ্গে বামফ্রন্টের আসন সমঝোতা নিয়ে। লোকসভা নির্বাচনের আর একমাসও বাকি নেই। অথচ বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস কেউই এখনও তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি।

কংগ্রেসের সঙ্গে বামফ্রন্টের আসন সমঝোতা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। কী হবে জোট ফর্মুলা তা নিয়ে অসন্তোষ CPI(M) বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীও। যদিও তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস এবং BJP-কে আটকাতে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতায় আন্তরিক তাঁরা। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বামফ্রন্টের শরিক দলের প্রতি ক্ষুব্ধ। মঙ্গলবার প্রায় মধ্যরাতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, বিধায়ক শংকর মালাকার, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন CPI(M) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তারপরও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। এখনও পর্যন্ত টালমাটাল অবস্থা আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে। কোন লোকসভা আসনে কে প্রার্থী দেবে তা নিয়ে চূড়ান্ত জটিলতা তৈরি হয়েছে।

জোট আদৌ সম্ভব কী? সে বিষয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানকে জানান, রাহুল গান্ধি প্রদেশ কংগ্রেসকে নির্দেশ দিয়েছে রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য। প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই আসন দু'টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও বামফ্রন্ট শরিক দলগুলি মরিয়া বিভিন্ন আসনে প্রার্থী দিতে। তিনি বলেন,"মুর্শিদাবাদ এবং রায়গঞ্জ আসন দু'টি বাদ দিয়ে বাকি আসনগুলোতে প্রার্থী দিতে সমস্যা হবে না এটা আমরা ভেবেছিলাম। কিন্তু তা হল না। আমাদের তো জোট হওয়ার কথা CPI(M) সঙ্গে। শরিক দলগুলোর সঙ্গে নয়। পঞ্চায়েত বা কাউন্সিল নির্বাচনে জেতার ক্ষমতা নেই যাদের, তারা লোকসভায় প্রার্থী দিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে চাপিয়ে দেওয়া এই জোটে কর্মীরা নিষ্ক্রিয় থাকবে। কংগ্রেস কর্মীরা এই জোট মানবে না। এর ফলে BJP-র হাত শক্ত হবে। কোচবিহার থেকে মালদা কোথাও আমাদের আসন নেই। সবকটি আসনে বামফ্রন্ট প্রার্থী দিচ্ছে। এই যদি ভাগাভাগি হয়, তাহলে কংগ্রেস কেন আসন সমঝোতা করতে যাবে?"

১৯৭৭ সালে জ্যোতি বসু এবং প্রমোদ দাশগুপ্ত যে জোট ফর্মুলার কথা বলেছিলেন সেই প্রসঙ্গ এনে আবদুল মান্নান বলেন,"জ্যোতি বসু এবং প্রমোদ দাশগুপ্ত যে জোট করতে পেরেছিল এরা তা পারেনি। গত বিধানসভায় জোট ফর্মুলা ব্যর্থ হওয়ায় মার খেয়েছিল। জোটের ফর্মুলা এরা বোঝে না। এবারও না মার খায়! মিলেমিশে চলতে হবে। কোথাও পাঁচটা আসন থাকলে সেখানে অন্তত দু'টো আসন কংগ্রেসকে দেওয়া উচিত। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, বালুরঘাট, এবং রায়গঞ্জ কোনও লোকসভা আসনেই কংগ্রেসকে প্রার্থী দিতে দেওয়া হচ্ছে না। হয় CPI(M) প্রার্থী দিচ্ছে, না হলে শরিক দলগুলি প্রার্থী দিচ্ছে। প্রথম দিন বলা হয়েছিল, যেখানে যেমন সেখানে তেমনই মিলেমিশে প্রার্থী দেওয়া হবে। এর ফলে জেলার ছেলেরা লড়াই করার মানসিকতা হারিয়ে ফেলবে। জোট চাইছে বাংলার মানুষ। BJP এবং তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থানকে একমাত্র আটকাতে পারে কংগ্রেস এবং বাম ঐক্য।"

অন্যদিকে CPI(M) পক্ষ থেকে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "আসন সমঝোতা নিয়ে সব রকমের চেষ্টা চলছে। এবিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। দলের পক্ষ থেকে আলোচনা চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং BJP দল ভাঙিয়ে প্রার্থী দিচ্ছে লোকসভা নির্বাচনে। আমাদের একাধিক দলকে মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং BJP-র বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাতে হবে। খুব বড় কাজ। এই কাজের জন্য একটু সময় লাগছে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.