কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর: বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সঙ্গীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে জঙ্গি নেতারা । প্রয়োজন নেই সিম কার্ডের । শুধু ফোনে ইন্টারনেটের সংযোগ থাকলেই হল । জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার জঙ্গি নেটওয়ার্ক চলছে এইভাবেই । ওই জঙ্গি সংগঠনের আমের ইজাজ আহমেদকে জেরা করে এই তথ্যই পেয়েছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । ইতিমধ্যেই গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে কিছু পাসওয়ার্ড । সেগুলির মাধ্যমে পুরো নেটওয়ার্কের তথ্য জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা । নেওয়া হচ্ছে কলকাতা পুলিশের সাইন্টিফিক সেলের সহযোগিতা ।
এরাজ্যের কয়েকটি জেলায় ছদ্মবেশে কাজ করে চলেছে JMI-র সদস্যরা ৷ কলকাতা পুলিশের অনুমান JMI-র শীর্ষ নেতারা দক্ষিণের রাজ্যগুলি ও বিহার, ঝাড়খণ্ডে লুকিয়ে রয়েছে । দিন কয়েক আগেই গয়ার বুনিয়াদপুরের পাঠানতলি থেকে ইজাজ আহমেদকে গ্রেপ্তার করে স্পেশাল টাস্কফোর্স । সেখানে একটি ভাড়া বাড়িতে পরিচয় গোপন করে দু'বছর লুকিয়েছিল ইজাজ ৷
ইজাজ আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রচুর তথ্য পেয়েছে স্পেশাল টাস্কফোর্স । তাঁর বয়ান অনুসারে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক । পুলিশ জানতে পেরেছে সিরিয়াল ব্লাস্টের পরিকল্পনা করছিল JMI৷ এছাড়াও ইজাজের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, 6 টি মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ ও জাল ভোটার কার্ড ।
14 দিনের হেফাজত পাওয়ার পাওয়ার ইজাজকে একটানা জেরা করেন তদন্তকারীরা । প্রথমে কিছু না বলতে চাইলও তদন্তকারীদের জেরায় ইজাজের রক্ষণ ভেঙে পড়ে ৷ তার কাছ থেকে টাস্ক ফোর্স জানতে পেরেছে পরিচয় লুকিয়ে যোগাযোগের জন্য জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়া “প্রোটেক্টেড টেক্সট" ব্যবহার করে । ইজাজে কাছে পাওয়া গেছে বেশ কিছু পাসওয়ার্ড। আপাতত সেই পাসওয়ার্ড দিয়ে জানার চেষ্টা চলছে জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়া নিয়ে নানা তথ্য ।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই পাসওয়ার্ডগুলোর মাধ্যমে JMI-র নেটওয়ার্কের হাল-হকিকত পাওয়া যাবে । এমনকি তথ্য মিলতে পারে জামাত-উল-মুজাহিদিনের প্রধান সালাউদ্দিনেরও । আজ ইজাজকে ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় । সেখানে বিচারককেও জানানো হয়েছে এই তথ্য । তদন্তের প্রয়োজনে তাকে ফের 14 দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।