কলকাতা, 7 নভেম্বর : নেতাজি নগরে বৃদ্ধ দম্পতিকে খুন করেছিল রংমিস্ত্রি । রানিকুঠিতে বৃদ্ধকে বেঁধে লুঠপাটের ঘটনায় রাজমিস্ত্রি যোগই ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে ৷ লুটের ঘটনা ঘটিয়ে দুষ্কৃতীরা যাদবপুর স্টেশন দিয়ে পালিয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ । ইতিমধ্যেই দুই সন্দেহভাজনের CCTV ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ ৷ সেই ফুটেজের সূত্র ধরেই শুরু হয়েছে খোঁজ । এ প্রসঙ্গে গোয়েন্দাপ্রধান মুরলীধর শর্মা বলেন, “ কিছু ক্লু পেয়েছি । আশা করছি দ্রুতই ওই ঘটনার তদন্তের জাল গুটিয়ে আনতে পারব আমরা ।"
রানিকুঠিতে বৃদ্ধের বাড়িতে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা ৷ মঙ্গলবার ভোর রাতে প্রাক্তন রেলকর্মী অমল বসুর বাড়িতে হানা দেয় লুটেরারা ৷ তারা দু'জনেই স্ক্রু ড্রাইভার নিয়ে তাঁর দিকে তেড়ে আসেন ৷ চেঁচামেচি করলে প্রাণে মেরে দেওয়ারও হুমকি দেন ৷ তারপর ওই বৃদ্ধকে বেঁধে দুটি আলমারির চাবি নিয়ে বের করে নেয় 48 হাজার টাকা ৷ পাশাপাশি লুট করা হয় প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার সোনার গয়না ৷ ওই বৃদ্ধ লুটেরাদের অনুরোধ করেন, লুঠপাট না চালাতে । তিনি এমনিতেই মানুষজনকে অনেক সাহায্য করেন । তাদেরও প্রয়োজন মত সাহায্য করবেন । কিন্তু কোনও কথাই তারা শোনে না । টাকা এবং গয়না নিয়েই চম্পট দেয় লুটেরার দল ৷
“এক লাখ টাকা গেল কোথায়?" লুটেরাদের প্রথম কথা ছিল সেটাই । একেবারে স্পষ্ট বাংলা উচ্চারণ । কিছুটা যেন দক্ষিণ 24 পরগনার টান । কিন্তু এক লাখ টাকার কথা তারা জানল কী করে? প্রশ্ন করেন তদন্তকারী অফিসার । পুলিশকে কথাটা বলার সময় হঠাৎ এই কথাটা মনে পড়ে যায় বৃদ্ধের । দিন কয়েক আগেই পাশের বাড়ির এক ভদ্রমহিলাকে তাঁর এক লাখ টাকা জমা দেওয়া নিয়ে কিছু কথা বলছিলেন টেলিফোনে । তখন বাড়িতে কাজ করছিল রাজমিস্ত্রির দল । তবে কি টিপার তারাই ? তদন্তকারীরা মনে করছেন সূত্র লুকিয়ে আছে ওই প্রশ্নের মধ্যেই । সেই সূত্রেই দুই রাজমিস্ত্রিকে আটক করেছে যাদবপুর থানা । মনে করা হচ্ছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই জট খুলবে ।