ETV Bharat / state

শেষ মুহূর্তে সরকারকে জানালেও পরিস্থিতি এত খারাপ হত না, সন্দেশখালি নিয়ে দাবি শশীর

Shashi Panja on Sandeshkhali case: সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এই নিয়ে শাসক এবং বিরোধী একে অপরকে আক্রমণ করেছে। রাজ্যপাল এমনকী আদালতের সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে শাসক শিবিরকে। পালটা দিচ্ছে তৃণমূলও।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 6, 2024, 6:36 AM IST

কলকাতা, 6 জানুয়ারি: শেষ মুহূর্তে সরকারকে জানালেও এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিনের ঘটনা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্প ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন মন্ত্রী। এমনিতেই এই ব্যাপারে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস থেকে শুরু করে আদালতের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে। এমনই আবহে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, "ইডি তথা কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে রাজ্যের কোনও প্রান্তের পরিস্থিতি কেমন তা জানা সম্ভব নয়। তাই শেষ মুহূর্তেও যদি রাজ্য সরকারকে জানিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হত তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত। যদি গোপনীয়তার প্রশ্ন হয় তাহলে ইডি অফিসার মুখ্যসচিবকে শেষ মুহূর্তে জানাতে পারতেন। সেক্ষেত্রে অন্তত ব্যাকআপ টিমের ব্যবস্থা করা যেত। এভাবে সরকারি আধিকারিকদের রোষের মুখে পড়তে হত না।"

এদিন শশী পাঁজা আরও বলেন, "এখন রাজ্যের মানুষ বুঝতে পেরেছে বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তাদের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ব্যবহার করছে। তাই এখন আর এগুলি কোনও গোপন বিষয় নয়। মানুষ এগুলো বুঝতে পারছে। হয়তো তা থেকেই প্রতিক্রিয়া।" এদিন রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি নিয়েও সরব হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, " ভোট এলেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি ওঠে। 2021 সালের আগেও এই ঘটনা দেখা গিয়েছিল। এখন আবার আরও একটা নির্বাচন সামনে আসছে। আবার একই কথা উঠছে।"

এদিন বিজেপিকে লক্ষ্য করে শশী পাঁজা বলেন, "প্ররোচনা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপি সবার আগে। তাই দয়া করে আপনারা (রাজ্যবাসী) কেউ তাতে পা দেবেন না। কোথাও দরকার হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী যাবে। দরকার পড়লে রাজ্যের পুলিশ যাবে। তারাই পরিস্থিতি সামলাবে। আপনারা যাওয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হবে।"

এদিন রাজ্যপাল রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি এই ঘটনায় রাজ্য সরকারকেও নিশানা করেছেন। সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শশী পাঁজা বলেন, "রাজ্যপাল সরকারের সমালোচনা করছেন। কিন্তু বাস্তবে সরকার ইডির অভিযান সম্পর্কে কিছুই জানত না। আমরা হিংসাকে সমর্থন করছি না। আড়াল করার চেষ্টাও করছি না। কিন্তু বাস্তব তো এটাই সাধারণ মানুষ প্রতিদিন দেখছে, ইডি-সিবিআই তৃণমূল কংগ্রেস তথা বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। সহজ সরল মানুষ হলেও তারাও বুঝতে পারে এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ আছে । শুভেন্দু অধিকারীকে ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা যাওয়ার পরও তাঁর বাড়িতে ইডি-সিবিআই পৌঁছয় না । এসব দেখে বাংলার মানুষ বোঝে, ইডি-সিবিআই কী উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে ।"

আরও পড়ুন:

  1. সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজ্যকে কড়া বার্তা রাজ্যপালের, তলব মুখ্যসচিব-স্বরাষ্ট্রসচিব-ডিজিকে
  2. সন্দেশখালির ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর
  3. সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে, রাজ্যপাল ঘোষণা করছেন না কেন ? সন্দেশখালি নিয়ে উদ্বেগ

কলকাতা, 6 জানুয়ারি: শেষ মুহূর্তে সরকারকে জানালেও এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিনের ঘটনা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্প ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন মন্ত্রী। এমনিতেই এই ব্যাপারে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস থেকে শুরু করে আদালতের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে। এমনই আবহে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, "ইডি তথা কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে রাজ্যের কোনও প্রান্তের পরিস্থিতি কেমন তা জানা সম্ভব নয়। তাই শেষ মুহূর্তেও যদি রাজ্য সরকারকে জানিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হত তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত। যদি গোপনীয়তার প্রশ্ন হয় তাহলে ইডি অফিসার মুখ্যসচিবকে শেষ মুহূর্তে জানাতে পারতেন। সেক্ষেত্রে অন্তত ব্যাকআপ টিমের ব্যবস্থা করা যেত। এভাবে সরকারি আধিকারিকদের রোষের মুখে পড়তে হত না।"

এদিন শশী পাঁজা আরও বলেন, "এখন রাজ্যের মানুষ বুঝতে পেরেছে বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তাদের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ব্যবহার করছে। তাই এখন আর এগুলি কোনও গোপন বিষয় নয়। মানুষ এগুলো বুঝতে পারছে। হয়তো তা থেকেই প্রতিক্রিয়া।" এদিন রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি নিয়েও সরব হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, " ভোট এলেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি ওঠে। 2021 সালের আগেও এই ঘটনা দেখা গিয়েছিল। এখন আবার আরও একটা নির্বাচন সামনে আসছে। আবার একই কথা উঠছে।"

এদিন বিজেপিকে লক্ষ্য করে শশী পাঁজা বলেন, "প্ররোচনা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপি সবার আগে। তাই দয়া করে আপনারা (রাজ্যবাসী) কেউ তাতে পা দেবেন না। কোথাও দরকার হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী যাবে। দরকার পড়লে রাজ্যের পুলিশ যাবে। তারাই পরিস্থিতি সামলাবে। আপনারা যাওয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হবে।"

এদিন রাজ্যপাল রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি এই ঘটনায় রাজ্য সরকারকেও নিশানা করেছেন। সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শশী পাঁজা বলেন, "রাজ্যপাল সরকারের সমালোচনা করছেন। কিন্তু বাস্তবে সরকার ইডির অভিযান সম্পর্কে কিছুই জানত না। আমরা হিংসাকে সমর্থন করছি না। আড়াল করার চেষ্টাও করছি না। কিন্তু বাস্তব তো এটাই সাধারণ মানুষ প্রতিদিন দেখছে, ইডি-সিবিআই তৃণমূল কংগ্রেস তথা বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। সহজ সরল মানুষ হলেও তারাও বুঝতে পারে এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ আছে । শুভেন্দু অধিকারীকে ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা যাওয়ার পরও তাঁর বাড়িতে ইডি-সিবিআই পৌঁছয় না । এসব দেখে বাংলার মানুষ বোঝে, ইডি-সিবিআই কী উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে ।"

আরও পড়ুন:

  1. সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজ্যকে কড়া বার্তা রাজ্যপালের, তলব মুখ্যসচিব-স্বরাষ্ট্রসচিব-ডিজিকে
  2. সন্দেশখালির ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর
  3. সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে, রাজ্যপাল ঘোষণা করছেন না কেন ? সন্দেশখালি নিয়ে উদ্বেগ
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.