কলকাতা, 7 জুলাই: রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ৷ আর তার আগে বাহিনী জট অব্য়াহত ৷ বাকি 485 কোম্পানি বাহিনী কখন এসে পৌঁছবে রাজ্যে, তা নিয়ে চরম ধোঁয়াশায় রয়েছে খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ এর মাঝেই অবশ্য শুক্রবার একদিকে এয়ারলিফট করে লেহ থেকে বাহিনী পাঠাল কেন্দ্র, অন্যদিকে কমিশনের কাছে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আরও একদফা নির্দেশিকা পাঠাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷ যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে মুর্শিদাবাদ-সহ আরও পাঁচ রাজ্যে বেশি সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন করতে হবে ৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাহিনীই এসে পৌঁছয়নি এখনও রাজ্যে, সেখানে তাদের মোতায়েনের এই নির্দেশিকা আদৌ কতটা যুক্তিযুক্ত ?
এদিন সকালেই পানাগড়ে এসে পৌঁছয় পাঁচ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ কমিশন সূত্রে খবর, এদিন লেহ থেকে পাঁচ কোম্পানি বাহিনী বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে রাজ্যে এসে পৌঁছয় ৷ পানাগড়ে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে অবতরণের পর সেখান থেকে নির্দিষ্ট জেলাগুলিতে মোতায়ন করা হবে সেই বাহিনীকে। অন্যদিকে, এদিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এক সেকশন বাহিনীকে মোতায়েন করতে হবে ৷ কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আইজি বিএসএফ এসসি বুদাকোডির প্রস্তাব মেনে নিয়ে সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা-সহ চিঠি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কমিশনকে যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে স্পষ্ট মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, উত্তর 24 পরগনা, পূর্ব মেদিনাপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং দক্ষিণ 24 পরগনা নিয়ে অতি সতর্ক কেন্দ্র ৷ সেকারণেই এই জেলাগুলিতে বেশি সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন করতে হবে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে খোদ কেন্দ্র ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই ছয় জেলায় বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে ৷ যার মধ্য়ে সবচেয়ে বেশি মুর্শিদাবাদে 45 কোম্পানি ৷ হাওড়ায় 37, মালদায় 30, পূর্ব মেদিনীপুরে 37, পূর্ব বর্ধমানে 30 এবং দক্ষিণ 24 পরগনায় 30 কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করাতে হবে ৷
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনায় লেহ থেকে এয়ারলিফটে বাহিনী পৌঁছল রাজ্যে
তবে, আপাতত কমিশনের কাছে যা এসেছে তথ্য তার উপর ভিত্তি করে এখনও পর্যন্ত প্রতিটি বুথে সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা যাচ্ছে না ৷ সেক্ষেত্রে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায় আদৌ মানতে পারবে কি রাজ্য নির্বাচন কমিশন?