কলকাতা, 24 অগস্ট : রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে অনুপস্থিত অধিকাংশ মণ্ডল সভাপতি ৷ যা নিয়ে চিন্তায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৷ অধিকাংশ বিজেপি কর্মীই বাড়িতে বসে গিয়েছে । এখন তাঁদের বুথমুখী করাই বিজেপির কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ ৷ আগামী নির্বাচনগুলিতে কীভাবে দল লড়াই করবে ? সেই নিয়ে সোমবার হেস্টিংসের কার্যালয়ে সাংগঠনিক বৈঠক ডাকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব । বিজেপির 3টি সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বকে আজকের বৈঠকে তলব করা হয় । মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারবার ও দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলা সেখানে হাজির ছিল ৷
সূত্রের খবর, এই বৈঠকে বিজেপির জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি রাজ্য নেতৃত্বকে স্পষ্টভাবে জানানো হয় । কেন জেলা সভাপতিরা ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হওয়া কর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না । এই বিষয়ে রোষের মুখে পড়েন 3 সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ৷ বিধানসভা নির্বাচনে যে সব বিজেপিকর্মী দলের কাজ করেছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে আজকের এই বৈঠকে ।
এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, ‘‘একাধিক জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে । যেখানে বলা হয়েছে দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না জেলা কমিটির নেতারা । তাই দল এবার তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে । প্রতিটি কর্মী আমাদের সম্পদ । তাই তাঁদের পাশে না দাঁড়ালে, দল আগামী দিনে এগিয়ে যেতে পারবে না ৷’’ বিজেপির সূত্রে খবর, এই 3 টি সাংগঠনিক জেলা কমিটি ও মণ্ডল কমিটির অধিকাংশ নেতৃত্ব অনুপস্থিত ৷ 2 মে বিধানসভার ফল বের হওয়ার পর বিজেপির নেতৃত্ব জেলায় কোনও কর্মসূচি করতে পারছে না ৷ যার ফলে বিজেপির সক্রিয় কর্মীরা বাড়িতে বসে যাচ্ছে ৷
আরও পড়ুন : By Election : দ্রুত উপনির্বাচনে আশাবাদী মমতা, লোকাল ট্রেন নিয়ে খোঁচা দিলীপের
এদিন বৈঠকে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশ দলের সাংগঠনিক অবস্থার বিস্তারিত রিপোর্ট নেন । সেখানেই উঠে আসে বিজেপির চরম দুরাবস্থা বিষয়টি ৷ তবে, ঘরে বসে যাওয়া কর্মীদের এখন সংগঠনের কাজে লাগানো বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ । কিছু দিনের মধ্যেই 7 টি বিধানসভা উপনির্বাচন আছে । এছাড়া একাধিক পৌরসভা এবং পৌরনিগমের নির্বাচন । কিন্ত দলীয় কর্মীদের পুনরায় কীভাবে সংগঠনের কাজে লাগানো যায় ? সেটা নিয়েই চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৷