কলকাতা, 9 জুন: উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুন সংক্রান্ত মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে জোড়া মামলা করল রাজ্য সরকার । কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আগামী সোমবার দুটি মামলারই শুনানি হবে ।
একটি মামলা অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের নিয়ে সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনকে কেন্দ্র করে । অন্যদিকে, গতকাল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা স্বরাষ্ট্রসচিবের থেকে রিপোর্ট চেয়ে জানতে চেয়েছেন যে, কেন রাজ্য এতদিন সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ পালন করেনি ৷ অপর মামলাটি হয়েছে সেই মর্মে । আগে একটি মামলা দায়ের হলেও তা তালিকায় ছিল না এতদিন । আগামী সোমবার এই দুটি বিষয়েই মামলার শুনানি হবে ।
কালিয়াগঞ্জের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গত 11 মে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তিন সদস্যের একটা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠন করার নির্দেশ দেন । সিটের সদস্য হিসেবে তিন জনের মধ্যে দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে প্রাক্তন আইপিএস পঙ্কজ দত্ত ও প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের নাম জানান বিচারপতি । কিন্তু এতদিন হয়ে গেলেও দময়ন্তী সেন এখনও দায়িত্ব নেননি । উলটে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ।
এতেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা গতকাল রাজ্যের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, "সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলে খুশি হবে তো !" পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্টও তলব করেন বিচারপতি ।
রাজ্যের আইনজীবীর অমল সেন বলেন, রাজ্য এ ব্যাপারে কিছু জানে না । মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে উল্লেখ হয়েছিল । তখন গ্রীষ্মাবকাশকালীন বেঞ্চ ছিল । মামলাটি গৃহীত হয়নি । আগামী সপ্তাহে যে কোনও দিন শুনানি হোক । তার মধ্যে ডিভিশন বেঞ্চে আবার যাওয়া হবে । ক্ষুব্ধ বিচারপতি মান্থা বলেন, "এটা কী ধরণের আচরণ ? রাজ্য সব জানে । রাজ্য কিছু জানে না, এই যুক্তি গ্রাহ্য নয় । ইচ্ছে করে আদালতের রায় মানা হয়নি । সিবিআই দেব নাকি ? তাহলে খুশি হবেন ? ডিভিশন বেঞ্চের কোনও স্থগিতাদেশ নেই । তাহলে কেন নির্দেশ মানেননি ?"
তারপরই শুক্রবার সকালে রাজ্যের আইনজীবী অমিতেষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্রাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিষয়টি শোনার আর্জি জানান । প্রধান বিচারপতি মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন ।