কলকাতা, 6 জানুয়ারি: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট প্রকাশের ফলে চাকরির ভাগ্য খুলে গেল ওয়েটিং লিস্টে থাকা একাধিক চাকরি প্রার্থীর । একদিকে যেমন এই ওএমআর শিট প্রকাশ হওয়ায় অনেকের চাকরি সংশয়ে পড়েছে । তাদের সামাজিক সম্মানহানির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে (WB Teacher Recruitment Scam) ।
অন্যদিকে আবার এই ওএমআর শিট প্রকাশের পর বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য খুলে গিয়েছে (SSC published OMR Sheet) । যার প্রমাণ মিলল শুক্রবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের এজলাসে । নবম দশম শ্রেণির এসএলএসটি'তে নিয়োগে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা । বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন । পাশাপাশি ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC Teacher Recruitment Scam)।
আরও পড়ুন: নম্বর বেড়েছিল আদালতের নির্দেশে, তারপরও নাম কারচুপির তালিকায় !
সেই নির্দেশ মতো রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন গত 22 ডিসেম্বর ওএমআর শিট প্রকাশ করে । আর এই ওএমআর শিট প্রকাশের পরেই ওয়েটিং লিস্টে থাকা কঙ্কন মণ্ডল, আলমগীর হোসেন, রূপোলি বেজ-সহ বেশ কয়েকজন জানতে পারেন তারা সঠিক উত্তর দিলেও কমিশন সেই প্রাপ্য নম্বর তাঁদের দেয়নি ৷ এর আগেই অবশ্য এই মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশন নবম দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় একটি প্রশ্নের উত্তর ভুল করায় তাঁরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন । বারবার এসএসসি-র কাছে আবেদন জানিয়েও কোন সুরাহা না পেয়ে অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা । তার পরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) প্রকাশ করে ।
এই প্রসঙ্গে শুক্রবার মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী আদালতে জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশন একটি প্রশ্নের ভুল উত্তর করায় মহামান্য আদালতের বিভিন্ন বিচারপতি এক নম্বর বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও যে সমস্ত প্রার্থী অতিরিক্ত এক নম্বর পাওয়ার আবেদন করেছে তাদের নম্বর ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়ায়নি কমিশন । তাই নিরুপায় হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় তাঁদের । 22 ডিসেম্বর ওএমআর সিট প্রকাশিত হতেই এই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায় যে মামলাকারীদের দাবিই সঠিক । এদিন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় নির্দেশ দিয়েছেন, ওএমআর শিট যাচাই করে মামলাকারীদের এক নম্বর বাড়ানোর এবং প্রাপ্ত নম্বর পাওয়ার পর তাঁদের যোগ্যতার ভিত্তিতে এসএসসিকে অবিলম্বে তাঁদের নিয়োগ দিতে হবে ।