কলকাতা, 30 মার্চ: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি (SSC Recruitment Corruption Case) মামলায় দেশের প্রধান বিচারপতির (Chief justice of India) হস্তক্ষেপ দাবি করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । যে ভাবে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় তাঁর দেওয়া একের পর এক সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশকে খারিজ অথবা স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ, সেই ব্যাপারে ক্ষুব্ধ বিচারপতি ।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly news) প্রশ্ন, "কাদের সুবিধা পাইয়ে দিতে ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের হাত বেঁধে দিচ্ছে ?" লিখিত ভাবে এই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় । তিনি প্রশাসনিক চিঠিতে উল্লেখ করেন, গত মাস দুয়েক ধরে নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর দেওয়া চারটি সিবিআই অনুসন্ধানের মামলার নথি এবং সেগুলিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া স্থগিতাদেশের নির্দেশের কথা ৷ দেশের প্রধান বিচারপতি ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে সেই চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি ।
বিচারপতির বক্তব্য, "দেশ দেখুক, বিচার করুক বেআইনি চাকরি দেওয়া নিয়ে কী চলছে ।" একইসঙ্গে 'কথা হয়ে গিয়েছে, মামলায় স্থগিতাদেশ হয়ে যাবে' - এক আইনজীবীর এই মন্তব্যের রেকর্ডিং ভার্চুয়াল শুনানির রেকর্ড থেকে বের করার কথাও বলেছেন তিনি । লিখিত প্রশাসনিক নির্দেশে তিনি জানান, তাঁর কাছে মঙ্গলবার এক আইনজীবী এসে এই সব মামলা নিয়ে এক প্রভাবশালী রাজনীতিকের হয়ে কথা বলতে এসেছিলেন । তাঁর কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেছেন , "আমাকে মাফ করবেন ।"
আরও পড়ুন: Teacher Recruitment Case: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ
এসএসসি উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহার সম্পত্তির হিসেব নিয়ে তাঁর দেওয়া নির্দেশের পাল্টা হিসেবে সিল করা খামে রিপোর্ট দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ, সেই বিতর্কেও ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।
উল্লেখ্য প্রথমে গ্রুপ-ডি নিয়োগ, তারপর গ্রুপ-সি নিয়োগে দুর্নীতিতে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । পরে 2016 সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক ব্যক্তিকে কোথাও নাম না থাকা সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন । কিন্তু গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি মামলায় প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গঠন করে তদন্ত করার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ । তারপর শিক্ষক নিয়োগের মামলায়ও আপাতত সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে । সেই মামলা দুটির এপ্রিল মাসে শুনানি রয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে ।