কলকাতা, 22 ডিসেম্বর : রাজ্য রাজনীতিতে চলছে দলবদলের পালা । শনিবার মেদিনীপুরের জনসভা থেকে পদ্মশিবিরে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী । তার আগে থেকেই বেসুরো হতে শুরু করেছিলেন আরও কয়েকজন তৃণমূল নেতা । তালিকায় ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও । লাইমলাইটে শুভেন্দুর পাশাপাশি ছিলেন রাজীববাবুও ।
জানুয়ারিতে ফের রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ । আর তার আগে আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় । উপস্থিত ছিলেন না আরও তিন মন্ত্রী । বর্তমান পরিস্থিতিতে এই গরহাজিরাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে জোর জল্পনা । বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে গত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও । তাঁকে নিয়েও একইভাবে তৈরি হয়েছিল জল্পনা।
আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মৎসমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব । জানা গেছে, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে উত্তরবঙ্গের দুই মন্ত্রী আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন । কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও চন্দ্রনাথ সিনহার মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির থাকা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ।
আরও পড়ুন : পার্থ-পিকের সঙ্গে কথা, দ্বিতীয় দফার বৈঠকে অনেকটাই ক্ষোভ কমল রাজীবের
ইতিমধ্যেই বেসুরো কথা বলে দলে অস্বস্তি তৈরি করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় । যদিও তাঁর ক্ষোভ প্রশমন করতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব । 13 ডিসেম্বর এবং 21 ডিসেম্বর দু'দফায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে নাকতলার বাড়িতে বৈঠক করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর । গতকালের বৈঠকে বরফ গলেছিল বলেই সূত্রের খবর । কিন্তু তার পরেও আজ নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় । যাকে কেন্দ্র করে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে । একইসঙ্গে মৎসমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার অনুপস্থিতি নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক । হঠাৎ করে কেন তিনি এলেন না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন ।