কলকাতা, 12 ডিসেম্বর: গোটা বিশ্ব এখন আশঙ্কায় রয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে ৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেমন মানুষের কাজের চাপ কমাচ্ছে তেমন তার কিছু খারাপ প্রভাবও পড়েছে ৷ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে নানা ধরনের স্ক্যামের ছক কষছে অনেকেই ৷ ইতিমধ্য়েই কাজও হারাতে শুরু করেছে অনেক মানুষ ৷ আর উল্টোদিকে সমানে বেড়ে চলেছে সাইবার ক্রাইম ৷ পুলিশ কীভাবে সামালাবে এই সমস্ত অভিযোগ? তা শেখানোর জন্যই শুরু হতে চলেছে একটি নতুন প্রশিক্ষণ শিবির ৷
এআই-এর এই বাড়বাড়ন্তের পর শুরু হয়েছে 'ডিপফেক' ৷ অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের ব্যবহার করে ভুয়ো ছবি সোশালে ছড়িয়ে দেওয়া ৷ রশ্মিকা মন্দানার মতো অভিনেত্রীরাও এর শিকার হয়েছেন ৷ সোশালে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের আপত্তিকর ছবি ৷ অভিনেত্রীদের ছবি নিয়ে যদি এমন কাণ্ড হয় তাহলে সাধারণ মহিলারা কতখানি সুরক্ষিত তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ৷ এমন একটি ছবি বা ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়লে সমাজেও তার খারাপ প্রভাব পড়তে শুরু করে ৷ তখন সেই মহিলার জীবন হয়ে উঠতে পারে দুর্বিষহ ৷ এ ধরনের অভিযোগ কীভাবে সামলাবেন পুলিশ অফিসাররা?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, "বিষয়টি এত গুরুত্বপূর্ণ এবং নতুন যে এই বিষয়ে প্রতি সেকেন্ডে নিজেকে আপডেট রাখা অত্যন্ত জরুরী । ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের ন'টি ডিভিশনে পৃথক পৃথক সাইবার সেল খোলা হয়েছে ৷ সেখানকার তদন্তকারী অফিসার, বিভিন্ন থানার ইনচার্জ এবং বাছাই করা সাব-ইন্সপেক্টরদের নিয়ে শুরু হতে চলেছে একটি প্রশিক্ষণ শিবির ।" লালবাজার সূত্রে খবর প্রথম পর্যায়ে এই শিবিরে শেখানো হবে যদি থানায় এই প্রকারের অভিযোগ নিয়ে কোন অভিযোগকারী বা অভিযোগকারীণি আসেন তবে সেক্ষেত্রে পুলিশ কীভাবে তদন্ত শুরু করবে।
এই বিষয়ে সাইবার বিশেষজ্ঞ এবং এথিকাল হ্যাকার মোহাম্মদ রেজা আহমেদ বলেন,"আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে মহিলাদের ছবি এক ক্লিকেই নগ্ন করে দেওয়া কার্যত ডিপফেক জালিয়াতির একটি অংশ । যেকোনও প্রান্তে বসে সাইবার ক্রিমিনালরা এই প্রতারণা অনায়াসেই করতে পারে । এই ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা বা তাঁদের দমন করা পুলিশের পক্ষে প্রায় অসম্ভব ব্যাপার ।"
আরও পড়ুন: