কলকাতা, 4 মে: সমাজ যত আধুনিক হয়েছে ততটাই দূষণ কবলিত ও স্বাস্থ্যবান্ধবহীন হয়ে উঠেছে ৷ ছোটবেলায় পরিবেশ রক্ষার পাঠ পরালেও বর্তমান সময়ে অসচেতনতার ছবি পরিষ্কার ৷ সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শহর তিলোত্তমাকে সুন্দর, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থার তরফে ৷ সুন্দরবন ও শহর কলকাতা মিলিয়ে প্রায় 26টি বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা যুক্ত হয়েছে এই বিশেষ কর্মসূচিতে।
মূলত, প্রায় 8টি পরিবেশগত বিষয় দেওয়া হয় পড়ুয়াদের ৷ যার উপরে তাদের নিজেদের মতামত তুলে ধরতে বলা হয় ৷ বিশেষ এই কর্মসূচিতেই কীভাবে দূষণমুক্ত পরিষ্কার পৃথিবী গড়ে তোলা যায়, সেই ভাবনায় তুলে ধরেছে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা। শুধু পড়ুয়ারাই নয়, তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন শিক্ষক শিক্ষিকারাও।
শ্রী শিক্ষায়তন স্কুলের শিক্ষিকা সুপর্ণা চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমরা আমাদের স্কুলে পরিবেশ বান্ধব করে তোলার জন্য পড়ুয়াদের অনেক কিছু শেখাযই ৷ এই বিষয়ে বেশ কিছু অনুষ্ঠানও হয় ৷ বিভিন্ন কর্মসূচিও নেওয়া হয় ৷ আমার মনে হয়, যদি পড়ুয়াদের কম বয়স থেকেই পরিবেশ ও সমাজ সচেতনতা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয়, তাহলে তাদেরকে আগামিদিনে একজন সুনাগরিক হতে সাহায্য করবে।"
আরও পড়ুন: মে মাসেই শীতকাল, কুয়াশাচ্ছন্ন দিল্লিতে সকালে 16 ডিগ্রি তাপমাত্রা
একই কথা শোনা গিয়েছে মহাদেবী বিড়লা স্কুলের ভূগোলের শিক্ষিকা সুদেষ্ণা ঘোষের মুখে। তিনি বলেন, "ছোটবেলায় আমাদের অভিভাবকরা যদি আমাদের পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে শেখায়, তাহলে সেইগুলো ছোট থেকেই বাচ্চার মধ্যে ঢুকে যাবে। আমরা আধুনিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি পুরনো ঐতিহ্য গুলোকে মাথায় রাখি তাহলেই আমার মনে হয় পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠা সম্ভব।"
ফিউচার ফাউন্ডেশন নামক এক বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়া ঋদ্ধি সরকার জানিয়েছে, এই কর্মসূচি থেকে তারা অনেক কিছু জানতে পেরেছে ৷ এই ধরনের অনুষ্ঠানে এসে ভালো লেগেছে ৷ সংস্থার আহ্বায়ক অপরূপা দত্ত বলেন, "শিশুরাই ভবিষ্যতের লিডার ৷ তাই ওদেরকে তৈরি করাই বর্তমানে দরকার ৷ সেই কারণেই প্রায় 26টি স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। বর্তমানে পরিবেশবিদ যাঁরা রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে পড়ুয়ারা খোলামেলা কথা বলেন এবং সমস্যার সমাধান বা ভবিষ্যতে কীভাবে এগোবে তা নিয়ে একটা আলোচনা হয়েছে।"