কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর: এবার (Durga Puja 2022) এক নতুন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এল ফোরাম। সাইনি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মমতা সুমিত বিনানী ফাউন্ডেশন, রোটারি ক্লাব অফ ক্যালকাটা ওল্ড সিটির সহযোগিতায় দৃষ্টিহীন, বিশেষভাবে সক্ষম ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিশেষ পুজো পরিক্রমার ব্যবস্থা করা হয়েছে (Special Services for Differently Abled)।
মোট 250টি পুজো কমিটি এতে অংশ নেবে। প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য তিনটি পুজো প্যান্ডেল, হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটি, এসবি পার্ক এবং ইয়ং বয়েজ ক্লাবে (চিৎপুর ক্রসিংয়ের কাছে) দৃষ্টিহীনদের জন্য থাকবে ব্রেইল ডিসপ্লে স্ট্যান্ড। যার মাধ্যমে দৃষ্টিহীনেরা নিজেরাই বুঝে নিতে পারবেন কোন ভাবনার কোন থিম তাঁরা দেখতে এসেছেন প্যান্ডেলে (Pandal Hopping)।
শুক্রবার ব্রেইলের শুভ উদ্বোধন হল হাজরা পার্কের মণ্ডপে। হাজির ছিলেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সায়ন দেব চট্টোপাধ্যায়, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'নিপ'-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক মমতা বিনানি ৷ এছাড়াও ছিলেন এমএসএমই ডেভেলপমেন্ট ফোরাম-এর সভাপতি তপন পট্টনায়ক, সাইনি গ্রুপের সিইও তথা কলকাতা ওল্ড সিটির রোটারি ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণ ভৌমিক এবং দুর্গোৎসব ফোরামের সদস্য তথা এসবি পার্ক সর্বজনীনের প্রধান উদ্যোক্তা সঞ্জয় মজুমদার, 'নিপ'-এর সচিব দেবজ্যোতি রায়-সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: মিঞা বাজারের চক্রবর্তীদের দুর্গার আরাধনা হয় পটচিত্রে
অনুষ্ঠান নিয়ে বলতে গিয়ে হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সায়ন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এই পুজোর মরশুমের শুরুতে, যখন সকলেই উৎসবের আনন্দে শামিল হতে চান তখন আমরা মানবতার তাগিদ থেকেই একটা অনন্য লড়াইকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।" সাইনি গ্রুপের সিইও তপন পট্টনায়ক বলেন, "দুর্গাপুজো পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় উৎসব। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ উৎসবটি দারুণ আড়ম্বর সহযোগে উপভোগ করেন। কিন্তু মানুষ বিশেষভাবে সক্ষম এবং প্রবীণ নাগরিকদের কথা ভুলে যান। তাঁদেরও এই আনন্দে শামিল হতে মন চায়। তাঁদের পুজো প্যান্ডেলগুলিতে প্রবেশের বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা পুজো কমিটিদের এই মিশনে আমাদের সর্বাত্মক সমর্থন করার জন্য অনুরোধ করছি।"
প্রসঙ্গত, 'ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ প্রফেশনালস' বা 'এনআইপি' হল দৃষ্টিহীন, বিশেষভাবে সক্ষম ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একটি শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এটি 3 ডিসেম্বর, 2012-এ 'স্টেট অ্যাওয়ার্ড'-এ সন্মানিত হয়। এছাড়াও, এটি কলকাতার বিভিন্ন অংশে এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে বেশ কয়েকটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছে। এটি সারা বাংলা দাবা প্রতিযোগিতা এবং দৃষ্টিহীনদের জন্য টি-20 ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ইত্যাদিরও আয়োজন করে বছরের নানা সময়ে।
আরও পড়ুন: সরকারি অনুদান পেয়ে চাঁদার একাংশ ফেরত, নজির মালদার মহিলা পুজো উদ্যোক্তাদের