কলকাতা, 23 অক্টোবর: আদালতের নির্দেশ রয়েছে ৷ রয়েছে পরিবেশবিদদের হুঁশিয়ারি ৷ সর্বদা নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসনও ৷ তাই কালীপুজোয় (Kali Puja 2022) শব্দ বাজি ? কিছুতেই নয়, কখনই নয় ৷ কিন্তু, ধরুন যদি হাতের বদলে পাতে 'বাজি' তুলে দেওয়া হয় ? কী ভাবছেন ? আবোল-তাবোল বকছি ? মোটেই না ৷ এবারের কালীপুজো এবং দীপাবলি উপলক্ষে এই কাণ্ডই করে দেখিয়েছে ভবানীপুরের অতি পরিচিত এবং ঐতিহ্যশালী মিষ্টি বিক্রেতা বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিক কর্তৃপক্ষ ৷ দীপাবলিতে তাদের উপহার 'বাজি মিষ্টি' (Cracker Sweet) !
কী এই বাজি মিষ্টি ? সংস্থার অন্যতম কর্ণধার সুদীপ মল্লিক জানালেন, এ হল বিশেষ ধরনের মিষ্টি ৷ যাতে চকোলেটের স্বাদ থাকছে এবং এই মিষ্টি দেখতে একেবারে বাজির মতো ! এমনকী, মিষ্টিগুলি যে বাক্সে ভরে ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, তার সঙ্গেও বাজির বাক্সের কোনও ফারাক নেই ৷
সুদীপ জানান, বিশেষ করে বাচ্চারা এই মিষ্টি ভীষণ পছন্দ করছে ৷ দীপাবলির উপহার হিসাবে আত্মীয়, বন্ধুদের দেওয়ার জন্য বড়রাও দেদার কিনছেন এই বাজি মিষ্টি ৷ এছাড়াও, দীপাবলি উপলক্ষে রয়েছে আরও কিছু স্পেশাল সন্দেশ ৷ যার মধ্যে মূলত দুধের সর দিয়ে তৈরি সরলিপি অন্যতম ৷
আরও পড়ুন: কন্যাহারা পিতার আর্তিতে সাড়া দিয়েছিলেন মা করুণাময়ী !
এই সরলিপি সন্দেশ খেয়েই মোহিত হয়ে গিয়েছেন প্রসেনজিৎ রায় ৷ এই প্রতিষ্ঠানের মিষ্টির সঙ্গে তাঁর ছোটবেলার পরিচয় ৷ উৎসবে, পার্বণে মিষ্টি কিনতে পৌঁছে যান বহু প্রাচীন এই দোকানে ৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি ৷ প্রথমে দোকানে দাঁড়িয়েই একের পর এক মিষ্টি মন ভরে চেখে দেখলেন প্রসেনজিৎ ৷ তারপর বাড়ির জন্যও কিনে নিয়ে গেলেন বাক্সভর্তি রকমারি সন্দেশ ৷
দীপাবলি স্পেশাল এই সব মিষ্টিতে মজেছেন লোপামুদ্রা ভট্টাচার্যও ৷ জানালেন, তিনি এই পাড়ারই মেয়ে ৷ তাই কোনও উৎসব, অনুষ্ঠানের প্রয়োজন হয় না ৷ তাঁরা সারাবছরই এই দোকানের মিষ্টি খান ৷ তবে, বিয়ের পর থেকে লোপামুদ্রার ঠিকানা শ্যামবাজার ৷ তারপরও যখনই বাপের বাড়ি আসেন, এখান থেকেই মিষ্টি কিনে নিয়ে যান ৷ দীপাবলির মিষ্টির সম্ভার দেখে তিনি খুব খুশি ৷