কলকাতা 23 ডিসেম্বর: রাত পোহালেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে একের পর এক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কখনও কর্মসমিতির বৈঠক কখনওবা কোর্ট বৈঠক। উচ্চ শিক্ষা দফতর অথবা আচার্য থেকে মিলছিল না বৈঠকের অনুমতি। অবশেষে কর্মসমিতির বৈঠকে সম্মতি জানায় উচ্চশিক্ষা দফতর। তবে অনুমতি আসে না আচার্যের তরফে। কিন্তু অনুমতি না-হলেও কোর্ট বৈঠক ছাড়াই 24 ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ইউজিসির চেয়ারম্যান, উচ্চ শিক্ষা দফতরের চেয়ারম্যান তথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে।
কিছুদিন আগেই বিকাশ ভবনে দেখা গিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। উচ্চ শিক্ষা দফতরের চেয়ারম্যান তথা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকের অন্যতম কারণ ছিল সমাবর্তন অনুষ্ঠান। ওই বৈঠকের কিছুদিন পরেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সম্মতি দেওয়া হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি বৈঠকের। কিন্তু একাধিকবার আচার্যকে চিঠি লেখা সত্ত্বেও অনুমতি দেন না তিনি কোর্ট বৈঠকের। যা নিয়েই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক।
সেই বিতর্কের রেশ নেই এবার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আচার্যের উপস্থিতি নিয়ে চলছে দোলাচল। রাজভবন সূত্রে খবর, আগামিকাল সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আচার্য যাবেন কি না, তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সম্পূর্ণ বিষয়টি রয়েছে দোলাচলের মধ্যে। যদিও উচ্চ শিক্ষা দফতরের চেয়ারম্যান ব্রাত্য বসু নিজে থাকবেন কি না, তাও স্পষ্ট করেননি ৷ তাঁর কথায়, "যাব কি না, ভেবে দেখছি।" যদিও এই সম্পূর্ণ বিষয় নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, "আমরা সকলকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছি। কিন্তু তারা আসবেন কি না, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ধারণা এই মুহূর্তে নেই।"
আরও পড়ুন: