কলকাতা, 30 সেপ্টেম্বর :পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিয়াল্লিশটি কমিটি রয়েছে। আজ প্রত্যেকটি কমিটির চেয়ারম্যানদের নিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করলেন। যদিও জেলার অধিকাংশ বিধায়ক তথা চেয়ারম্যান আজকের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। বাকি যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের নিয়ে অধ্যক্ষ প্রায় একঘণ্টা বৈঠক করেন।
কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমনের জেরে গত ছয় মাস ধরে বিধানসভায় সবকটি কমিটির বৈঠক স্থগিত রয়েছে । অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন আসন্ন দুর্গা পুজোর আগে অন্তত একবার বৈঠক সেরে নিতে হবে। ভার্চুয়াল বা অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে হলেও বৈঠক করতেই হবে। বিধায়করা জানিয়েছেন সকলের ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কমিটির সঙ্গে বৈঠক করার সুযোগ নেই। কারণ স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক করতে গেলে বিভিন্ন দপ্তরের নথির প্রয়োজন হয় ।
স্কুল শিক্ষা, পরিষদীয় বিষয়ক, বিপর্যয় মোকাবিলা এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা, সমবায়, কৃষি বিপণন, সুন্দরবন বিষয়ক, আবাসন, নারী ও শিশু বিকাশ এবং সমাজ কল্যাণ, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান, কর্মসূচি রূপায়ণ, অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য ও উদ্যোগ, ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র, তথ্যপ্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিন ই গভর্নেন্সসহ, উপভোক্তা বিষয়ক, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি, শ্রম, বিচার, আইন, পরিবেশ, জনসাস্থ ্য কারিগরি, অগ্নি নির্বাপন ও জরুরী পরিষেবা, সেচ ও জলপথ, সহ বিভিন্ন দপ্তরের কমিটি চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় দপ্তরের কাজের খতিয়ান পিছিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে পুজোর আগে একটি বৈঠক এবং কমপক্ষে মাসে একটি করে বৈঠক করার জন্য অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেক চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন ।
রাজ্য সরকারের সবকটি দপ্তরের কাজ যথাযথভাবে হচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব স্ট্যান্ডিং কমিটি গুলির। স্ট্যান্ডিং কমিটি সহ বিধানসভার অন্যান্য কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর গুলিকে অর্থ বরাদ্দ করে। বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্ট যদি যথাসময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ দপ্তরে গিয়ে না পৌঁছায় তাহলে রাজ্যের উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হতে পারে বলে জানিয়েছেন শাসক এবং বিরোধী দলের বিধায়ক চেয়ারম্যানরা।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যেত সরকারের আয় ব্যয়ের হিসাব কোনরকম স্কুটিনি না করেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হত । কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিধানসভায় কমিটির বৈঠক গুলি বন্ধ হয়ে রয়েছে গত ছ'মাস ধরে। জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় এই কমিটি যত দ্রুত তাদের রিপোর্ট পেশ করতে পারবে। তার নিরিখে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের অর্থের বরাদ্দ মঞ্জুর করবে কেন্দ্রীয় সরকার। আর্থিক বছরের সিংহভাগ সময় ধরে কোরোনার দাপটে বিধানসভার কমিটিগুলি কোন কাজ করতে পারেনি। জমে যাচ্ছে কাজ। সেই কারণে অধ্যক্ষ কমিটির চেয়ারম্যানদের অনুরোধ জানিয়েছেন দুর্গা পুজোর আগেই তারা যেন একবার বৈঠক করে নেন। তারপর প্রতি মাসে একবার করে বৈঠক করা হবে । বিধায়করা জানিয়ে দিয়েছেন, ভার্চুয়াল বা অনলাইন পদ্ধতিতে কমিটির বৈঠক করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত বৈঠক করা যাবে না। তবে মাসে অন্তত একটা করে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা ।