কলকাতা, 13 জুন : যশ-নুসরত-নিখিল সম্পর্ক নিয়ে বর্তমানে বাংলার বিনোদন ও রাজনৈতিক জগতে হইচই পড়ে গিয়েছে ৷ তার মধ্যেই ফের একবার শিরোনামে রত্না-শোভন-বৈশাখী ৷ এক পুরুষ, দুই নারী ৷ বাংলার রাজ্য রাজনীতিতে বহুদিন ধরেই হট টপিক ৷ একে অপরের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি, কটূ কথা কোনওদিন থামেনি ৷ এবার রীতিমতো ফেসবুক লাইভ করে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের উপর গুরুতর অভিযোগ আনলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শোভনের দাবি, রত্না ব্যাভিচারী ৷ অন্য পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্যই ডিভোর্সের পথে হেঁটেছেন তিনি ৷
সোফায় পাশাপাশি বসে ফেসবুক লাইভে আসেন শোভন-বৈশাখী ৷ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভ করা হয় ৷ যেখানে একে অপরকে প্রশ্নোত্তর করেন শোভন-বৈশাখী ৷ শোভন বলেন, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায় ফোবিয়া রয়েছে ৷ ভুল খবর সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরা ওর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে ৷ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি, "চার বছর আগে ডিভোর্সের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তা একেবারে সঠিক ৷ আমি বাচ্চা ছেলে নই ৷ রত্না ব্যাভিচারী ৷ ওর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে ৷ জনপ্রতিনিধিদের সংযত জীবনযাপন করতে হয় ৷ কিন্তু রত্নার উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন আমাকে বিপদে ফেলে দিয়েছিল ৷ তাই ওর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করেছি ৷"
ভিডিয়োর পাশাপাশি বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ নিজেদের বক্তব্যের প্রমাণ হিসেবে ওই ছবিগুলি দেওয়া হয় ৷ ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তির সঙ্গে দোলনায় বসে রয়েছেন রত্না ৷ আশপাশে আরও কয়েকজন রয়েছেন ৷ শোভন বলেন, "এই ছবিগুলি বেহালা থেকে এসেছে ৷ এরা কারা ? এরা আমার বাড়ির পবিত্রতা নষ্ট করছে ৷" ছবিতে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে রত্নার সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শোভন-বৈশাখী ৷
আরও পড়ুন : Mir-Nushrat: মীরও কি এবার নিখিল-নুসরতের সম্পর্ক নিয়ে ট্রোল করলেন ?
শোভন আরও বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি রত্নার বিষয়ে বলেছিলাম ৷ উনি আমাকে বলেছিলেন, বাড়ি ছেড়ে দে ৷ এই বাড়িতে থাকলে খুন হয়ে যেতে পারিস ৷ পারলে আমার বাড়িতে এসে থাক ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ আমার কাছে শিরোধার্য ৷ তাঁর কথা মেনে আমি বাড়ি ছেড়ে দিই ৷" মমতা-শোভন সম্পর্কের অবনতির পিছনে আকারে ইঙ্গিতে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন বৈশাখী ৷ বৈশাখীর দাবি, রত্না চট্টোপাধ্যায় নিজের কুকীর্তি ঢাকতে তাঁকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন ৷ যাতে সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে শ্রীময়ী ও বৈশাখীকে জুন আন্টি প্রমাণ করতে পারেন ৷
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
শোভন আরও বলেন, "সিবিআই দফতরে রত্নার যাওয়া নিয়ে মিডিয়া ভুল খবর পরিবেশন করেছে ৷ এতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে রত্না চট্টোপাধ্যায় ৷ সিবিআই দফতরে আমার আইনজ্ঞের কাজে বাধা দেয় রত্না ৷ আমি রত্নাকে সাফ বলে দিয়েছিলাম ওখান থেকে চলে যেতে ৷ বলতে গেলে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম ৷" রত্নাকে পাগল বলেও উল্লেখ করেন শোভন ৷ শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েন বৈশাখী ৷ বলেন, রত্না নিজেকে শ্রীময়ী প্রমাণ করতে সিবিআই দফতরে গিয়ে পৌঁছেছিল ৷
শোভন-বৈশাখীর এই গুরুতর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি ৷ তবে এই সংঘাতের শেষ কোথায় তা জানা নেই ৷