কলকাতা, 1 জুলাই: ডিভোর্স মামলার শুনানিতে আদালত চত্বরেই রীতিমতো বাগবিতণ্ডায় জড়ালেন শোভন-রত্না ৷ একে অপরের উদ্দেশে চলল দেদার 'কটুকথা' ৷ এমনকী খোদ আদালত চত্বরে এই দৃশ্য দেখে হতবাক কলকাতা পুলিশের কর্তব্যরত অফিসাররাও ৷ শেষে দু'জনকে কোনও রকমে এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা ৷
বেশ কয়েক বছর ধরে বেহালা পর্ণশ্রীর বাড়ি ছেড়ে গোলপার্কের ফ্ল্যাটে চলে আসেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ৷ এই ফ্ল্যাটেই বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কয়েক বছর ধরে আছেন তিনি ৷ অন্যদিকে, সমান্তরালভাবে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভনের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও চলছে ৷ সেই মামলারই শনিবার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে ৷ আর সেখানেই রত্না ও শোভন মুখোমুখি হতেই একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগাড় করতে শুরু করেন ৷ একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও করতে দেখা গিয়েছে এদিন ৷ যা দেখে কার্যত হতবাক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷
এদিন শোভন-রত্নার ডিভোর্সের মামলায় দু'জনেই হাজির হয়েছিলেন আলিপুর আদালতে ৷ আর সেখানে হাজির ছিলেন শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও ৷ কিন্তু কোর্টরুমের বাইরে বৈশাখীকে দেখেই এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন রত্না ৷ মামলা চলাকালীনই আলিপুর কোর্ট চত্বরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয় ৷ বৈশাখীর বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করতে থাকেন রত্না চট্টোপাধ্য়ায় ৷ তিনি বৈশাখীর উদ্দেশে বলেন, "এই মহিলার জন্যই সব ৷ এই মহিলাই যত নষ্টের মূল ৷" আর তা শুনেই তেড়ে আসেন শোভন ৷ আঙুল উঁচিয়ে রত্নার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে শোভনকে বলতে শোনা যায়, "চোপ একদম ৷" এরপরই রত্না আরও চিৎকার করতে থাকেন ৷
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের 65 হাজার বাহিনী মোতায়েন থাকবে পঞ্চায়েত ভোটে
প্রায় 10 মিনিটেরও বেশি সময় ধরে এই পরিস্থিতি চলতে থাকে বলে অভিযোগ। এরপরই সেখানে হাজির হয় কলকাতা পুলিশের কোর্টে কর্তব্যরত অফিসাররা। অবশ্য এদিন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কোনও কথা বলতে শোনা যায়নি ৷ তবে ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি যে যথেষ্ট হতচকিত হয়ে পড়েছিলেন তা তাঁর মুখের অবস্থা দেখেই স্পষ্ট অনুমান করা যায় ৷ এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে যখন মামলার শুনানি ছিল, রত্না বলেছিলেন, "এই মামলা চলবে।" আবার শোভনকে বলতে শোনা গিয়েছিল, "এটা ডেড ম্যারেজ কেস।"