কলকাতা, 13 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নতুন মামলার মুখে পড়ার আশঙ্কায় আদালতে সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে 12টি এফআইআর রয়েছে। মিথ্যে মামলায় তাঁকে জড়ানো হচ্ছে। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য দলের তরফে তাঁকে বেশ কয়েকটি এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সুযোগ পেলেই সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ দায়ের করা হতে পারে। যার কোনও খবরও তিনি পাবেন না। নতুন করে মিথ্যে মামলায় তাঁকে জড়ানো হতে পারে এই 'আশঙ্কা' থেকেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সৌমেন্দু।
এই অবস্থায় রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে সৌমেন্দু। বিচারপতি মান্থা মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহের বুধবার মামলার শুনানি।উল্লেখ্য, এর আগে একাধিক বার হাইকোর্টে রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়ে মামলা করেছেন সৌমেন্দু অধিকারী। কাঁথি শ্মশানের জমিতে বেআইনি প্লট বসিয়ে বিক্রি করার অভিযোগের পাশাপাশি কাঁথি পৌরসভার রাস্তায় লাইট লাগানোর টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। একাধিক মামলা এখনও হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।
কাঁথি শ্মশানের মামলায় বেশ কয়েকবার তাঁকে থানায় ডেকে জিজ্ঞসাবাদও করেছে পুলিশ। রাজনৈতিক দল বদলের পর থেকে হেনস্তা করার জন্য তাঁকে ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বার বার এই সমস্ত অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে দাবি করে হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করেছেন তিনি। প্রায় সব মামলাতেই তাঁকে রক্ষকবচ দিয়ে রেখেছে আদালত। কিন্তু নতুন মামলা দায়ের হলে তাঁকে যাতে গ্রেফতার না-করা হয় সেই কারণেই আগাম হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে মনোনয়ন দাখিল করা নিয়ে তৃণমূলের গড়িমসি ও গোপনীয়তা কেন ?
সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে শ্মশান দুর্নীতি মামলা নিয়ে প্রতিনিয়ত সুর চড়ায় তৃণমূল। তাঁর দাদা শুভেন্দুকেও শাসকদলের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন কাঁথির রাঙামাটি শ্মশানের উন্নয়নের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকী শ্মশানে থাকা বেআইনি স্টলও বিক্রিরও অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি অভিষেকের সিবিআই জেরার প্রসঙ্গে ভাইয়ের হেনস্তা নিয়ে মুখ খোলেন শুভেন্দুও। তাঁর দাবি ছিল, অকারণে তাঁর ভাইকে থানায় ডেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হত। এখন সৌমেন্দুর মামলা ও আবেদন নিয়ে আদালত কী জানায়, সেটাই এখন দেখার।