ETV Bharat / state

1 বছর পর উদ্ধার হীরের কানের দুল, গ্রেপ্তার দোকান মালিক - girish park

ন'লাখ টাকার হীরের গয়না চুরি করায় গ্রেপ্তার করা হল দোকান মালিককে ৷ তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কানের দুল উদ্ধার হলেও এখনও লকেটটি পাওয়া যায়নি ৷ তদন্ত চালাচ্ছে গিরিশ পার্ক থানার পুলিশ ৷

ন'লাখি হীরের গয়না
ন'লাখি হীরের গয়না
author img

By

Published : Jan 7, 2020, 11:30 PM IST

কলকাতা, 7 জানুয়ারি : এক বছর আগে হীরের গয়না দিয়ে নতুন গয়না বানাতে চেয়েছিলেন বীরেন্দ্রকুমার জেঠিয়া ৷ সেই মতো গিরিশ পার্ক চত্বরে একটি দোকানে গয়না দিয়ে আসেন তিনি ৷ কিন্তু, তারপর থেকে মাসের পর মাস কেটে গেলেও নতুন গয়না পাননি বীরেন্দ্র ৷ গতমাসে হঠাৎই ওই গয়নার দোকান বন্ধ দেখেন ৷ বাধ্য হয়ে গিরিশ পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷

গত বছর মার্চ মাসে হীরের দু'টি কানের দুল ও একটি লকেট থেকে নতুন গয়না বানানোর সিদ্ধান্ত নেন বীরেন্দ্র ৷ গয়না দু'টির বাজার মূল্য প্রায় ন'লাখ টাকা ৷ কানের দুল ও লকেটে সোনার উপর হীরে বসানো ছিল ৷ ওই গয়না থেকে নতুন গয়না বানাতে গিরিশ পার্কের কেষ্ট দাস লেনে যান বীরেন্দ্র ৷ সেখানে রাজা মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির দোকানে গয়না দেন তিনি ৷ তারপর অনেক মাস কেটে গেলেও নতুন গয়না বানিয়ে দেননি রাজা ৷ হাল ছেড়ে পুরানো গয়নাই ফেরত চান বীরেন্দ্র ৷ কিন্তু, সেটাও ফেরত দেয়নি রাজা ৷ গতমাসে হঠাৎই দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায় রাজা ৷ বাধ্য হয়ে রাজার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন বীরেন্দ্র ৷ তদন্ত শুরু করে পুলিষ ৷

diamond
ধৃত ব্যক্তি

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজার বাড়ি নীলময় মিত্র স্ট্রিটে ৷ কেষ্টপুর খালের কাছে উদয়ন পল্লিতেও তার একটি বাড়ি রয়েছে ৷ দুই জায়গাতেই অভিযান চালায় পুলিশ ৷ তবে, রাজার খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ অবশেষে, বিডন স্ট্রিট-বিধান সরণি ক্রসিং থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ তাকে সঙ্গে নিয়ে কেষ্টপুর খাল থেকে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে হীরের কানের দুল দু'টি উদ্ধার করা গেলেও লকেটটি পাওয়া যায়নি ৷

গতবছর গিরিশ পার্ক এলাকার এমনই একটি স্টুডিয়োতে হীরের হার তৈরি করতে দিয়েছিল একটি সংস্থা ৷ ওই স্টুডিয়ো থেকে চুরি হয়ে যায় সেই হার ৷ স্টুডিয়োর মালিকের অভিযোগ, স্টুডিয়োর একটি কর্মী হারটি নিয়ে পালিয়েছে ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সেটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় ৷ মুম্বই থেকে চক্রটি চালানো হচ্ছিল ৷ সেই চক্রের এক কর্মীকে কর্পোরেট কায়দায় ওই স্টুডিয়োতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ৷ আর মুম্বই থেকে নির্দেশ পেয়েই হার নিয়ে পালিয়ে ছিল সে ৷

কলকাতা, 7 জানুয়ারি : এক বছর আগে হীরের গয়না দিয়ে নতুন গয়না বানাতে চেয়েছিলেন বীরেন্দ্রকুমার জেঠিয়া ৷ সেই মতো গিরিশ পার্ক চত্বরে একটি দোকানে গয়না দিয়ে আসেন তিনি ৷ কিন্তু, তারপর থেকে মাসের পর মাস কেটে গেলেও নতুন গয়না পাননি বীরেন্দ্র ৷ গতমাসে হঠাৎই ওই গয়নার দোকান বন্ধ দেখেন ৷ বাধ্য হয়ে গিরিশ পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷

গত বছর মার্চ মাসে হীরের দু'টি কানের দুল ও একটি লকেট থেকে নতুন গয়না বানানোর সিদ্ধান্ত নেন বীরেন্দ্র ৷ গয়না দু'টির বাজার মূল্য প্রায় ন'লাখ টাকা ৷ কানের দুল ও লকেটে সোনার উপর হীরে বসানো ছিল ৷ ওই গয়না থেকে নতুন গয়না বানাতে গিরিশ পার্কের কেষ্ট দাস লেনে যান বীরেন্দ্র ৷ সেখানে রাজা মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির দোকানে গয়না দেন তিনি ৷ তারপর অনেক মাস কেটে গেলেও নতুন গয়না বানিয়ে দেননি রাজা ৷ হাল ছেড়ে পুরানো গয়নাই ফেরত চান বীরেন্দ্র ৷ কিন্তু, সেটাও ফেরত দেয়নি রাজা ৷ গতমাসে হঠাৎই দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায় রাজা ৷ বাধ্য হয়ে রাজার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন বীরেন্দ্র ৷ তদন্ত শুরু করে পুলিষ ৷

diamond
ধৃত ব্যক্তি

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজার বাড়ি নীলময় মিত্র স্ট্রিটে ৷ কেষ্টপুর খালের কাছে উদয়ন পল্লিতেও তার একটি বাড়ি রয়েছে ৷ দুই জায়গাতেই অভিযান চালায় পুলিশ ৷ তবে, রাজার খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ অবশেষে, বিডন স্ট্রিট-বিধান সরণি ক্রসিং থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ তাকে সঙ্গে নিয়ে কেষ্টপুর খাল থেকে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে হীরের কানের দুল দু'টি উদ্ধার করা গেলেও লকেটটি পাওয়া যায়নি ৷

গতবছর গিরিশ পার্ক এলাকার এমনই একটি স্টুডিয়োতে হীরের হার তৈরি করতে দিয়েছিল একটি সংস্থা ৷ ওই স্টুডিয়ো থেকে চুরি হয়ে যায় সেই হার ৷ স্টুডিয়োর মালিকের অভিযোগ, স্টুডিয়োর একটি কর্মী হারটি নিয়ে পালিয়েছে ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সেটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় ৷ মুম্বই থেকে চক্রটি চালানো হচ্ছিল ৷ সেই চক্রের এক কর্মীকে কর্পোরেট কায়দায় ওই স্টুডিয়োতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ৷ আর মুম্বই থেকে নির্দেশ পেয়েই হার নিয়ে পালিয়ে ছিল সে ৷

Intro:কলকাতা, 7 জানুয়ারি: আপনি কি অচেনা দোকানে নিজের পুরনো গয়না নতুন করে বানাতে দিচ্ছেন? তাহলে আপনার জন্য থাকছে কলকাতা পুলিশের সাবধান বাণী। সংশ্লিষ্ট দোকান সম্পর্কে সঠিকভাবে খোঁজখবর নিয়ে তবেই দিন প্রিয়জনের দামি গয়না। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে ওই গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে দোকানের কারিগর। কখনো আবার দোকানদার নিজেই। সুতরাং সাধু সাবধান!



Body:গত বছর 8 মার্চ প্রিয়জনের হীরের দুটি দামি গয়না নিয়ে গিরিশ পার্কের কেষ্ট দাস লেনে যান বিরেন্দ্র কুমার জেঠিয়া। সেখানে রাজা মন্ডল এর দোকানে দেন ন'লাখের দুটি কানের এবং একটি পেন্ডেন্ট। দুটি গয়নাতেই সোনার উপর হীরে বসানো ছিল। সেগুলি থেকে নতুন গয়না বানানোর জন্যই নিয়ে গিয়েছিলেন বীরেন্দ্র। এমনিতে গিরিশ পার্কের ওই চত্ত্বরে প্রচুর হীরের গয়না বানানোর স্টুডিও রয়েছে। সরল মনেই রাজা মন্ডল কে ওই দুটি গয়না দেন বীরেন্দ্র। তারপর মাসের পর মাস কেটে যায় ওই গয়না রাজা নতুন করে তৈরি করে দেননি। একটা সময় হাল ছেড়ে দিয়ে গয়না ফেরত চান বীরেন্দ্র। সেই গয়না রাজা তাকে ফেরত দেয়নি। গতমাসে হঠাৎই দোকান বন্ধ করে দেয় রাজা। তারপর থেকে ওই ব্যক্তির কোনো খোঁজ মিলছিল না। গত কুড়ি ডিসেম্বর রাজার বিরুদ্ধে গিরিশ পার্ক থানায় মামলা দায়ের করেন বীরেন্দ্র। তদন্তে নামে পুলিশ।

নানাভাবে খোঁজখবর করে জানা যায় রাজার বাড়ি নিলময় মিত্র স্ট্রিটে। কেষ্টপুর খাল ধারের উদয়ন পল্লীতেও তার একটি বাড়ি রয়েছে। দু'জায়গাতেই হানা দিয়ে পুলিশ রাজার খোঁজ পায়নি। অবশেষে রাজাকে বিডন স্ট্রিট বিধান সরণি ক্রসিং থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে সঙ্গে নিয়ে কেষ্টপুর খাল থেকে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে হীরের কানের দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু পেন্ডেন্ট এখনো পাওয়া যায়নি।


Conclusion:গতবছর গিরিশ পার্ক এলাকার একটি স্টুডিওতে একটি দামি হীরের হার তৈরি করতে দিয়েছিল নামী সংস্থা। স্টুডিও থেকেই হওয়া যায় বহু মূল্যের সেই হীরের হার। ওই দোকানের মালিক অভিযোগ করেন তার এক কর্মী সেটি নিয়ে পালিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সেটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মুম্বাই থেকে অপারেট করা হচ্ছিল চক্র। সেই চক্রের এক কর্মীকে কর্পোরেট কায়দায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই স্টুডিওতে। মুম্বাইয়ের সেই ব্যক্তির অঙ্গুলিহেলনে হীরের গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছিল ওই কর্মী। আর এবার খোদ দোকান মালিক হীরের গয়না নিয়ে চম্পট দিল। পরপর এমন ঘটনার সূত্র ধরেই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাবধান বাণী, সঠিক খোঁজখবর নিয়ে তবেই কাউকে দামি গয়না দিন। নচেৎ ঠকতে হতে পারে আপনাকেও।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.