কলকাতা, 9 জুন : নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনের বি-ব্লকে এসটিএফ ও দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াই ৷ বীরভূম থেকে সূত্র মারফৎ খবর পেয়েই নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে দুষ্কৃতীদের খোঁজে এসটিএফ ও পুলিশ যৌথ ভাবে তল্লাশি শুরু করে ৷ তখনই দুষ্কৃতীরা এসটিএফকে লক্ষ করে গুলি চালায় ৷ এরপরেই শুরু হয় পুলিশ-দুষ্কৃতী গুলির লড়াই ৷ ঘটনায় নিহত হয় দুই দুষ্কৃতী ৷ জখম হয়েছেন এক এসটিএফ অফিসার ৷
নিহত দুই দুষ্কৃতী জয়পাল ভুল্লার ও যশপ্রীত জস্সি পঞ্জাবের মোস্ট ওয়ান্টেড বলে জানা গিয়েছে ৷ এই রাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারে তারা যুক্ত ছিল বলে খবর ৷ কোটি কোটি টাকার আগ্নেয়াস্ত্র ডিলিং রুখে সাফল্য পেল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা ।
প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে বীরভূম থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা । এরপর ধৃতকে জেরা করেই জানতে পারা যায় তাঁদের সঙ্গে একাধিক অস্ত্র ব্যবসায়ীর যুক্ত থাকার ঘটনা । এরপরেই ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে কলকাতা পুলিশ ।
এরমধ্যেই পুলিশের কাছে সূত্র মারফৎ খবর আসে এ রাজ্যের বেশ কিছু অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পঞ্জাবের একটি গ্যাংয়ের ডিলিং চলছে । মূলত এ রাজ্যে তারা কোটি কোটি টাকার আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহের বরাত পেতে চলেছে । এরপরেই বীরভূম, বিহার, ঝাড়খন্ড থেকে পাওয়া একাধিক লিংক থেকে গোয়েন্দারা জানতে পারেন পঞ্জাব থেকে আসা ওই আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহকারীরা এ রাজ্যে ঢুকেছে । খবর পাওয়া মাত্রই পঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে এ বিষয়ে একাধিক কথা বার্তা বলেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা ।
কথাবার্তার মাধ্যমে রাজ্যের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, বিধাননগর সিটি পুলিশের নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে বি-ব্লকের একটি ফ্ল্যাটে লুকিয়ে রয়েছে দুষ্কৃতীরা । এরপরেই দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাতে ঘটনাস্থলে আসেন এডিজি (এসটিএফ) বিনিত গোয়েল, বিধাননগর সিটি পুলিশের নগরপাল সুপ্রতীম সরকার ও আইজি (এসটিএফ) রাজেশ যাদব সহ রাজ্য পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ৷ এরপরেই শুরু হয় গুলির লড়াই ৷ যার জেরে মৃত্যু হয় দুই দুষ্কৃতীর ৷
আরও পড়ুন : নিউটাউনে এসটিএফ-দুষ্কৃতী গুলির লড়াই, হত 2